July 2021

পেট্রল---১০০ পার

কোভিড পরিস্থিতিতে সংক্রমন থেকে দূরে থাকতে অনেকেই মটর সাইকেলকে বাহন করেছে৷ তাদের কাছে এখন কোভিডের থেকেও বড় সন্ত্রাস পেট্রল-ডিজেল৷ গত ৭ই জুলাই কোলকাতা শহরে পেট্রলের দাম ৩৯ পয়সা বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটার ১০০.৩৯ টাকা৷ সেইসঙ্গে ডিজেলের দামও ২৩ পয়সা বেড়ে প্রতি লিটার হয়েছে ৯২.৫০ টাকা৷

করোনা বিধি-নিষেধের কবলে পড়ে এমনিতেই মানুষের বেহাল দশা৷ তার উপর গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেরও দাম বাড়ছে৷ মানুষ এখন আচ্ছাদিনের  সরকারের ওপর বেজায় চটেছে৷ সোস্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ অবশ্য রসিকতা করে লিখেছে-মোদিজী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর বয়স পেট্রলের দামের চেয়ে কম!

পৃথক রাজ্য চায় না গ্রেটার নেতা

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য চায় না গ্রেটার কুচবিহার পিপলস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন৷ শ্রী বর্মনের দাবী পৃথক রাজ্য নয়, কোচবিহার ভারতে অন্তর্ভুক্তির সময় যে চুক্তি হয়েছিল তা কার্যকর করতে হবে৷

চুক্তি অনুযায়ী সেই সময় কোচবিহার রাজ্যের মানুষের জন্যে যে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার  কথা হয়েছিল তা দেওয়া হোক৷ তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ তিনি বলেন---আমরা কোন মতেই উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্য হোক চাই না৷ উত্তরবঙ্গে মানুষের জন্যে বিজেপির যদি সত্যিই দরদ থাকে তবে কুচবিহার মহারাজের সঙ্গে ভারত সরকারের হওয়া চুক্তি কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত কার্যকর করুক৷

রাজ্য বিধান সভায় পাশ বিধান পরিষদের প্রস্তাব

রাজ্য ৫২ বছর আগে অবলুপ্ত হয়ে যায় বিধান পরিষদ৷ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনতে  সচেষ্ট৷ এবার নির্বাচনে বিপুল বোটে জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের জন্যে ক্ষমতায় ফিরে আবার বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছে৷ গত ৬ই জুলাই বিধান সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয় বিধান পরিষদ ঘটনের প্রস্তাব৷ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ১৯৬ জন বিপক্ষে ৬৯ জন৷

বিরোধী বিজেপি বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে৷ তাদের দাবী সংখ্যাগরিষ্টতার জোরে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হলেও লোকসভায় আটকে যাবে৷

পশ্চিমবঙ্গ ভেঙ্গে পৃথক রাজ্য নয় - অর্থনৈতিক অঞ্চলই সমস্যার সমাধান

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শাসক দলের দুই সাংসদ পশ্চিম বাঙলার উত্তরে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণে জঙ্গল মহল নামে দুই পৃথক রাজ্যের দাবী তুলেছে৷ এর বিরুদ্ধে রাজ্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ এক সাক্ষাৎকারে বলেন--- পৃথক রাজ্য কোন সমস্যার সমাধান নয়৷ এতে বরং রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরী হবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে৷ বর্তমানে কেন্দ্রের ভ্রান্ত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও কোভিড পরিস্থিতির কারণে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা আরও খারাপ৷ এই অবস্থায় পৃথকরাজ্যের দাবী কোন সুস্থ মস্তিষ্কের রাজনৈতিক নেতারা করতে পারেন ন

কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হ’ল: শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ধর্ম মহাসম্মেলন

