November 2019

বেকার সমস্যা সমাধানে ব্লক ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা  ও সমবায়ের বাস্তবায়নই একমাত্র পথ

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক বিশাল দেশ৷ এর প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫২১টির অধিক পঞ্চায়েত আছে৷ আর প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০টিরও অধিক গ্রাম আছে৷ সেই অনুপাতে বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ এক নয়, মরুভূমি, পার্বত্য এলাকা, অসমানতা, সমতলভূমি, বনাঞ্চল, উর্বর, অনুর্বর ভূমি আছে৷ বিভিন্ন এলাকার নানা প্রাকৃতিক কারণে নানা ধরণের বনজ, কৃষিজ, খনিজ সম্পদ আছে৷ নানা ভাষাভাষীর ভাইবোনেরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কালাতিপাত করেন৷ প্রতিটি পঞ্চায়েত ও গ্রামকে আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংভর করে’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কংগ্রেসী আমলে ব্লক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়৷ আঞ্চলিক ভিত্তিতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পরিকল্পনাকে যদি জোর দেওয়া হয় তাহলে ম

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়া সম্মেলন

সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে ১১ই অক্টোবর সংঘটনের অডিটোরিয়ামে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হ’ল বিজয়া সম্মিলনী৷ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী গৌতম সুন্দর৷

‘আমরা মহিলা’ শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়৷ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাঙ্গীতিক শিল্পী গোষ্ঠীর শ্রাবণী দাস, অরিন্দম আচার্য শুভ্রা ঘোষ, সঞ্জয় চ্যাটার্জী, অভিষেক মিত্র, সুনিতা ঘোষ, ডাঃ নির্মাল্য ঠাকুর, আবীর চ্যাটার্জী, শম্পা রায়, মায়া দাস ও জয়ন্ত পাল৷

গীটারে লঘু সঙ্গীত পরিবেশন করেন পণ্ডিত স্বপন সেন, আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবব্রত সরকার, অদিত্য নাথ, মালা মুখার্জী ও আরো অনেকে৷

মনে পড়ে ২১-এর স্বীকৃতি ১৭ই নভেম্বরে

পথিক বর

সাম্প্রদায়িক বিভেদের গর্ভে জন্ম নেয় পাকিস্তান৷ তথাকথিত দেশপ্রেমিক নেতাদের ক্ষমতার মোহ, অন্ধ বাঙালী বিদ্বেষ ও নেতাজী আতঙ্ক দেশভাগ তথা বাঙলা ভাগের অন্যতম কারণ৷ সাম্প্রদায়িক বিভেদ একটা অজুহাত মাত্র৷ দেশবন্ধু অনেক আগেই গত হয়েছেন৷ বয়সের সীমা অতিক্রম করেননি রবীন্দ্রনাথও৷ আতঙ্ক একটাই---সুভাষ! দেশীয় পুঁজিপতি ও বিদেশী রাজশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুভাষকেও দেশছাড়া করা গেছে৷ কিন্তু বিদেশে গিয়েও যেসব কাণ্ড বাধাল! আস্ত একটা রাষ্ট্রীয় বাহিনী নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ!

কোটশিলায় বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন

গত ২৬শে সেপ্ঢেম্বর কোটশিলায় স্থানীয় ‘বিদ্যাসাগর জন্মোৎসব উদ্যাপন কমিটি’র উদ্যোগে জিউদারু উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান ভবনে সারাদিন ব্যাপী এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়৷ কোটশিলা জিউদারু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুরুকুল বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রারা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে কোটশিলা বাজারে ও সংলগ্ণ পথ পরিক্রমা করে৷ এই উপলক্ষ্যে জিউদারি সুকল মোড়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্ত্তির আবরণ উন্মোচন করে আবক্ষ মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন প্রধান অতিথি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত৷ প্রবীণ

শিব, কৃষ্ণ ও রাম

আচার্য মোহনানন্দ অবধূত

পরমপুরুষের হাজার হাজার নাম৷ পরমপুরুষ অনন্ত, তাঁর লীলাও অনন্ত আর তাঁর গুণও অনন্ত৷ লোকে সাধারণভাবে বলে যে হরি অনন্ত, হরি কথাও অনন্ত তাঁর অনন্ত গুণাবলীর জন্যে তাঁর অনন্ত নাম৷ এক-একটি নামে তাঁর বিশেষ বিশেষ ভাব নিহিত আছে৷ যেমন পরমপুরুষের এক নাম গোবিন্দ৷ এর মানে হ’ল যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে জানেন, সমগ্র সৃষ্টি যার নখদর্পণে---তিনি হলেন গোবিন্দ৷ তেমনি তাঁর এক নাম মাধব৷ যিনি প্রকৃতির শক্তির স্বামী অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক৷ মা-মানে প্রকৃতিশক্তি আর ধব মানে স্বামী৷ সাধবা মানে যার স্বামী বর্তমান বা জীবিত৷ তেমনি কেশব, মধুসূদন, বাসুদেব প্রভৃতি৷ লোকে শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম জপ বা পাঠ করেন৷ শুধু ওই অষ্টোত্তর হতনাম হ

যতদিন পুঁজিবাদের রাজত্ব চলবে ততদিন বেকারত্ব.....

