January 2021

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন চাই

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষের মাটিতে পশ্চিমী বণিকগণ ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসেন সেই প্রাচীনকালে মুঘল আমলে৷ তারা এদেশে এসে বুঝে ছিল৷ যে এদেশের মুসলমান শাসকগণ যতটা না দক্ষ শাসক তার চেয়ে বেশী ব্যষ্টিগত ভোগ বিলাসে মত্ত ছিলেন আর রাজকর্মচারীরা ছিলেন শাসকদের স্তাবক৷ তাঁদের হাত করতে পারলে শাসকগণকে পরোক্ষভাবে হাত করা যায়৷ তাই পশ্চিমী বণিকগণ বিশেষ করে ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানী খুবই ধূর্ত্তের সঙ্গে এদেশে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যায় ও রাজশক্তি কব্জা করার কূটচালে নেমে পড়ে ধীরে ধীরে৷ তাই রাজপরিবারের যাঁরা প্রভাবশালী কর্মচারী তাঁদের হাত করে রাজশক্তি অধিকার করতে কাজে নেমে পড়ে৷ তাই দেখা গেল ইংরেজ বণিকগণ ফরাসী বণিকদের চেয়ে অধিকতর ছলচাতু

ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙবে

গোবিন্দ মজুমদার

সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের ‘‘আনন্দমঠ’’ উপন্যাসের মুখবন্ধে বঙ্গজননীর রূপ বর্ণনা করে লিখিয়াছিলেন ‘‘মা যেমনটা ছিলেন, ঐশ্বর্যশালীনী, যেমন হয়েছেন রিক্ত নিঃস্ব আর যেমন হবেন৷’’ আর  এই উক্তিটির রেশ ধরে আমার প্রশ্ণ ‘‘আমরা বাঙালীরা কি ছিলাম, কি হয়েছি, আর কি হব?

বাঙালী সাবধান

সাধন পুরকায়স্থ

 বিজেপির নেতা বিজয়বর্গীয় মহাশয় গতকাল বারাসাতে বলেছেন আগামী পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে আমরা সরকার গড়লেই সকল মতুয়াসহ অন্যান্যদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেবেন৷ আশ্চর্যের বিষয় যাদের ভোটের বিনিময়ে বঙ্গের মসনদে আসীন হবেন তাদেরকে কিভাবে নাগরিকত্ব দেবেন৷ ভোটের আগে নাগরিক আর ভোটের পর তাঁরা বিদেশী! এটা কেমনতর কথা?

কর্ষক আন্দোলনের সমর্থনে বাঙালী কর্ষক সমাজ

আগরতলা ঃ বাঙালী কর্ষক সমাজের ত্রিপুরা রাজ্যসচিব শ্রী বিমল দাস ৭ই ডিসেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, জনস্বার্থ বিরোধী কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে বাঙালী কর্ষক সমাজ আন্দোলন করে চলেছে৷ আমরা ৮ই ডিসেম্বরের ভারত বন্‌ধকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি৷ তিনি বলেন নূতন কৃষি আইনের মাধ্যমে কর্ষকদের স্বাধীনতা হরণ করে পুঁজিপতি শোষণের পথ প্রশস্ত করবে৷ পুঁজিপতিরা নিজেদের পছন্দের শস্য উৎপাদনে কর্ষকদের বাধ্য করবে৷ কর্ষকদের ওপর নবরূপে নীলকর সাহেবের অত্যাচার শুরু হবে৷

বন্ধে সমর্থন অসম ‘আমরা বাঙালী’র

গত ৬ই ডিসেম্বর ‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্য সচিব সাধনপুরকায়স্থ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান---ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার সংখ্যাতত্ত্বকে সামনে রেখে রাজশক্তিকে ব্যবহার করে একটার পর একটা জনবিরোধী আইন তৈরী করে ভারতের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক ও সামাজিক, অর্থনৈতিক ভারসাম্যকে ভূলুন্ঠিত করে চলেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম কৃষিবিল ও অত্যাবশ্যকীয় বিল৷ এই বিলটি কৃষক ও সাধারণ নাগরিকদের পরিপন্থী৷ এই বিলের আইনে পরিণত হওয়ায় বাজারে সকল দ্রব্যে মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে বাইরে চলে গেছে৷ সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে৷ এই বিলটি কৃষকদের হাতে কৃষি জমির অধিকার থাকলেও শশ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের কোন নিয়ন্ত্র

