January 2021

প্রথম করোনা টিকা

কোভিড-১৯ জয়ের লড়াইয়ে ইতিহাসে নাম লেখালেন ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যাণ্ডের বাসিন্দা নববই পার করা বৃদ্ধা মার্র্গরেট কিন্যান৷ গত ৮ই ডিসেম্বর কোভিড প্রতিষেধকের  প্রথম ডোজটি নিলেন মার্র্গরেট৷ বিশ্বে তিনিই প্রথম যিনি করোনা প্রতিষেধকের টিকা নিলেন৷ একসপ্তাহ আগে ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর তৈরী টিকাকে অনুমোদন দেয় ব্রিটেন সরকার৷ তার একসপ্তাহ পরে টিকা দেবার কর্মসূচী শুরু হয়৷ এই গণ টিকা করণের তালিকায় শুরুর নামটি মার্র্গরেট কিন্যান৷ ২১দিন পর তাঁকে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে৷

নূতন পুরোনো কোন আইনে সমাধান নেই - কৃষিব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চাই

কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে দেশ উত্তাল৷ আন্দোলনের ঢেউ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে পক্ষকাল ধরে অবরুদ্ধ দেশের রাজধানী৷ ৮ই ডিসেম্বর বন্‌ধ পালন করে সরকারকে ধাক্কা দিতে চাইলেও সরকার কৃষি আইন সংস্কারে অনড়৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায় অতীত আইন বর্তমানে অচল৷ নূতন সুবিধা, নূতন ব্যবস্থার জন্যে আইনের সংস্কার প্রয়োজন৷

পরিযায়ী নেতা

এই মূহুর্তে বহিরাগত নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম৷ ভিন রাজ্যের নেতা কর্মীরা বাঙলায় এসে বাজার গরম করছে৷ কেন্দ্রীয় শাসকদলের বঙ্গীয় রাজ্যনেতাদের প্রতি আস্থা নেই৷  তাই ভিনরাজ্য থেকে নেতা এনে আগামী বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে৷ এই ভিনরাজ্যের নেতাদের নিয়েই বহিরাগত বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ কিন্তু ওই বহিরাগত নেতারা একদেশ  এক আইনের ফেরিওয়ালা, তাই বহিরাগত তত্ত্ব ওরা মানতে নারাজ৷

জনস্বার্থ বিরোধী কৃষি আইনের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ

জনস্বার্থ বিরোধী কৃষি আইন বাতিল ও বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রূপায়ন করে গ্রামীন অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ণের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ জেলায় জেলায় আন্দোলন শুরু করেছে৷

৬ই ডিসেম্বর হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল পানিয়াড়া, ধামসিয়া, বিকিহাকোলা বাজার, রাণীহাটী প্রভৃতি  স্থানে কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ বিক্ষোভসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়, ইমতিয়াজ আলি, অমর চ্যাটার্জী, প্রদীপ খাঁড়া প্রমুখ৷

পরলোকে শান্তনা দে

শিলচর শহরের বিশিষ্ট ‘আমরা বাঙালী’র নেত্রী শ্রীমতি শান্তনা দে লিঙ্করোড ৭নং গলির নিজ বাসভবনে ভোর সাড়ে  তিনটায় পরলোক গমন করে৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯বছর৷ বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্দ্ধক্য রোগে ভুগছিলেন৷ মৃত্যুকালে দুই পুত্র সুমিতাংশু দে, ডাক্তার শুভমাংশু দে ও একমাত্র বিবাহিতা কন্যা রাখী দে সহ অসংখ্য গুণমুগ্দ রেখে গেছেন৷ তার মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন প্রাক্তন কমিশনার ও আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ, শিলচর পুরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার রতন সরকার, শিক্ষাবিদ পুলিন দাস, শিক্ষাবিদ সমিন মেদি সহ আরো অনেকে৷

প্রগতিশীল তত্ত্ব অনুসারে কৃষি সমস্যার সমাধান করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতার পর ৭৩ বছর কেটে গেল৷ একটা দেশের পক্ষে সাবালোক হওয়ার জন্য ৭৩টা বছর অনেক বেশী৷ কিন্তু ভারত সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সবদিকেই এখনও নাবালোক--- হামাগুড়ি দিচ্ছে, সামাজিক ভেদ-বিদ্বেষ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক সংঘাত দেশকে অধঃপতনের শেষ সীমায় নিয়ে যাচ্ছে ৷ স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সরকারই সামাজিক শান্তি ও একতা রক্ষা করতে ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে কোন বলিষ্ঠ নীতি গ্রহণ করতে পারে নি৷ আসলে পুঁজিপতিদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো যে যখন ক্ষমতায় এসেছে সে তখন পুঁজিপতিদের তুষ্ট করেছে আর নিজের মতো করে  তুঘলকি শাসন চালিয়ে গেছে৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ধর্ম-সাহিত্য- সংসৃকতি-ভাষানীতি

