রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

সংখ্যা জগতের রহস্য পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

জন্মলগ্ণ হতে জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত মানুষ গণিতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত আছে৷ আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতে গণিত তথা সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই অপরিসীম গুরুত্বের কথা ভেবেই বোধ হয় বলা হয়েছে–‘ত্ত্ত্রব্ধড়ন্দ্বপ্প্ত্রব্ ন্ব্দ ব্ধড়ন্দ্ব ত্বব্ভন্দ্বন্দ্বু প্সন্দ্র প্তপ্ত ব্দব্ভত্ব্ন্দন্দ্বন্তুব্ধ্’ গ্রীক দার্শনিক পীথাগোরাস ববলেছিলেন–‘বিশ্বের আদি উপাদান হ’ল সংখ্যা’৷ দার্শনিক প্লেটো ববলেছিলেন–‘ঈশ্বর একজন মহৎ জ্যামিতি বেত্তা৷’ এই জগৎটা মনে হয় যেন সংখ্যার একটি লীলাক্ষেত্র৷ গণিত হ’ল সভ্যতার মেরুদণ্ড৷ কিন্তু যে গণিত সভ্যতার মেরুদণ্ড স্বরূপ সেই গণিত শাস্ত্র যেন সাধারণ মানুষের কাছে সাহারা মরুভূমির ব

কর্ষক প্রধান বাঙলার ইতিকর্তব্যতা

একর্ষি

বিশ্বেপপগ্য কৃষি অঞ্চলগুলির মধ্যে বাঙলার কৃষিক্ষেত্রগুলি অন্যতম৷ বাঙলা তথা ভারতের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসে কৃষি থেকে৷ আজও দেশের সিংহভাগ মানুষ রুজি-রোজগারের জন্যে কৃষির সঙ্গে যুক্ত৷ প্রাচীনকালে এদেশের রাজারা কৃষির উন্নতির জন্যে চিন্তাভাবনা করতেন ও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতেন৷ ব্রিটিশ শাসকরা সর্বাধিক রাজস্ব আদায় সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করলেও কৃষির উন্নতির জন্যে কিছু করেননি৷ এ নিয়ে স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে কর্ষক আন্দোলনও কম হয়নি৷ স্বাধীনোত্তর কালে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপন, সেচ ব্যবস্থার প্রচলন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার, উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার, জমিদারি প্রথার বিলোপ, বর্গা আইন প্রচলন, আধুনিক প্রযুক্তির ব

অস্পৃশ্য

রত্নেন্দু দাশ

আমার এক ছাত্র আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, স্যার!! কিছু মানুষ আছে যারা ছোঁয়াচে , তাদের ঘরে যদি আমরা যাই আমাদের সামনেই কি কি করে,  এতে আমরা অপমান অনুভব করি৷ এমনটা কেন? সত্যি তো প্রশ্নগুলো খুব সুন্দর৷ আসলে কিছু মানুষ আছে যারা শুচিতার অর্থই জানে না ভালো করে৷ যারা বাহ্যিক শৌচ পালন করে তারা জানে না আভ্যন্তরীণ শৌচও আছে ও সেই শৌচও পালন করা উচিত৷

বাঙালী জনজাতি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে উন্নত ত্রিপুরা গড়ে উঠবে

এইচ. এন. মাহাতো

বাবরি মসজিদ ধবংস যখন হয়েছিল তখনের পরিস্থিতি আর আজকের অবস্থা অন্যরকম৷ বর্তমান বিজেপি দল কেন্দ্রে সরকার ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিচার ব্যবস্থা, একশ্রেণীর মিডিয়া, আমলা সরকারের ইচ্ছেধীন, হাতের পুতুল৷ যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তারা অনেক সংগ্রাম করে অসময়ে বিজেপি দলটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিল৷ তাঁরা আজ বিজেপিতে অপাংতেয়৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

খবরের কাগজে গতানুগতিক খবরের আড়ালে কিছু অনুপ্রেরণামূলক খবর মাঝে মধ্যেই বেরোয় যেগুলো আমার মত অনেকের মনেই বেশ আশার সঞ্চার করে৷ এমনই একটি খবর বেরিয়েছিল ১৭ই সেপ্ঢেম্বর ‘‘একটি বহুল প্রচারিত’’ সংবাদপত্রের (পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম পাতায়) ১৬ নং পৃষ্ঠায়৷ ‘চাকরি ছেড়ে জৈব কেঁচো সার তৈরি করে নজর কেড়েছেন কাঁথির সুনন্দন---এই শিরোনামে খবরটিতে আমার চোখ আটকে গেল৷ খবরটি পড়ে জানতে পারলাম চাকরির এই দুর্মূল্য বাজারে বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের প্রত্যন্ত চণ্ডীভেটি গ্রামের বছর চল্লিশের সুনন্দন শাসমল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ তাঁর এই প্রচেষ্টাকে প্রথমেই সাধুবাদ জানাই৷ যথেষ্ট মনের জোর না থাকলে

