November 2019

কশ্মীরে নিহত ৫ বাঙালী শ্রমিক

পাক মদতপুষ্ট জঙ্গীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৫জন বাঙালী শ্রমিক নিহত হয়৷ এরা পশ্চিমবাঙলা থেকে কশ্মীর গিয়েছিল আপেল বাগানে কাজের জন্য৷ এই ৫ জনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগর ডিহি এলাকায়৷

প্রতি বছরের মতো এবছরও মুর্শিদাবাদের বেতুয়াডহরি থেকে প্রায় ২৫-৩০ জন যুবক  আপেল পাড়ার কাজ করতে  কশ্মীর যান৷ এই পাঁচজন যুবক গুরগাঁও জেলায় একটি ভাড়া ঘরে থাকতেন৷ গত ২৯শে অক্টোবর বিকেলে একদল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী ওই ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়৷ নিহত পাঁচজনের নাম শেখ কামরুদ্দিন, শেখ নিজামউদ্দিন, মহম্মদ রফিক, শেখ মুরসুলিন,  রফিক শেখ৷

অবহেলা, অপুষ্টি ও চিকিৎসার অভাবে আবার মৃত্যু বাঙালী বধের কষাইখানা ডিটেনশন ক্যাম্প

দুলাল পালের পর ফালু দাস৷ ডিটেনশন ক্যাম্পে একের পর এক বাঙালীর মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমরা বাঙালী সংঘটনের অসম রাজ্য কমিটির সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ৷ তিনি বলেন ভারতীয় বাঙালীদের বাঙলাদেশী সাজিয়ে একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে, তাতে ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো বাঙালী হত্যার কষাইখানায় পরিণত হয়েছে৷ গোটা অসমটাকেই বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে অসম সরকার৷

১৬ই নভেম্বর ‘আমরা বাঙালীর’ কোলকাতা অভিযান

‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সচিব শ্রী বকুল রায় জানান --- বাঙালীর বিরুদ্ধে  এক গভীর চক্রান্ত শুরু করেছে কেন্দ্রের বাঙালী  বিদ্বেষী সরকার৷ এন.আর.সির অজুহাতে  লক্ষ লক্ষ বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করা, বাংলা ভাষার  উপর হিন্দীর আগ্রাসন, পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে  অবাঙালী অনুপ্রবেশ বাঙলার পরিবেশকে দূষিত করছে, কেন্দ্রের চক্রান্তেই বাঙলার অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে৷ অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে  কয়েক হাজার বাঙালীকে পশুর মত রেখেছে৷ ইতিমধ্যে  সেখানে ২৭ জন বাঙালী বিনা চিকিৎসায়  অনাহারে মারা গেছে৷ এ অবস্থায় বাঙালী  জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে সামিল হওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই৷ আগামী ১৬ই নভেম্বর রাণী রাসমণি রোডে বে

দুর্যোগ উপেক্ষা করে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে ১২০ ঘণ্ঢা অখণ্ড কীর্ত্তনে হাজার হাজার আনন্দমার্গীর যোগদান

কলকাতা, ৩১শে অক্টোবর ঃ মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার ভি আই পি নগরে আয়োজিত অখণ্ড কীর্ত্তন গত ২৬শে অক্টোবর  বিকেল ৩–৩০ মিনিটে সমাপ্ত হয়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর অপরাহ্ণে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর পার্থিব দেহ ত্যাগ করেন৷ তাঁর দেহ ২৬ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আশ্রমে বিশ্বের নানা প্রান্তের ভক্তদের দর্শনের জন্যে সংরক্ষিত ছিল৷ ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর অপরাহ্ণে তাঁর পার্থিব দেহের অন্তিম সৎকার হওয়া পর্যন্ত আশ্রমে কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ সেই থেকে প্রতি বছর তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর অখণ্ড বাবানাম কেবলম্ কীর্ত

প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনীতি গ্রামকে স্বনির্ভর করবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷

জীবের পরাগতি

যে মানুষের যেমন আজীব তথা আভোগ, তদনুযায়ী তার স্থূল শরীর মেলে৷ যার মনে কেবল খাবার বাসনাই রয়েছে, পরমপুরুষ তাকে শুয়োরের শরীর দেবেন, যত খুশী সে খেতে পারবে৷ যার মনে ক্রোধ বেশী, তার মোষের শরীর মিলবে---যত বেশী ক্রুদ্ধ হতে চায়, হতে পারবে৷ আবার যার মনে পরমপুরুষের সান্নিধ্য লাভের বাসনা জাগবে, সে খুব উন্নত মানব শরীর লাভ করবে, সাত্ত্বিক শরীর লাভ করবে৷ যেমন আভোগ, তদনুযায়ী মানুষকে চলতে হয়৷

সংস্কৃতি ও সভ্যতা

সাধারণতঃ ‘সমাজ’ বলতে নারী ও পুরুষের সমাহারকে বোঝায়৷ কিন্তু শব্দটির মূলগত তাৎপর্য তা নয়৷ প্রকৃত অর্থে ‘সমাজ’ বলতে বোঝায়, যেখানে সকলে একই কর্মবন্ধনে, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে চলেছে---‘সমনাম্ এজতে’৷ আমরা কখনো কখনো বাসে, ট্রামে, ট্রেনে বহু লোককেই তো একত্রে দেখে থাকি৷ কিন্তু তা সমাজ পদবাচ্য নয়৷ একটা সর্বজনগ্রাহ্য আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যখন অনেক মানুষ একই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় ও তাকে পাওয়ার জন্যে সক্রিয় হয়ে ওঠে তখনই তা সমাজ পদবাচ্য৷ ইংরেজী‘society’ শব্দটি ‘সমাজ’ শব্দের খাঁটি প্রতিশব্দ নয়৷ সামাজিক অগ্রগতি এক ধরণের সামাজিক কর্মেরই ফলশ্রুতি যেখানে পারষ্পরিক ঐক্যবন্ধন আরও বেশী সুদৃঢ় হয়ে সম্মিলিতভা

এন আর সি-র থাবা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসক দলের ছোট-বড় নেতা-নেত্রীরা প্রায়ই হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন, পশ্চিমবাঙলায় এন অর সি লাগু করা হবে৷ এন আর সি-র আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে এই পশ্চিমবাঙলায়ও অসমের মত আত্মহত্যার মিছিল শুরু হয়েছে৷ এ পর্যন্ত এই বাঙলায় ১২ জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে৷

শারদোৎসবের আলোকে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির বুকেও আসে পরিবর্তন৷ আর তার প্রভাব মানুষের মনে প্রত্যক্ষ ভাবেই অনুভূত হয়৷ গ্রীষ্মের দাবদাহের পর বর্ষার একঘেয়েমি মানুষের মনকে করে তোলে বিষণ্ণ্৷ এরপর শরতের ফুরফুরে শীতল বাতাস, ঝকঝকে রোদ্দুর, মাঝে মাঝে এক পশলা বৃষ্টির ছঁোয়া আর নীল আকাশে ফালি ফালি মেঘের ভেসে যাওয়া মানুষের মনকে ভারমুক্ত, হালকা করে দেয়৷ প্রকৃতির কোলে কাশফুলের হিন্দোল সূর্যকিরণে ঘাসের পাতায়  শিশিরের ঝিকিমিকি, হাওয়ায় শিউলির সুবাস মানুষের মনে আনন্দের আবেশ ছড়িয়ে দেয়৷ এই শরতের আনন্দময় পরিবেশ বাঙালীর জীবনে নিয়ে আসে বাঙলা তথা ভারতের সর্ববৃহৎ উৎসব---শারদোৎসব৷ বাঙালী ও ভারতীয় সমাজে শারদোৎসবের প্রভাব সুদূরপ

ত্রিস্তরীয় উন্নতি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