ভক্তির সাহায্যে সর্বাত্মক জয়

কিছু মানুষ আছে যাদের মধ্যে এষণা আছে৷ কিন্তু তারা ঠিক পথ–নির্দেশনা পায়নি৷ তারা জানে যে, পরমপুরুষ তাদের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, কিন্তু ঠিক ঠিক রাস্তা জানে না, সঠিক পথনির্দেশনা পায়নি৷ বই পড়ে সাধনা করা উচিত নয়, সাধনার জন্যে গুরু প্রয়োজন৷ বই পড়ে বা কারুর কাছে শুণে সাধনা করা বিপজ্জনকও কারণ এতে লক্ষ্য সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা তৈরী হয় না৷ কোন্ দিকে সে এগিয়ে যাচ্ছে ৰুঝতে পারে না৷ নৌকা চলছে, কিন্তু নৌকার যে চালক সে জানে না কোথায় যেতে হবে৷ তাহলে কী হবে? অযথা হয়রানি হবে৷ সে দুর্ঘটনারও শিকার হতে পারে৷

সামাজিক–অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ

সভ্যতার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে জেগেছিল শিল্প সৃষ্টির এষণা ও প্রেষণা৷ এষণাই প্রেষণাকে ডেকে আনে৷ সভ্যতার প্রথম ধাপে শিল্পমাত্রই ছিল কুটির শিল্প৷ নারী–পুরুষ–বালক–ব্ নির্বিশেষে সবাই শিল্প রচনায় হাত লাগাত৷ পরে দেখা গেল কিছু  শিল্প গ্রামে গ্রামে করা যায় না.....করতে হয় কিছু সংখ্যক গ্রাম নিয়ে৷ তা না হলে তাদের একদিকে যেমন বাজারের ঘাটতি পড়ে, অন্যদিকে তেমনি শিল্পীর সংখ্যাতেও অভাব দেখা দেয়৷ তখন মানুষ প্রথম শিল্পায়োগ বা কারখানায়* যেতে শুরু করল৷ এখানে প্রসঙ্গতঃ একটা কথা বলে’ রাখি৷ শিল্প যত বেশী কুটীর–শিল্প হয়, শিল্প যত বিকেন্দ্রীকৃত হয়, মানুষের সুবিধা তত বেশী৷ এতে যে শুধু আর্থিক সামর্থ্যকে চারি

কেন্দ্রের কর্ষক স্বার্থবিরোধী কৃষি আইনের প্রতিবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেন্দ্র পুঁজিপতিদের স্বার্থে কর্ষক (কৃষক) বিরোধী কৃষিবিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করেছে৷ তার প্রতিবাদে সারা দেশ আন্দোলনে উত্তাল৷ হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের চাষীরা দিল্লি অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ ৮ই ডিসেম্বর কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে ভারত বন্‌ধ পালিত হ’ল

কিন্তু মোদি সরকার কর্ষকদের দাবী মানতে নারাজ৷ মোদিজী বলেই চলেছেন, তাঁরা চাষীদের শৃঙ্খলমুক্তির জন্যেই এই আইন পাশ  করিয়েছে৷ কী আছে এই আইনে? এই আইনের একটি দিক হ’ল---অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধন৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় আজ থেকে বহু বছর (১৮৬৫সালে)আগেই বর্ণপরিচয়, ২য়খণ্ড বইতে প্রথম পাঠের প্রথমেই কুবাক্য (কুকথা) প্রসঙ্গে লিখেছেন--- ‘‘কখনও কাহাকেও কুবাক্য কহিও না৷ কুবাক্য কহা বড় দোষ৷ যে কুবাক্য কহে কেহ তাহাকে দেখিতে পারে না৷ কুবাক্যই কুকথা৷ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণপরিচয় পড়েননি এমন বাঙালী হয়তো হাতে গোনা পাওয়া যাবে৷ তিনি বাংলা ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ছোটোদের মধ্যে নীতি শিক্ষা দেবার জন্যই এই ধরনের বাক্যগুলি বর্ণপরিচয়ে লিখে গেছেন৷ অনেকে এই শিক্ষাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছেন, আবার কেউ কেউ কেবল পড়ার জন্যই শুধু পড়ে গেছে৷ জীবনে এই শিক্ষাকে গ্রহণ করার প্রয়োজন বোধ করে নি৷ বাঙলায় রাজনীতির