January 2020

উন্নয়ন পরিকল্পনা

প্রাচীন পৃথিবীতে  রাষ্ট্রিক ও বৈবসায়িক লেনদেনে প্রচলিত ছিল স্বর্ণমান৷ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিত্তমান (bullion) ছিল স্বর্ণের৷ তবে কোন কোন দেশে রৌপ্যও ছিল৷ যে সকল দেশে স্বর্ণমান ছিল তারা কেউ কেউ রৌপ্য বিত্তমানকে স্বীকৃতি দিত, কেউ বা দিত না৷ স্বর্ণমানের দেশ রৌপ্য–মানকে স্বীকৃতি না দিলে বিত্তমানগত তারতম্যের দরুণ মুদ্রাগত লেনদেন সম্ভব ছিল না৷ তাই সেই সকল দেশের মধ্যে বিনিময় বাণিজ্য (barter trade) চলত৷

‘‘কুরঙ্গ বদলে লবঙ্গ নিব, কুমকুম বদলে চুয়া,

গাছফল বদলে জাইফল পাব, বহেড়ার বদলে গুবা৷’’

নববর্ষের প্রাক্কালে---আলো-অন্ধকারে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কালের প্রবাহে বহে গেল গেল আরও একটা বছর৷ দিন-রাত্রি, সুখ-দুঃখের মত এই বছরটাও কেটে গেল আলো-অন্ধকারে৷ কিন্তু বছর শেষে অন্ধকারের আশঙ্কাই যেন ঘনিয়ে আসছে৷ অর্থনৈতিক বিপর্যয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক বিভাজনের নীতি আর একটা অন্ধকারময় বছরের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷

আর ক’দিন পরেই বিদায় নেবে ২০১৯৷ নোতুন বছরের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে একবার ফিরে দেখা যাক এই বছরটা কি দিয়ে গেল৷

মনের বিকাশ

সত্যসন্ধ্য দেব

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন–‘‘মানুষের মধ্যে রয়েছে দেবত্বের বীজ, তাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য হ’ল বহিঃপ্রকৃতি ও অনন্তঃপ্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রমের মাধ্যমে সে অন্তর্নিহিত দেবত্বকে প্রকাশিত করা৷’’

হিন্দীর আগ্রাসন দেশের সংহতি বিপন্ন করবে

মনোজ দেব

কিছুদিন আগে দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক ভাষা, এক দেশের কথা বলেছিলেন৷ দক্ষিণ ভারত সহ অহিন্দীভাষী রাজ্যগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন একটা পরিকল্পনার কথা বলেন তখন সেটা তাঁর সরকারের পরিকল্পনা বলেই ধরে নেওয়া যায়৷ প্রতিবাদের চাপে পড়ে পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা বললেও রাজ্যগুলির ওপর হিন্দী চাপাবার প্রয়াস জারি আছে৷

সংগ্রামের সরণি বেয়ে.....

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর বুকে যেদিন প্রথম সৃষ্টির বীজ অঙ্কুরিত হ’ল, জেগে উঠল নবজীবনের প্রথম পল্লব---সমগ্র প্রকৃতি সেদিন ছন্দায়িত হয়েছিল নতুনের স্পন্দনে৷ নবাঙ্কুরের সম্ভাষণে আকাশের নীলিম পর্দায় ফুটে উঠেছিল বিশ্ববিধাতার নবসৃষ্টির আনন্দাপ্লুত মুখচ্ছবি৷ নবীন প্রভাতে নবারুণের রশ্মিচ্ছটায় ছিল বিনম্র প্রণিপাত,মলয় প্রবাহে যুক্ত হ’ল আরও স্নিগ্দতা, মেঘমালায় স্পন্দিত পুলকের হিল্লোল, জলধির তরঙ্গমালায় এক অনাস্বাদিত উন্মাদনা, রাতের আকাশে নীহারিকাপুঞ্জে কোটি তারকার সালোক উল্লাস৷ বিশ্বজোড়া এই আনন্দের মাঝেও ছিল দুরন্ত জীবন সংগ্রাম, জীবসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার ঐকান্তিক প্রয়াস৷

