February 2020

নেতাজীর সমন্বয়বাদ ও প্রাউটের সংশ্লেষণাত্মক মানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

নেতাজীর চিন্তাধারার মূল কথা হ’ল–সমন্বয়বাদ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘That synthesis is called by the writer samyavad—the Indian word, which means literally—the Doctrine of Synthesis or equality’’—(Indian Struggle by Netaji).

শীতকাল ও রবীন্দ্রসংগীত

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

হেমন্তের পরে আসে শীত৷ সকালবেলা পাকা ধানের শিষে শিষে  ঝলমলিয়ে ওঠে শিশিরবিন্দু৷ ‘সকাল হতে সন্ধ্যে’ সমস্ত ক্ষেত মুখর হয়ে ওঠে ধান কাটার গানে৷ চাষীর গোলায় ধান আর ধরে না, ছড়াছড়ি  যায় গৃহের  প্রাঙ্গণে৷ শুধু ধান নয়৷ শাকসব্জীর ক্ষেতও ফসলে পরিপূর্ণ৷ পালংশাক , বাঁধাকপি, ফুলকপি, কড়াইশঁুটি, বেগুন, টম্যাটো, নতুন আলু , মূলো, বিট, গাজর--- আরো কত রকম ফসল৷ খুব সস্তা৷  যত পারো খাও৷ তাই বুঝি  আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ  শীতকালকে এমন সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করেছেন---

নমো, নমো, নমো৷

নমো, নমো, নমো৷

তুমি ক্ষুধার্তজনশরণ্য,

অমৃত-অন্ন-ভোগ ধন্য করো

অন্তর মম৷৷

স্বদেশ প্রেমের অপর নাম ঃ তেইশে জানুয়ারী

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

(পূর্ব প্রকাশিতের পর )

এই সময়েই শুরু হ’ল সুভাষচন্দ্রের জীবনে এক চরম পরীক্ষা৷ একদিকে উচ্চ বেতনের সরকারী চাকুরীর নিশ্চিত আরামের জীবন, আর অন্যদিকে জীবনের সর্বোচ্চ আদর্শ ও অপরিসীম দুঃখ-কষ্ট সহ দারিদ্র্যের জীবন---এই দু’য়ের দ্বন্দ্বে তাঁর মনোজগতে তোলপাড় চলতে লাগল৷ কিন্তু মাতৃভূমির পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্যে যে মহা বিপ্লবীর জন্ম, তাকে সোণার খাঁচায় বন্দী করা কি এতই সহজ? ইংরাজ প্রভুদের গোলামীর দুরন্ত প্রলোভন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে’ তিনি দেশবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী রূপে জীবনপণ করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ভারতের মুক্তি সংগ্রামে৷ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে সংযোজিত হ’ল এক নূতন অধ্যায়৷

শাহ হুমকী

ভারতের কদর্য রাজনীতির আঁতুড় ঘর উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক সভায় অমিত শাহ কদর্য ভাবে ব্যঙ্গ করে মমতা ব্যানার্জী ও রাহুল গান্ধীর নাম করে হুমকী দিয়ে বলেন, যে যতই ক্যাও ক্যাও করুক সি.এ.এ ফেরানোর প্রশ্ণ ওঠে না৷ যার যত বিরোধিতা করার করুন সি.এ.এ. প্রত্যাহার হবে না৷

মান্ডে মন্তব্যে নারাজ

প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান বিষয়ে সুপণ্ডিত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন---অর্জুনের তীরে পরমানু শক্তি ছিল৷

সম্প্রতি কোলকাতায় কাউন্সিল  অব সায়েন্টিফিক এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সংস্থার  ডিরেক্টর  জেনারেল  শেখর সি মান্ডে৷ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় অর্জুনের তীরে পরমাণু শক্তির বিষয়ে৷ তিনি অবশ্য এ বিষয়ে  কিছু বলতে চাননি৷ তিনি  বলেন আমি এমন কথা  শুনিনি  তবে প্রাচীন  ভারতের  বিজ্ঞান গবেষণার চর্চা করা দরকার৷

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রই নেতাজীর আত্মত্যাগ সার্থক করবে

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আবার আসছে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?

