অনূর্ধ পনেরোর সাই ক্যাম্পে নতুন প্রতিভা রাজীব, বিশাল

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

স্থানীয় মির্জাপুর হাজি সুলেমান হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে  পড়ে রাজিবুল৷   পড়াশুনার সাথে সাথে ফুটবল মাঠেও নিয়মিত দেখা যায় তাকে৷ ছোট্ট একচালার টালির ঘর, কালিমাখা দেওয়ালে টাঙ্গানো বুটজোড়া আর তাই নিয়ে আপাতত আশায় বুক বেঁধেছে  বেলডাঙ্গার  প্রত্যন্ত সরুলিয়া গ্রামের  রাজিবুল ইসলাম৷  সম্প্রতি সাইয়ের(স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) সল্টলেক কেন্দ্রে অনূধর্ব ১৫ বছর বয়সীদের দীর্ঘমেয়াদি আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরের বাছাই  তালিকায় স্থান পেয়েছে তার নাম৷  গত সোমবার তার মেডিকেল টেষ্ট হয়েছে  ওই পরীক্ষায় সে উর্ত্তীণও হয়েছে৷ সাইয়ে থেকে ফুটবল শেখার সুযোগ পাবে সে৷ ভাঙা বাড়িতে  যেন হঠাৎ চাঁদের আলো ঢুকে পড়েছে৷ তবে দরিদ্র  পরিবার থেকে আসা রাজিবুল বলেছে--- ‘‘বাবা হাওড়ায় জিনিসপত্র ফেরি করে৷ মা বিড়ি বাঁধেন৷ বাড়ির যাবতীয় কাজকর্ম  আমাকেই করতে হয়৷’’

গত চার বছর ধরে  স্থানীয় ‘বড়ুয়া যুবক সংঘ’ নামক একটি ফুটবল এ্যাকাডেমিতে ঘন্টার পর ঘন্টা ফুটবল অনুশীলন  করেছে সে৷  ওই ক্লাবের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার জানালেন, সাইয়ের প্রতিনিধিরা  প্রাথমিক বাছাই পর্ব করতে এসেছিলেন সেখানে রাজিবুলের খেলা তাঁদের পছন্দ হয়ে যায়৷ তাই তাঁরা রাজিবুলকে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন৷

অন্যদিকে, বহরমপুরের রাধারঘাটের  বাসিন্দা বিশাল শেখও জেলা থেকে সাইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরে জায়গা করে নিয়েছে৷  শারীরিক প্রতিকূলতাকে জয় করেই  সে এতদূর  পৌঁছতে  পেরেছে  বলে জানালেন তার বাবা নান্টু  শেখ৷ ছোট বেলা  থেকে মামার বাড়িতেই বড় হয়েছে বিশাল৷ ছেলে সাইয়ের প্রশিক্ষণের  সুযোগ  পেতে চলায়  তৃপ্তির হাসি বাবার মুখে৷

ছোট থেকেই করুণাশঙ্কর ভট্টাচার্য ফুটবল এ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করছে বিশাল৷ ওই এ্যাকাডেমির  সম্পাদক জগন্ময় চক্রবর্তী  এদিন বললেন , ‘নিম্নবিত্ত  পরিবার থেকে উঠে এসেছে বিশাল৷  বাবা শ্রমিকের কাজ করে ৷ ওকে নিয়ে  পরিবারের অনেক স্বপ্ণ৷ আশা করি, সোমবার মেডিকেলে টেষ্টেও জেলার দুই কিশোর উত্তীর্ণ হবে৷’’দলেও সেই কাজটা করতে পারবেন মহেন্দ্র সিং ধোনী৷ তখনকার মদনলাল, বলবিন্দর সিং সাঁধু, মহিন্দর অমরনাথ, রবি শাস্ত্রীর মত মত এই দলেও রয়েছেন বুমরা, ভূবনেশ্বর,রবিশঙ্কর, চাওলা, কুলদীপরা৷ তাই ভারতকে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জয়ী দল হিসেবে ভারতীয়দের ভাবনাটা বাস্তবরূপ পাবে---এটা আশা করা যেতেই পারে৷