শ্রী রঞ্জিত বিশ্বাস

বর্তমান এই বৈশ্য তথা পুঁজিবাদী নিয়ন্ত্রিত সমাজে যদি প্রাচীন মুণি-ঋষিরা বেঁচে থাকতেন তবে তাঁরা অবশ্যই বলতেন---সবার উপরে মানুষ সত্য, / তাহার উপরে বেকারত্ব৷ হ্যাঁ, আজকের বিশ্বে বেকারত্ব একটা বিষাক্ত জ্বালা ও জটিলতর সমস্যা৷ দেশে, রাজ্যে, শহরে, গ্রামে সর্বত্র কিছু থাক বা না থাক বেকার বিরাট আকার ধারণ করে আছে৷ আর তা দিনকে দিন ৫জি গতিতে বেড়ে চলেছে৷ যে গতি বর্তমান ভারতে সবচেয়ে বেশী৷ অর্থাৎ বর্তমান মোদী জমানায় ভারতে বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক মন্দা চরম বিপজ্জনক আকার ধারণ করেছে৷ যা সম্প্রতি সাবেক আর বি আই-এর গভর্ণর রঘুরাম রাজন স্বীকার করে বলেছেন, ভারতের বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব৷ তাছাড়া আন্তর্জা

বাঙলা প্রেমের আড়ালে এরা কারা?

মনোজ দেব

উটকো বাঙালী সংঘটনের নামে নৈহাটীতে একটি অবাঙালী যুবকের সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে তা কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়৷ কিন্তু এই আচরণের যাঁরা বিরুদ্ধাচারণ করছে তাদেরও বাঙালী প্রেম কতটা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে৷ এরা কারা? এই দু’পক্ষের লোকেদের আচরণই সন্দেহজনক৷ সন্দেহ হয় এই পক্ষবিপক্ষ একই পক্ষ নয়তো? হয়তো এরা দু’পক্ষই বাঙালী আবেগকে বিপথে চালিত করতে চায় বা প্রকৃত বাঙালী চেতনাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে এহ পক্ষ-বিপক্ষের নাটক৷ নৈহাটীতে অনুষ্ঠিত পক্ষপন্থীরা বাঙলা প্রেমের নামে একটি বিশেষ দলের বিরুদ্ধাচরণ করছে ও এর পেছনে রাজ্যের শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদত আছে৷

প্রভাত সঙ্গীতের ৩৭ বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে কলকাতায় প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান

২৭শে অক্টোবর, কলকাতা ঃ গত ২৭শে অক্টোবর রবিবার বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও সঙ্গীতগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরোরোপিত প্রভাত সঙ্গীতের ৩৭ বৎসর পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’ (রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাশোসিয়েশন) একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷ কলকাতাস্থিত আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রম প্রাঙ্গনে সুদৃশ্য মঞ্চে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিবেশিত হয়৷

শান্তিনিকেতনের বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মিঠু বাগদীর নির্দেশনায় ও ‘সবুজকলি’ নৃত্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সমবেত নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়৷

গুড়িডিতে অখণ্ড কীর্ত্তন ও নামকরণ অনুষ্ঠান

গত ২রা ও ৩রা অক্টোবর আনন্দনগর সংলগ্ণ গুড়িডি গ্রামে ‘বাবানাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দনগরের সর্বস্তরের সমস্ত কর্মীবৃন্দ, মার্গী ভাইবোন ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন শেষে আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর এক মনোজ্ঞ তত্ত্বসভাও অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিশেষে গুড়িডি গ্রাম নিবাসী শ্রী উমেশ গরাই ও মানসি গরাইয়ের শিশুপুত্রের নামকরণ ও মুখে ভাত অনুষ্ঠান ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’ বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷

জয়পুরে সাড়ম্বরে শারদোৎসব উদযাপন

পুরুলিয়া জেলার জয়পুর ব্লকের কামুখাপ গ্রামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ ইয়ূনিটের উদ্যোগে শারদোৎসব পালিত হয়৷ আনন্দমার্গের চর্যাচর্য অনুযায়ী ষষ্ঠীর দিন শিশুদিবস, সপ্তমীতে সাধারণ দিবস, অষ্টমীতে ললিতকলা দিবস, নবমী ও দশমীতে যথাক্রমে সঙ্গীত দিবস ও বিজয়োৎসব পালিত হয়৷