লবণের প্রয়োজন

‘লবণ’ শব্দের অর্থ হ’ল যে সৌন্দর্য বা লাবণ্য আনায়৷ প্রয়োজন মত লবণ শরীরে গৃহীত না হলে শরীরের সৌকুমার্য ও কমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায়৷ এই অর্থেই লবণ শব্দটি তৈরী হয়েছে৷ ‘লবণ’ মানে লক্তপ্রাণ (রক্তপ্রাণ)৷

প্রাগৈতিহাসিক সমাজ

প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ–সমাজে নারীর স্থান ছিল অন্যান্য যে কোন জীবের স্বাধীন নারীর মতই৷ পুরুষেরা যেমন প্রকৃতির কোলে নেচে গেয়ে হেসে খেলে জীবন কাটিয়ে দিত নারীরাও তা–ই করত৷ এই অবস্থা চলেছিল যখন মানুষ সমাজ বলতে কোন কিছুই গড়েনি তখন তো বটেই, তার পরেও মাতৃশাসনের যুগেও৷ কিন্তু যখনই পিতৃশাসিত সমাজ ব্যবস্থা এল তখনই নারীর অধিকার ক্রমশঃ সঙ্কুচিত করা হতে থাকল৷ গোড়ার দিকে ঠিক করা হ’ল মেয়েরা ততটুকু স্বাধীনতা ভোগ করবে যতটুকু বিবাহের পরে তার শ্বশুরকুল তাকে ভোগ করতে দেবে বা বিবাহের পূর্বে পিতৃকুল তাকে যে সুযোগটুকু দেবে৷

ফাঁদ

সুকুমার সরকার

দেশ জাতি আর ভাষা কাড়ো

ধর্মে ধর্মে বিভেদ কর৷

কিছুতেই কিছু মানবো না

তোমায় আমরা মানবো না৷

একই ভূগোল এই উপমহাদেশ

মুক্ত নদীর মুক্ত বেণী, মুক্ত কেশ

ভুলবো না ভাই ভুলবো না

তোমায় আমরা মানবো না৷

একই বাতাস একই জল

একই ফুল, ফল ও ফসল

ভুলবো না ভাই ভুলবো না

তোমায় আমরা মানবো না!

ভাত-কাপড়ের নিশ্চয়তা ছেড়ে

মারছো কেবল নিয়মের গিরে

যতই মারো ভুলবো না

তোমায় আমরা মানবো না৷

এন.আর.সি. আর এন.পি.আর-এর কল

নাগরিকত্ব আইনের নামে মৃত্যুর শৃঙ্খল

সাধ করে কেউ পরবো না ভাই পরবো না

প্রতিবাদ

প্রতিবাদের মৌন মিছিল

যবে রাজপথ ধরে চলে

নীরবতা সেথা কথা বলে৷

ছেলে হারানো মায়ের ক্রন্দনে

যেথা পাষাণ গলে

নীরবতা সেথা কথা বলে৷

শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধায় নত

মোমবাতীর শিখা জ্বলে

নীরবতা সেথা কথা বলে৷

লালসার শিকার যে মেয়েটি

সমাজে মুখ লুকিয়ে চলে

নীরবতা সেথা কথা বলে৷

অজ্ঞতা যেথা নির্বিচারে

শাসন করে চলে

নীরবতা সেথা কথা বলে৷

দানব হুঙ্কার  যবে গতিময়

ধরণী স্তব্ধ করে ফেলে

নীরবতা সেথা কথা বলে৷

দূরাচারীর আস্ফালনে যেথা

মানবতা ভাষা হারিয়ে ফেলে