মনে পড়ে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার

পথিক বর

 ১৭ই ডিসেম্বর দিনটি আজ আর কেউ মনে রাখেনি৷  কিন্তু ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ভারত বর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন৷ পরাধীন ভারতবর্ষে মেদিনীপুর নামটাই কাঁপন ধরাতো সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের বুকে৷ মেদিনীপুরকে  বাদ দিয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে৷ সেই মেদিনীপুরে তমলুক, প্রাচীন তাম্রলিপ্ত শহরও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণোজ্জ্বল ভূমিকা নিয়েছিল৷ সেই ১৯০৫ সালে বঙ্গ-ভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন সবেতেই পুরোভাগে তাম্রলিপ্ত শহর৷

বাংলা বানান সংস্কার

কর্ষক : এমনিতে যাঁরা চাষবাস নিয়ে থাকেন তাঁদের জন্যে সংস্কৃত ভাষায় বেশি প্রচলিত শব্দ দু’টি রয়েছে–কৃষীবল ও কর্ষক৷ ‘কর্ষক’ শব্দটি কৃষ ধাতু থেকে উৎপন্ন৷ যাঁরা এই কর্ষককে ‘কৃষক’ বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা না জেনেই এই ভুল করেছেন৷ আর যাঁরা আজও ‘কৃষক’ লেখেন তাঁরা ভুলকে ভুল না জেনেই লেখেন৷ আমরা ‘আকর্ষক’ ‘বিকর্ষক’ বলবার সময় ঠিক বলি কিন্তু কেন বুঝি না ‘কর্ষক’ বলবার সময় ভুল করে কৃষক বলে ফেলি৷

ভারতের সমাজগুলিকে  বাঁচাতে বিকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক আন্দোলন জরুরী

প্রভাত খাঁ

প্রথমেই বলি ভারতে যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের নির্দ্দেশ মতাবেক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে৷ এখানকার কেন্দ্রীয় শাসকগণ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাকে দলীয় স্বার্থে ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ব্যবহার করে৷ছলে-বলে কৌশলে  কেন্দ্রের শাসক রাজ্যের  সরকারকে ভেঙ্গে দিয়ে নিজেদের অধীনে এনে শাসন ক্ষমতা কায়েম রাখে৷ স্বৈরাচারিতার এই নজির রেখে গেছে বিগত কংগ্রেস সরকার ইন্দিরা গান্ধীর আমলে৷ কিন্তু কংগ্রেসের পরিণতি মোটেই উজ্জ্বল ও গৌরবের নয়৷ বর্ত্তমানে যে দল শাসনে এসেছে  তাদেরও শাসন ব্যবস্থায় দেশবাসী সন্তুষ্ট নয় ৷ কারণ তাদের আর্থিক সংস্কার  জনগণকে  পথে বসিয়েছে৷ তাছাড়া বিদেশী তাড়ানোর নামে যা কান্ড করছে সেট

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র অনুযায়ী বৈপ্লবিক বিবাহ

কৃষ্ণনগর, রাধানগর  ঃ কৃষ্ণনগর শহরের রাধানগর অঞ্চলে সৃজনী আবাসনের প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রীগোবিন্দ বিশ্বাস ও শ্রীমতী অর্চনা বিশ্বাসের কনিষ্ঠ পুত্র শ্রীমাণ শান্তনুর সঙ্গে কৃষ্ণনগর শহরের রাধানগর শ্রীচৈতন্য লেনের শ্রী সতীন্দ্র সরকার ও মিনতি সরকারের কন্যা মেধার সঙ্গে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র অনুসারে স্থানীয় ‘মোহর ম্যানসন’ (লজ)-এ বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা ও মিঠু মুখার্জী৷ ধর্মচক্রের পর আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে মূল অনুষ্ঠান বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে পাত্রপক্ষে পৌরোহিত্য করেন আচার্য অনুপমানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে

অখণ্ড কীর্ত্তন

উত্তর ২৪ পরঘণা  জেলার, দূর্গানগরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও এই জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রী সন্তোষ বিশ্বাসের বাড়ীতে গত ৭ই ডিসেম্বর ছয় ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূতের পরিচালনায় অসংখ্য ভক্তদের উপস্থিতিতে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানটি শ্রী সন্তোষ বিশ্বাসের গৃহে একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলের সৃষ্টি করে৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, হরলাল হাজারী প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য পরিবেশন করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন কেন করা হয ও কীর্ত্তনের উপযোগিতা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আ