৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংসৃকতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টেরেসা ও আরও অনেক মনীষী, গুণীজনেরা যে কলকাতার নাম ত্যাগ-তিতিক্ষা, সেবাব্রত-আধ্যাত্মিকতা, সাহিত্য-বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করিয়ে মহিমান্বিত করেছেন, সেই কলকাতার সুনাম ও গৌরবকে মসীলিপ্তি করেছে ৩০শে এপ্রিলের পৈশাচিক ও ঘৃণ্যতম পাশবিক হত্যালীলা যার নিন্দার ভাষা মানুষের তো নেই-ই, এমনকি পশুদেরও নেই৷ এই হিংস্রতম ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারীদের অবয়বটি মানুষের মত হলেও চারিত্রিক কদর্যতায় তারা নরকের কীটেরও অধম৷

সেদিনও ছিল বৈশাখ মাসের এক স্নিগ্দ সকাল৷ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ কলকাতার তিলজলায় ভি.আই.পি. নগরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে আসছিলেন৷ আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ জন্মদিন (আনন্দপূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন) উপলক্ষ্যে তিলজলা আশ্রমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির, সেবা শিবির ও ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই অনুষ্ঠানগুলিতে যোগদানের জন্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ কেন্দ্রীয় আশ্রমে সমবেত হচ্ছিলেন৷ ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল সকালে তাঁরা হাওড়া-শিয়ালদহ ষ্টেশন থেকে ট্যাক্সি ও অন্যান্য যানবাহনে কলকাতার কসবা অঞ্চলের বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেটে এসে পৌঁছানো মাত্র চতুর্দিক থেকে কয়েক হাজার মত্ত মানুষরূপী হায়েনার দল পঙ্গপালের মত তাঁদের ওপর মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ নিরীহ, নিরস্ত্র সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণের ওপর হিংস্র যুথবদ্ধ সশস্ত্র নরপিশাচদের আক্রমণের বীভৎসতা ও বর্বরতা ছিল কল্পনাতীত রূপে ভয়ঙ্করতম৷ ট্যাক্সি, রিক্সা থেকে সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনীদের টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে ছুরি দিয়ে চোখ খুবলে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বল্লম দিয়ে খঁুচিয়ে, বাঁশ, রড দিয়ে পিটিয়ে অর্দ্ধনগ্ণ ও অদ্ধমৃত করে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়৷ চতুর্দিকে তখন শুধু অসহায় মানুষের আর্ত চিৎকার, কাতর সাহায্য প্রার্থনা আর নরপশুদের  পৈশাচিক উল্লাস৷ এই দৃশ্য দেখে ও আর্তনাদ শুনে আশপাশের মানুষেরা তো বটেই,পশুপাখীরা পর্যন্ত আতঙ্কে, লজ্জায়, ঘৃণায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ হায় কলকাতা! এই নরপাষণ্ডেরা চিরদিনের মত কলঙ্কচিহ্ণ এঁকে দিয়ে গেল তোমার গৌরবময় ইতিহাসে৷