পাঁশকুড়ায় নারী অভ্যুদয়ের সূচনা হল

গত ৫ই ডিসেম্বর শনিবার পাঁশকুড়া পুরসভার অন্তর্গত ৩নং ওয়ার্ডে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে  আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের মহিলা বিভাগ (সুরানানকার ইয়ূনিট) দ্বারা পরিচালিত ‘নারী অভূ্যদয়ের শুভ সূচনা হল, এই প্রতিষ্ঠানে দুঃস্থ মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে টেলারিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন সংঘের নারী কল্যাণ বিভাগের কেন্দ্রীয় প্রধান অবধূতিকা আনন্দ বিশাখা আচার্যা, প্রধান অতিথির  আসন অলংকৃত করেন অবধূতিকা আনন্দ উৎপলা আচার্যা, বিশেষ অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন শ্রী মানস কুমার দাস, শিক্ষারত্ন শিক্ষক --- ব্রাডলিবার্ট হাইসুকল, শ্রী মানস কালসার, ভূক্তিপ্রধান, পূর্বমেদিনীপুর ও শ্রী

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ৫ই ডিসেম্বর শনিবার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী মনোজ ঘোষের হোটেল এ্যাণ্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের সল্টলেক সেক্টর ১-এ নূতন ভবনের গৃহপ্রবেশ মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তন মিলিত সাধনার পর গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সুভধ্যানানন্দ অবধূত, অনুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গ দর্শন ও সমাজ শাস্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরে মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷

মার্গীয় বিধিতে নামকরণ

গত ৬ই ডিসেম্বর, ঝাড়খণ্ডে পাথরগামা নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অনিল কুমার মাহাতর নবজাত শিশুর  নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে শ্রী অনিল মাহাতর গৃহে তিনঘন্টা ‘অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে স্থানীয় মার্গীভাই-বোন ও শ্রী অনিল মাহাতর আত্মীয়-পরিজন উপস্থিত ছিলেন৷ নবজাত শিশুর নাম রাখা হয় জিতেশ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য সুধাময়ানন্দ অবধূত৷

ময়ূরভঞ্জে আনন্দমার্গের সাংঘটনিক সভা

জেলায় আনন্দমার্গের  আদর্শ ও জীবন দর্শনকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ব্যাপক প্রচার অভিযানের কর্মশুচী নিয়েছে ময়ূরভঞ্জ জেলার আনন্দমার্গের ইয়ূনিটগুলি৷ এই উপলক্ষ্যে জেলার প্রতিটি ইয়ূনিটে প্রস্তুতিসভা করছেন আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত, আচার্য মহিদেবানন্দ অবধূত, জয়কৃষ্ণ হালদার মিন্টু সামন্ত প্রমুখ৷

গত ২৮ শে ডিসেম্বর সিনি ব্লকের কাঞ্চপুরে, গত ৩রা ডিসেম্বর করঞ্জিয়া, ৪ঠা ডিসেম্বর দিব্যানন্দ নগরে  ও জেলার বিভিন্ন ইয়ূনিটে কর্মী সভা করেন৷

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

টাটানগর ডায়োসিসের ময়ূরভঞ্জের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী বনমালী নায়কের নবনির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান ৩০শে নভেম্বর মার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয়৷ এই উপলক্ষ্যে শ্রী নায়কের বাসভবনে ২৪ ঘন্টা ‘াা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে আনন্দমার্গ দর্শন ও সমাজ শাস্ত্র বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত, আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ অনুষ্ঠান শেষে দুঃস্থ গ্রামবাসীদের হাতে শীতবস্ত্র, কম্বল ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়৷