July 2017

গণ–অর্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

আমরা যোগ সাধনা করব কেন?

আনন্দমার্গী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

যোগের আধ্যাত্মিক দিক

আমরা মনের যে অংশ নিয়ে প্রাত্যহিক কাজকারবার করি তা কিন্তু আমাদের মনের অতি ক্ষুদ্র অংশ৷ আমাদের মনের অতি বহৎ অংশ–যেখানে রয়েছে বিপুল সম্পদ, ঐশ্বয্য–তা সাধারণতঃ আমাদের  অজ্ঞাতই থেকে যায়৷

আনন্দমার্গের তত্ত্বসভা ও অখণ্ড কীর্ত্তন

টালা পার্ক, কলকাতা ঃ গত ২৫শে জুন উত্তর কলকাতার টালা পার্ক এলাকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমনোজ কুমার সরকার ও শ্রীমতী অঞ্জু সরকারের বাসভবনে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানব মুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, শ্রী হরলাল হাজারি, শ্রী শুভদীপ হাজারি, শ্রী স্বপন মণ্ডল প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায়ে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবচন পড়ে শোনান আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ এরপর আনন্দমার্গের দর্শন ও আদর্শের বিভিন্ন দিক ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ

নিউ ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে অখণ্ড কীর্ত্তন

 নিউ ব্যারাকপুর ঃ গত ২৬শে জুন নিউ ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রীমতী মীরা বৈদ্যের উদ্যোগে সকালে তিন ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তনের অনুষ্ঠান হয়৷ এই কীর্ত্তনে নিউ ব্যারাকপুর, বিরাটী, কলকাতা, বারাসত, ব্যারাকপুর, বনগাঁ প্রভৃতি এলাকা থেকে আনন্দমার্গীরা যোগদান করেছিলেন৷ অনুষ্ঠানে অখণ্ড কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, শ্রী হরলাল হাজারী, শ্রী কুমুদ দাস, শ্রী স্বপন মণ্ডল, শ্রী শুভদীপ হাজারী প্রমুখ৷ কীর্ত্তনের পর আনন্দমার্গের দর্শনের ওপর ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত, আচার্য অ

কোচবিহারে যোগ দিবস পালন

দিনহাটা, গোপালনগর ঃ গত ২১শে জুন কোচবিহার জেলার অন্তর্গত গোপালনগর আনন্দমার্গ প্রাইমারী সুকলে বেলা ১০টা ১১ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত যোগ দিবস পালন করা হয়৷ এই যোগ দিবসে যোগসাধনা সম্পর্কে আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানে সুকলের ছেলেমেয়েরা ছাড়াও বাইরের অনেক ছেলেমেয়ে যোগদান করেন৷ আলোচনার পর যোগের ওপর ডেমোষ্ট্রেশন দেন মধুশ্রী দেব, ছন্দাশ্রী দেব ও প্রিয়াঙ্কা বর্মণ৷ অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা বলেন, যোগ মানে কেবল যোগাসন নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে ধ্যানও রয়েছে, রয়েছে শারীরিক, মানসিক আধ্যাত্মিক বিকাশের বিভিন্ন দিক৷

মার্গীয় বিধিতে নামকরণ ও অন্নপ্রাশণ অনুষ্ঠান

কোচবিহার, দিনহাটা ঃ গত ২৬শে জুন কোচবিহার জেলার পুটিমারী অঞ্চলের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীকান্তেশ্বর রায়ের নাতনী ও শ্রীতন্ময় রায়ের কন্যার নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানে শিশুকন্যার নাম রাখা হয় পূর্ণশ্রী৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বময়ানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য কৃষ্ণধ্যানানন্দ অবধূত৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অবধূতিক আনন্দ প্রণীতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিধারা আচার্যা৷

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো Benincasa cerifera Savi

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ক্ষাংলায় অনেকে চালকুমড়োও ৰলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ক্ষেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ক্ষেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

কামরাঙা– Averrhoa carambola Linn

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ কামরাঙার আদি বাস হচ্ছে চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ কামরাঙা এদেশে এনেছিলেন ওলন্দাজরা৷ তারা চুঁচড়োয় তাঁদের কুঠিবাড়ীতে সেই গাছ লাগিয়েছিলেন৷ সেখান থেকে কামরাঙা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব ভারতে ও দক্ষিণ ভারতে৷ দীর্ঘকাল ভারতের আৰহাওয়ায় লালিতপালিত হওয়ায় কামরাঙার একটি প্রজাতিকে ভারতীয় ৰললেও ৰলতে পারি৷ পৃথিবীতে কামরাঙার কয়েকটি প্রজাতি থাকলেও মুখ্য প্রজাতি দু’টি৷ একটি হ’ল মোটামুটি রকমের মিষ্টি*, আরেকটিতে একটু টক ভাব থেকেই যায়৷ চীনে ও তাইল্যাণ্ডে দেখেছি সেখানকার কামরাঙার আকার ভারতীয় কামরাঙার চেয়ে দ্বিগুণের বেশী৷

কালমেঘ– Andrographis paniculata Nees.

কালমেঘ এক প্রকার গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ৷ এ থেকে পেটের রোগের ও ৰহুমূত্র রোগের নানান ঔষধ তৈরী হয়৷ পেট রোগা লোকেরা ও যকৃতরোগী কালমেঘের ৰড়ি তৈরী করে সকালে খালি পেটে খেলে ভাল ফল পাবে৷ এতে যকৃত ও হজমের গোলমাল সেরে যায়৷