September 2018

অসমে ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্ব হরণের চক্রান্তের প্রতিবাদে  ‘অসমগামী রেল রোকো’ আন্দোলন l  ২০০০ আমরা বাঙালী কর্মী গ্রেফ্তার

কোচবিহার রেলরোকোকোচবিহার, ৩০শে আগষ্ট ঃ পূর্ব ঘোষণা অনুসারে অসমের নাগরিকপঞ্জী তৈরীর নামে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্ব হরণের চক্রান্তের প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে আজ, ৩০শে আগষ্ট আমরা বাঙালী কোচবিহারে অসমগামী রেল অবরোধের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়৷ এই কর্মসূচী অনুসারে সকাল প্রায় ১১টার সময়  কোচবিহার শহর থেকে প্রায় ২০০০ আমরা বাঙালী কর্মী মিছিল করে নিউ কোচিবহার ষ্টেশনে এসে জমায়েত হয়৷

দক্ষিণবঙ্গে ভূমিকম্প

গত ২৮শে আগষ্ট মঙ্গলবার , সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ  দক্ষিণবঙ্গের  কলকাতাসহ হুগলি, হাওড়া, পুরুলিয়া ও দুই  মেদিনীপুর জেলায় মৃদু ভূমিকম্প দেখা দেয়৷

অসমে এন আর সি  কর্তৃপক্ষের  বিরুদ্ধে  বিধায়কের  মামলার সিদ্ধান্ত

শিলচর ঃ অসমে  ‘এন.আর.সি’-র  নাম করে  এখানকার  শাসক বিজেপি   দল  ও অসম গণ পরিষদের ছাত্র সংঘটন আসু অসম  থেকে যেন তেন প্রকারেণ বাঙালী তাড়াবার  ষড়যন্ত্রে  মেতে  উঠেছে৷ অসমে নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত  খসড়া তালিকা  প্রকাশিত  হওয়ার  পরও  প্রায়  ৪০ লক্ষ  মানুষের  নাম তালিকাভুক্ত হয়নি৷  এরা বেশিরভাগই  বাঙালী ও অসমের  স্থায়ী  বাসিন্দা৷ প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ রাজত্বের সময় বাঙলার  বিস্তীর্ণ এলাকা  যেমন  কাছাড়,  নওগাঁ, লামডিং, বরপেটা, গোয়ালপাড়া  এই সমস্ত  বাঙলারাই অংশ  অসম  প্রদেশের  সঙ্গে  যুক্ত করা হয়েছে৷ তাই  এদের  নাগরিকত্ব প্রশ্ণাতীত৷  আর স্বাধীনতার বলি হিসেবে যারা  আগেকার  পূর্ব বাঙলা  (বর্তমান  বাঙলাদেশ)

পঞ্চায়েত বোর্ড তৈরীকে কেন্দ্র করে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ

গত ২৮শে অগাষ্ট পঞ্চায়েত বোর্ড তৈরীকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও গুলি চালনাও হয়েছে৷ দেখা যাচ্ছে জনসেবা ভাবনা ভুলে  ক্ষমতা দখলটাই সব দলগুলির মুখ্য লক্ষ্য৷ এই উদ্দেশ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংঘর্ষ দেখা দিচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি’র৷ কোথায় বা তৃণমূল সিপিএম, কোথাও  বা তৃণমূল -কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ৷ উত্তর ২৪ পরগণায় বহিস গাজি গ্রামে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়৷ ২জন তৃণমূল কর্মী ও ১ জন সিপিএম কর্মী৷ এই সংঘর্ষে বোমা গুলি সবই চলতে থাকে৷ আমডাঙ্গা ব্লক পঞ্চায়েতে বোর্ড তৈরীকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ৷

বর্ণমাহাত্ম্য

এই মহাবিশ্ব অজস্র  স্পন্দনের  সমাহার৷ এই যে পরিদৃশ্যমান জগৎ যাকে  সাধারণভাবে ‘প্রপঞ্চ’ আখ্যায়  অভিহিত  করে থাকি তা মূলতঃ মানস জগৎ ও  অতিমানস জগতের  অধিক্ষেত্রভুক্ত৷ এই স্পন্দনরাজি সংখ্যায় অসংখ্য...অগুন্তি কিন্তু অনন্ত নয়৷ যদি  তারা অনন্ত  হত তাহলে  সৃষ্টিটাও অনন্ত হত৷  তবে হ্যাঁ, তরঙ্গ-রাজির  সংখ্যা  অজস্র...অগণিত৷ কিন্তু তা কোনোমতেই অনন্ত নয়৷

পরিবর্তন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সিপিএমের পৈশাচিক সন্ত্রাস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে উদ্ধার করেছেন, তাই পশ্চিমবঙ্গবাসীর আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা তাঁকে দু-হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন৷ তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরল অনাড়ম্বর জীবন, তাঁর সততা, তাঁর অদম্য কর্মনিষ্ঠার জন্যে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন৷ এতে কোনও সন্দেহ নেই৷ তিনি পরিবর্তনের শ্লোগান তুলে সিপিএমের তৈরী সেই চরম সন্ত্রাসজনক পরিস্থিতির পরিবর্তন এনেছেন৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছেন৷

নিপীড়িত মানবতার কল্যাণে আত্মনিবেদিত সদবিপ্রগোষ্ঠীর প্রতীক্ষায় শোষিত জনগণ

প্রভাত খাঁ

বাঁচার লড়াই করে সকলকেই এই মাটির পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হয়৷ যখন মানুষ এই পৃথিবীতে আসে তখন সে বা তারা বড়ই অসহায়৷ প্রকৃতির চরম খামখেয়ালীর কারণে সে বা তারা প্রচণ্ড ভাবেই বিধবস্ত ও অস্তিত্ব রক্ষায় কাতর হয়৷ একত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের একনাগাড়ে লড়াই করতে হয়৷ মানুষ তখন জানতো না কেমন করে ঘর বাঁধতে হয়, কেমন করে চাষাবাদ করতে হয়৷  তারা তখন পর্বত গুহায়, বড়ো বড়ো গাছের কোটরে বা গাছের ডালে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করতো৷ কোনটা খাদ্য আর কোনটা অখাদ্য তা তারা জানত না৷ তাই খাদ্য ও অখাদ্য বুঝতে কতো মানুষ যে প্রাণ হারিয়েছে তার ঠিক ঠিকানা নেই৷ যখন খাদ্যাভাব হলো নিরাপত্তার অভাব হলো তখন মানুষ যাযাবর হয়ে জীবন অতিবাহিত করতো৷

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে  হত্যার ষড়যন্ত্রের  অভিযোগে পাঁচ বিশিষ্ট সমাজকর্মীকে গ্রেফ্তার, পরে গৃহবন্দী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদিকে  হত্যার  ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে  গত ২৮শে  আগষ্ট পাঁচটি  রাজ্যে পুলিশ  তল্লাশী চালিয়ে  হায়দ্রাবাদ থেকে  কবি সাহিত্যিক  ভি.ভি. রাও,  দিল্লি থেকে গৌতম  নওলাখা , থানে  থেকে অরুণ ফেরেইরা, মুম্বাই থেকে ভার্ণিন গণসালভেজ ও ফরিদাবাদ থেকে  মানবধিকার  আইনজীবী সুধা  ভরদ্বাজকে  গ্রেফতার  করে৷ এঁরা  সবাই  সমাজকর্মীরূপে  পরিচিত৷ পুলিশ জানাচ্ছে নির্দিষ্ট তথ্যের  ভিত্তিতেই  তাদের এই তল্লাসী ও গ্রেফতার৷