২৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের স্বপ্ণ পূরণ করলেন বিরাট কোহালি

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

দেশের মাটিতে  এই প্রথম ফলো-অন করল অষ্ট্রেলিয়া, সেটাও ছিল সিডনিতে৷ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার অষ্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে  টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছে ভারত৷ আজ পর্যন্ত যা করে দেখাতে পারেন নি কোনও ভারতীয় দল, তাই করে দেখালেন কোহালি৷  ইতিহাসের পাতায় পাকাপাকিভাবে  জায়গা করে নেওয়া তো বটেই,দেখে  নেওয়া যাক এই সিরিজ থেকে ঠিক কী কী পেল ভারতীয় ক্রিকেট৷ সিডনিতে বৃষ্টিতে ম্যাচ  ড্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২-১ ফলাফলে  সিরিজ জিতল তারা৷ এই সিরিজের  পরে ব্যাটসম্যান  বিরাট  কোহালির উপর থেক খানিকটা  হলেও  দায়িত্ব কমল৷ বিরাট মাঠে  নেমে  ব্যাট  হাতে  ব্যর্থ হলেই হুড়মুড় করে মিডল অর্ডারের  ভেঙে পড়ার  যে প্রবণতা সেটা  এই টেষ্ট সিরিজে  দেখা  যায়নি৷

এই সিরিজের  অন্যতম প্রাপ্তি সৌরাষ্ট্রের ডান হাতি  ব্যাটসম্যান  চেতেশ্বর পূজারা৷ ম্যান  অব দ্য সিরিজ  পূজারা এই টেষ্ট সিরিজের  প্রতিটি ম্যাচে ভাল খেলেছেন বলা যায়৷  শুধুমাত্র  রাহুল দ্রাবিড়ের  বিকল্প হিসাবে নয়, বরং পৃথক স্টাইলের জন্যেও পূজারাকে মনেম রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব৷ চারটি ম্যাচ, সাত ইনিংসে মোট ৫২১ রান করেছেন পূজারা, এরমধ্যে  তিনটি শতরানও রয়েছে৷ সিরিজে পূজারার রানের গড় ৭৪.৪২৷ 

এই সিরিজের আর এক প্রাপ্তি নাম অবশ্যই  কুলদীপ যাদব৷ সিডনি টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়ে কুলদীপ মনের জোর দিলেন ভারতীয়  বোলিংকে৷  একটি ম্যাচ খেলে এতগুলি  উইকেট নিয়ে টেষ্টে অশ্বিনের ফেরাটা কঠিন করে দিলেন বলা যায়৷

লোকেশ রাহুল-মুরলী বিজয়ের  ধারাবাহিক ব্যর্থতায় জন্য দেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ময়াঙ্ককে৷ ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ময়াঙ্ক৷ দু’টি  ম্যাচ মিলে মোট ১৯৫ রান করেছেন তিনি৷

চোট সারিয়ে পৃথ্বীশ ফিরে  এলে মুরলী বিজয়-লোকেশ রাহুল নন, বরং ময়াঙ্ক-পৃথ্বী জুটিই টেস্ট দলে ভারতের ওপেনার হিসাবে পাকা জায়গা করে নিতে পারবে৷

উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান ঋসভ পন্থ বড় ফরম্যাটে জায়গাটা পাকা করে নিলেন বলা যায়৷ রিকি পন্টিং কী আর  সাধে ‘অ্যাডাম গিলক্রিস্ট’ বলেছেন পন্থকে৷ ৪ ম্যাচ ৭ ইনিংসে  ৩৫০ রান করেছেন তিনি৷ গড় ৫৮.৩৩৷

ধারাবাহিকভাবে  ভাল খেলেছেন পন্থ৷ শেষ ম্যাচে  ১৮৯ বলে ১৫৯ রানে  অপরাজিত ছিলেন পন্থ দখলে৷

 ভারতীয় পেস বোলিং একটা বড় সম্পদ এই টেস্টের৷ এই টেস্টে ঝলসে  উঠেছেন যশপ্রীত বুমরা,মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্র্ম প্রত্যেকেই৷ সব মিলিয়ে ভারতীয়  বোলারদের  সামনে রীতিমতো অসহায়  দেখিয়েছে শন মার্শ উসমান খোয়াজা, অ্যারন ফিঞ্চদের৷

যাই হোক, এটা বলতেই হয় পারেন নি কপিল দেব, রাহুল দ্রাবিড বা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, কাছাকাছি গিয়েও ফিরে আসতে  হয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে, বিরাট কোহালির হাত ধরে এ বার সেই অধরা ইতিহাস ছঁুয়ে ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট৷  সিডনিতে ম্যাচ ড্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২-১ ফলাফলে সিরিজ জিতে ভারতীয় দল ও ভারতবাসীর গর্ব নিয়ে ফিরেছেন বিরাট৷