২০২১শে বাঙ  লা দখলের আশা নেই  তাই বাঙ লা ভাঙার চক্রান্তে মেতেছে বিজেপি

মনোজ দেব

নোট বাতিল থেকে জি.এস.টি, নাগরিক আইন থেকে কৃষি আইন একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী কার্যের ফলে মোদী ম্যাজিক উধাও৷ একান্ত অনুগত ছাড়া কথার জাদুতে সব মানুষকে বেশীদিন ভুলিয়ে রাখা যায় না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষানীতি,শিক্ষানীতি সবক্ষেত্রেই বাঙলার প্রতি বঞ্চনা ও উপেক্ষার ছাপ স্পষ্ট৷ সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির পরীক্ষায় গুজরাটী ভাষা স্থান পায় অথচ বাংলা ভাষা পায় না৷ বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে বাঙালীর৷ মোদির মহিনী মায়া আর  কাজ দেবে না৷ এমত অবস্থায় ২০২১শে বাঙলা দখলের আশা ছেড়ে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ তবে বঙ্গীয় ক্যাডারকুল ও রাজ্য নেতৃত্বকে চাঙ্গা রাখতে কথা-বার্র্তয় সে কথা প্রকাশ করছে না, বরং বা

বাঙালী জীবনে আঘাত যত বেশী আসবে  বাঙালী জীবনে একতা ততই বৃদ্ধি পাবে

গোবিন্দ মজুমদার

বর্তমানে বাঙলার বাঙালীরা একেবারে খাদের কিনারায় এসে গেছে, পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে৷ এর পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক সামাজিক আর্থিক কারণ ও সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র৷ এগুলির কারণ খঁুজে বের না করতে পারলে তথাকথিত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে বাঘের পিঠে সওয়ার হতে হবে৷ দুর্বল হবে গণতন্ত্রের ভিত্তি৷ আজ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ধর্মীয় ফ্যাসীবাদী আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে কারা শত্রু কারা মিত্র৷ আর একাজ করতে হবে মানব সমাজের গভীরের মারণ অসুখকে দূরীভূত করার জন্যে৷

রসায়নাগার-জাতক ও মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে প্রাউট প্রসঙ্গে  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের অভিমত

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 ১৯৬১ সালের জুলাই মাসে রাঁচীতে মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রাউট প্রসঙ্গে  যে প্রবচন দিয়েছিলেন, সেই প্রবচনে তিনি বহু সমস্যার সমাধান এর কথা, বলে গিয়েছেন৷ যেমন--- শ্রমিক সমস্যার  কথা, ভূমি সংস্কারের কথা পণপথার সমাধান, বিশ্বরাষ্ট্র গড়ার পথ, লিপি ও সংসৃকতি কেমন হবে, পরিবার পরিকল্পনা, জন্ম-নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রসায়নাগার জাতক প্রভৃতি সম্পর্কে বহুবিধ সমস্যার সমাধান  এই প্রাউটের প্রবচনে বলেছেন৷

আজকের আলোচ্য বিষয় হ’ল---রসায়নাগারে-জাতক বা রসায়নাগার -শিশুদের নিয়ে শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের অভিমত৷

বর্তমান কেন্দ্রীয় কৃষি বিল কার স্বার্থে?

এইচ. এন. মাহাতো

কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ভোটাভুটিতে পরাজয় জেনেই সংসদের উচ্চকক্ষে কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল অসৎ উপায়ে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে পাস করিয়ে নিল বিরোধী পক্ষকে কোন প্রকারের আলোচনা করার সুযোগ না দিয়ে৷ এভাবে ধাপ্পা দিয়ে একতরফাভাবে কৃষি ও কর্ষকদের বিরুদ্ধে যে বিল পাস করিয়ে নিল তাহা ব্রিটিশ আমলের  নীলচাষের কথা মনে করিয়ে দিল৷

সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০২০ সনের ২৬শে সেপ্ঢেম্বর, ইংরেজী সাল-তারিখ গণনা অনুসারে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহোদয়ের জন্মদ্বিশতবর্ষ পূর্তি দিবস (জন্মঃ ১৮২০ খ্রীষ্টাব্দের ২৬শে সেপ্ঢেম্বর) আমরা উদযাপন করলাম৷ বাঙালী জাতির জীবনে এই প্রাতঃ স্মরণীয় মনীষীর অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম৷ অবিস্মরণীয় কীর্তির অধিকারী পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘‘বর্ণপরিচয়’’ এর মাধ্যমেই বাঙালীর অক্ষর জ্ঞানের শুভারম্ভ৷ এই সেপ্ঢেম্বর মাসেরই ৫ তারিখ ‘‘শিক্ষক দিবস’’ ও   ৮ তারিখ ‘‘বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস’’ হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়৷ তাই শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে সেপ্ঢেম্বর মাসের সম্পর্ক  অত্যন্ত নিবিড়৷  মানুষের প্রথাগত শিক্ষার সূচনা হয় অক্ষর পরিচি