প্রশ্ণ জাগতে পারে, কলকাতার বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরণের জঘন্য ঘটনা কি হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া, নাকি একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত? এর উত্তর খঁুজতে হলে আমাদের আর একটু পিছিয়ে যেতে হবে৷ ১৯৫৫ সালে ‘আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ’-এর প্রতিষ্ঠালগ্ণ থেকেই তৎকালীন শাসকবর্গ ও তাদের বশংবদ কায়েমী স্বার্থবাদী পুঁজিপতি সমাজের শোষকশ্রেণীর কুনজর এই সংঘটনের ওপর নিক্ষিপ্ত হয়৷ আনন্দমার্গের মূল উদ্দেশ্য হ’ল, ‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’৷ আত্মমোক্ষ প্রাপ্তির জন্যে আধ্যাত্মিক অনুশীলন (অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনা) ও জগতের হিতের জন্যে সেবা ও ত্যাগের আদর্শ অনুসরণের পথ নির্দেশনা দিয়েছেন আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ জগতের কল্যাণে ও শোষণহীন সমাজব্যবস্থা রচনার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৫৯ সালে প্রবর্ত্তন করেন ‘প্রাউট’ দর্শনের৷ ‘প্রাউট’ PROUT–Progressive Utilization Theory) বা প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের মুখ্য উদ্দেশ্য হ’ল আধ্যাত্মিকতার পথে মানুষের মধ্যে নীতিবাদ ও জীব কল্যাণের ভাবনাকে প্রসারিত করে পৃথিবীর বুক থেকে শোষণের মূলোৎপাটনের জন্যে নিরন্তর আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ও সমাজ থেকে সর্ববিধ শোষণের বীজকে ধবংস করে নব্যমানবতাবাদের প্রতিষ্ঠা করা৷ এখানেই অন্যান্য সংঘটনের সঙ্গে আনন্দমার্গের পার্থক্য৷  যার ফলে শোষণের ধবজাধারীরা আনন্দমার্গ সংঘটনের ওপর রোষান্বিত হয়ে বারবার আক্রমণ চালিয়েছে৷ একদিকে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির ব্যষ্টি -স্বাধীনতার কুফলে বল্গাহীন মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পুঁজিপতিরা সাধারণ শ্রমিক ও জনগণকে শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ট, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত করে নিজেদের ঘরে সম্পদের পাহাড় জমিয়েছে আর স্বার্থসিদ্ধির পাকাপোক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে৷ প্রশাসনও পুঁজিবাদীদের সন্তুষ্ট করে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম রেখেছে৷ অপরপক্ষে কমিউনিজমের জড়বাদী অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের জন্ম দিয়েছে যার পরিচালন ক্ষমতা থাকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতাদের কুক্ষিগত৷ ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা উৎসাহহীন হয়ে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের চাপে বঞ্চিত, শোষিত হয়ে মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে অনেকটা পশুত্বের পর্যায়ে নেমে এসেছে৷ এমতাবস্থায় আনন্দমার্গ ও প্রাউট দর্শনের আধ্যাত্মিকতা ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ ও শোষণহীন সমাজ রচনার জন্যে আনন্দমার্গীদের  কঠোর সংগ্রামী মনোভাব পুঁজিবাদী ও কমিউনিষ্টদের স্বার্থসিদ্ধির পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আর এই প্রাচীরকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পুঁজিবাদী ও কমিউনিষ্ট উভয় সম্প্রদায়ই সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে৷ তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় সরকার বিভিন্ন ভাবে আনন্দমার্গকে আক্রমণের ব্লুপ্রিণ্ট রচনা করেছে৷ কিন্তু তাদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আনন্দমার্গের বিজয়রথ অবিরামভাবে এগিয়ে চলেছে ও সর্বস্তরের লক্ষ লক্ষ মানুষের যোগদানের ফলে আনন্দমার্গ বিরোধীরা অত্যন্ত শঙ্কিত হয়ে পড়ে৷ পরিণামস্বরূপ আনন্দমার্গের অনুগামী, সমর্থক ও প্রচারকদের ওপর নেমে আসে অমানবিক অত্যাচার ও উৎপীড়ন৷ এরই নিদর্শন রূপে ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গের প্রধান কার্যালয় ও মূল সেবাকেন্দ্র পুরুলিয়ার আনন্দনগরে কমিউনিষ্ট শয়তানদের আক্রমণে ৫ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী নিহত হন৷ ১৯৭১ সালে আনন্দমার্গের প্রাণপুরুষ ও মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী গ্রেফতার করা হয় ও ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী পটনার বাঁকীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে ওষুধের নামে বিষপ্রয়োগ করা হয়৷ এই বিষ প্রয়োেেগর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবীতে তিনি ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে পাঁচ বছর চার মাস একদিন ব্যাপী দীর্ঘতম অনশন করেন৷ পরে ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট পটনা হাইকোর্টের রায়ে তাঁর গ্রেফতারকে অন্যায়, রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে তাঁকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করা হয় ও তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন৷ ইতোমধ্যে আরও বহু সন্ন্যাসী, গৃহী আনন্দমার্গী হত্যা ও উৎপীড়নের শিকার হন৷ ক্রমাগত বাধা-বিপত্তি ও সংগ্রাম আনন্দমার্গ ও আনন্দমার্গীদের নিত্যসঙ্গী৷ ১৯৭৫ সালের জরুরী অবস্থার সময় আনন্দমার্গের সমস্ত কর্মকর্তাদের গ্রেফতার, বহু আনন্দমার্গীকে কারাগারে নিক্ষেপ ও সমস্ত সেবাকেন্দ্র, শিশুসদন, বিদ্যালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি ভেঙ্গে তছনছ করে দেওয়া হয়৷ তারপর আসে কলকাতার ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিলের নারকীয় নৃশংসতার ঘটনা৷ এই ঘটনার আগে থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরার গুজব রটিয়ে আনন্দমার্গের বিরুদ্ধে একটা বিদ্বেষ ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়---যদিও পুলিশ রিপোর্টে কোনও শিশু চুরি বা নিখোঁজের ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়নি৷ ৩০শে এপ্রিলের আগে আনন্দমার্গের ওপর চরম আঘাত হানার পরিকল্পনা রচিত হয় তিলজলার আনন্দ আরতি হলে ৬ই ফেব্রুয়ারী একটি তথাকথিত নাগরিক কনভেনশনে৷ সেই চক্রান্ত অনুযায়ী ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে দিয়ে আক্রমণের প্রেক্ষাপট তৈরী হয়৷ তারপরেই ঘটে ৩০শে এপ্রিলের সেই কলঙ্কিত অধ্যায়৷

এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে সমাজের সর্বস্তর থেকে (দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও ভারতের বাইরের অন্যান্য দেশ) শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা সরব হন৷ জনসাধারণের মৌন মিছিল ও উপযুক্ত বিচারের জন্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের দাবী ওঠে৷ কিন্তু তৎকালীন রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রশাসক দল একযোগে এই ঘটনাটাকে ধামাচাপা দেওয়ার ও বিভিন্ন রকমের হুমকি-শাসানির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নিরস্ত করবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়৷ এত বাধা বিপত্তি, আক্রমণ, অত্যাচার সত্ত্বেও আনন্দমার্গের প্রচার ও প্রসারকে রোখা সম্ভব হয়নি৷ বর্তমানে পৃথিবীর ১৮২টি দেশে আনন্দমার্গ তার শাখা বিস্তার করেছে ও ভবিষ্যতে আরও করতে থাকবে৷ কিন্তু এই অত্যাচারী নরাধমদের স্থান ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হবে৷ ইতোমধ্যেই পৃথিবীর বুক থেকে কমিউনিজম প্রায় অবলুপ্ত হয়ে যাবার পথে৷ আর বৈশ্যতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টাধবনি বিভিন্ন দেশে বাজতে শুরু করেছে৷ কারণ, প্রাউট ও আনন্দমার্গ দর্শনের প্রতি মানুষের অনুরাগ ও আস্থা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে৷ এটাও ধ্রুব সত্য যে এই দর্শন একদিন পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবেই ও অনিবার্য ভাবেই হবে৷

প্রতি বৎসর ৩০শে এপ্রিল আনন্দমার্গীরা মৌনমিছিলে অংশগ্রহণ করে বিজন সেতুতে সমবেত হন ও সপ্তদশ দধীচির প্রতি তাঁদের অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন৷ সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত আনন্দমার্গীরা এই শপথও গ্রহণ করেন, যে মহৎ উদ্দেশ্যে জগতের কল্যাণের জন্যে সেবাব্রতী সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ তাঁদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, সেই আরব্ধ কর্ম সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে সম্পন্ন করবেন ও প্রাউট দর্শনের প্রতিষ্ঠার দ্বারা নব্যমানবতার আদর্শে সদ্বিপ্রের নেতৃত্বে শোষণহীন সমাজ রচনা করবেন৷ সেই সমাজে প্রতিটি জীব-জড়-উদ্ভিদ-মানুষ সকলে নিঃশঙ্ক চিত্তে ‘অস্তি-ভাতি-আনন্দম্’-এর পূর্ণ সুযোগ পাবে, নূ্যনতম প্রয়োজনের নিশ্চিততা পাবে, আধ্যাত্মিক সাধনার যথাযথ পরিবেশ পাবে আর প্রতিটি শিশু সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠে এক সুন্দর ‘নোতুন পৃথিবী’ রচনা করবে৷ এই মর্মে স্মরণ করি মহাসম্ভূতি তারকব্রহ্ম শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আশ্বাসবাণী---

‘‘অন্ধকার যতই ঘন হোক না কেন, তারপর প্রভাত আসবেই৷ অন্ধকারের পিশাচ যতই অট্টহাসি হাসুক না কেন, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তার সব কিছু শূন্যে মিলিয়ে যাবেই যাবে৷ তেমনি মানুষ জাতির দুঃখের রাত্রি যেরকমই হোক না কেন, তপস্যার সূর্যালোক তার সমস্ত অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে দেবেই দেবে৷ মানুষের জীবনে অরুণোদয় হবেই হবে৷’’