May 2018

কুৎসিত  দলবাজিতে গণতন্ত্রের এমন দুর্দশা চরম লজ্জার!

প্রভাত খাঁ

বিশাল জনবহুল ভারতে যে শাসন ব্যবস্থা চলছে সেটির  যে  কি হাল সে কথা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যগুলোতে  যাঁরা শাসনে আছেন  তাঁরা  হাড়ে হাড়ে  টের পাচ্ছেন৷ ভাঁড়ে মা ভবানী৷  বলতে দ্বিধা নেই  দীর্ঘ ৭১ বছরের গণতন্ত্র যে কীভাবে চলছে  সেটা ভালোভাবে  উপলদ্ধি করছেন  কোটি কোটি  হতভাগ্য জনগণ৷  করের বোঝা, চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, চরম বেকার সমস্যা, প্রশাসনিক  ব্যর্থতার কারণে৷ এটা আত্ম অভিমানী কেন্দ্র ও রাজ্য গুলো মানতে চাননা৷  কারণটা হলো তাঁদের  মারাত্মক  অহংবোধ যেটা  সর্বনাশ  নামিয়ে  এনেছে সমগ্র রাষ্ট্রে৷

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ ঃ মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাঙলা ও বাঙালী’ পুস্তকের ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে, নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ্ছল করে তুলবে, তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে৷’’ সত্যি তো বাঙালী জনগোষ্ঠী কত প্রাচীন৷ এর এক উজ্জ্বল ঐতিহাসিকতা রয়েছে, অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যবান বাঙালী---নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ রীতি, লিপি, নিজস্ব পোষাক ও পোষাক পড়ার পদ্ধতি, নিজস্ব দায়াধিকার ব্যবস্থা,

‘জন্ম তিথিতে নূতনের স্রোতে নূতনের আলো যেন পাই’

অরুণাভ সরকার

গত ২৯শে এপ্রিল আনন্দপূর্ণিমা উৎসব অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এখানে উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ ৯৭তম জন্মতিথি৷ আর এই কারণে, বৈশাখী পূর্ণিমার এই পুণ্যতিথিটি আনন্দমার্গের অনুগামীদের কাছে ‘আনন্দপূর্ণিমা’ রূপে পরিচিত৷ মানবসমাজে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অবদান কী–তা আমাদের জানতে হবে৷ তবে আমরা এই আনন্দপূর্ণিমা উৎসবের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারব৷

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মনে

পাঁশকুড়ায় আনন্দমার্গের তত্ত্বসভা

গত ১লা মে পাঁশকুড়ায় দীপক সাউয়ের বাসভবনে একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়৷ তত্ত্বসভার শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত  ও ‘বাবা নাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন হয়৷ পূর্বমেদিনীপুর জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রী সুভাষপ্রকাশ পাল উক্ত আলোচনা সভায় আদর্শ সমাজ গঠনে আনন্দমার্গের বহুমুখী কর্মযজ্ঞের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ তিনি বলেন, আদর্শ সমাজ গড়তে গেলে আগে আদর্শ মানুষ প্রয়োজন৷ আর আদর্শ মানুষ হতে গেলে প্রয়োজন নিয়মিত যম-নিয়ম ও অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার অনুশীলন৷ অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার দ্বারা মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ হয়, তার মনের বিকাশ ঘটে, মানসিক একাগ্রতা আসে, মন পবিত্র হয় সঙ্গে সঙ্গে আধ্যাত্মিক উন্নতিও হয়৷ সেই মানুষটি কঠোরভাবে নীতি

আনন্দনগরে আনন্দপূর্ণিমা উৎসব

গত ২৯শে এপ্রিল আনন্দনগরে যথারীতি মহাসমারোহে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮-তম জন্মোৎসব পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ২৮শে এপ্রিল সন্ধ্যা  থেকে অখণ্ড কীর্ত্তন শুরু হয় পরদিন সকাল সকাল ৬টা ৭মিনিটে পরমপিতা বাবার জয়ধবনি দিয়ে মিলিত সাধনা, বাণীপাঠ, বাণীর ব্যাখ্যা ও বাবার ওপর আলোচনা হয়৷ বক্তব্য রাখেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আচার্য নারায়রানন্দ অবধূত, আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ এদিন আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও বের হয়৷ আনন্দনগরের সমস্ত সন্ন্যাসী দাদারা, উমা নিবাসের সন্ন্যাসিনী দিদিরা ও আনন্দনগরের শিক্ষক, ছাত্র ও আশপাশের গ্রামবাসীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন৷ এরপর সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ

আনন্দমার্গ স্কুলের বাৎসরিক সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নববর্ষে  বকুল বিতান আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক  সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ প্রথমে শ্রীশ্রী তপনচন্দ্র চ্যাটার্জী মহাশয়৷

এরপর আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা  বাংলা ছড়া, কবিতা, ইংরেজী রাইমস্, সংসৃকতি শ্লোক, গান, নাচ প্রভৃতি পরিবেশন করে৷  ছাত্র-ছাত্রাদের দ্বারা পরিবেশিত নাটক ‘লালকমল-নীলকমল’ সমস্ত দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে৷ নাটকের ভাষ্যকার ছিলেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷  সমগ্র  অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য দানব্রতানন্দ অবধূত৷

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান

আনন্দনগর ঃ গত ১৫ই এপ্রিল চিৎমুর প্রীতম্বর টুডু-ও শ্রীমতী বাসন্তী টুডুর প্রথম পুত্র সন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে  অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত ৷ শিশুর  নাম রাখা হয় ‘প্রিয়তোষ’৷ অনুষ্ঠানের শেষে  আনন্দমার্গের নামকরণ ও  অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যের  ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত  ও  আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷ তাঁরা বলেন, আনন্দমার্গের এই বিধিতে শিশুর শারীরিক , মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের জন্যে অভিভাবকদের  বিশেষভাবে সচেতন করার প্রয়াস করা হয় এর মাধ্যমে৷

ভি. এস. এসের গণভোজ

গত ২২ শে এপ্রিল ভলান্টীয়ার্স  স্যোস্যাল সার্বিসের তরফ থেকে  গুড়িডি গ্রামে গণভোজের  আয়োজন করা হয়৷ প্রথমে গ্রামবাসীরা অখন্ডকীর্ত্তনে  অংশগ্রহণ করেন৷  এরপর সবাইকে ভাত,ডাল, তরকারি ও পাপড় দিয়ে মধ্যাহ্ণভোজে  আপ্যায়িত করেন  আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূত, আচার্য দেবপ্রেমানন্দ অবধূত৷

এ্যাবাকাস টেষ্ট

গত ৫ই মে আনন্দমার্গ স্কুল, দুর্লভপুর, বাঁকুড়ায়  এ.এ.ভি.এম এ্যাবাকাস প্রোগ্রাম সেন্ট্রাল ম্যাথ’স ট্যালেন্ট টেষ্ট (এ্যাবাকাসে  ভর্তির জন্যে) হয়৷ বাঁকুড়ার ৪০টি  স্কুল থেকে  ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রা এই পরীক্ষায় যোগদান করে৷ আগামী ১৩ই মে’২০১৮ সকাল ৯টার  সময় এর ফল প্রকাশিত হবে৷

এ্যাবাকাস খুব দ্রুত অঙ্ক কষার পদ্ধতি৷ ভাল ফল করলে এ্যাবাকাস অলিম্পিক এ যোগ দিতে পারবে ও এতে  স্কলারশিপ ও পাওয়া যাবে৷