২০২১ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শততম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাড়ম্বরে আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছিল আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ৷ এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল মার্গের কেন্দ্রীয় সদরদপ্তর আনন্দনগরে৷ কিন্তু বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বিশাল জমায়েত করে সেই সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি৷ গত ১১,১২,১৩ই জুন আনন্দমার্গের কলিকাতায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জাগৃতিভবনে কোভিডবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক মার্গীদের উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠান বিশ্বের প্রতিটি দেশে অনলাইনে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তিন দিনের এই সম্মেলনে পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার মার্গগুরুদেবের প্রতিনিধ

বঙ্গ বাজেট ---প্রতিশ্রুতি পুরণের অঙ্গীকার

করোনা কালে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত৷ এমনিতে মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে৷ গোদের উপর বিষ ফোঁড়া করোনা৷ কর্মহীন অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে প্রয়োজন নগদ অর্থ৷ দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাও মানুষের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন৷ সেই দলে আছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুনাথ রাজন, অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ৷

আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

বিজেপির দুই সাংসদের উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল পৃথক রাজ্যের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজরা মোড়ে আমরা বাঙালীর চার সদস্য জমায়েত হন ৩রা জুলাই৷ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশের বক্তব্যের শুরুতেই পুলিস এসে চার জনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যায়৷ সেখানে কয়েক ঘন্টা আটক রাখার পর চারজনকেই মুক্তি দেওয়া হয়৷ এই ভাবে অগণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন দমন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে  মুখর হয় আমরা বাঙালী নেতা ও কর্মীরা৷ হাজরা মোড়ে গ্রেপ্তার বরণ করেন--- জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস, প্রণতি পাল ও বাবু পাল৷

আত্মনির্ভর ভারত কোন পথে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অর্থনীতির অর্থ---ধনের বা সম্পদের ব্যবহারিক নিয়ম৷ সেই নিয়ম  এমন হওয়া উচিত যাতে বিশ্বের সকল মানুষ তথা সকল জীবের অস্তিত্ব সুরক্ষিত হয়৷ মহান দার্শনিক প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের ভাষায় ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের  তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত হতে হবে৷’’

ত্রিভুবনের পরিভাষা

পরমপুরুষের পরম রচনাত্মক শক্তি নিজ আন্তরিকতা তথা ভূমামনের চেতনাশক্তির সাহায্যে ভৌতিক জগতের জড় অথবা জীব সত্তার বিভিন্ন রূপ প্রদান করে থাকে৷ প্রত্যেক বস্তু তাঁরই রচনা, প্রত্যেক বস্তু তাঁরই দ্বারা সংরক্ষিত ও পালিত হয়ে থাকে৷ শেষ পর্যন্ত তাঁরই বিরাট ভূমামনে সমস্ত জাগতিক সত্তার অন্তিম পরিণতি ঘটে যায়৷ অর্থাৎ পরমসত্তার মানসিক আধার ভূমিতে সব কিছুর লয় হয়ে যায়৷ এই কারণে আমি বলি কোন বস্তুই ক্ষুদ্র নয়, কোন বস্তুই অনাবশ্যক নয়৷ যদি অগুন্তি প্রোটোপ্লাজম দ্বারা এই সামূহিক শরীর তৈরী হয়ে থাকে, তাহলে তোমার মনও একটি সামূহিক মন৷ এছাড়া প্রত্যেক প্রোটোপ্লাজম একটি জীবিত সত্তা৷ আর এই কারণে প্রত্যেক জীবিত সত্তার নিজস্

মানব প্রগতি

এই পরিদৃশ্যমান বিশ্বে রয়েছে তিনটি স্তর–আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক বা কারণ৷ এছাড়া রয়েছে একটা মানসাতীত স্তর৷ আবার মানবীয় অস্তিত্বেও রয়েছে তিনটি স্তর–স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ৷ এ ছাড়া রয়েছে এক প্রতিফলিত চৈতন্য৷ এই চৈতন্যের স্তরে বিকাশের কোন প্রশ্ণ নেই, কারণ আত্মা হ’ল গুণাতীত অতীন্দ্রিয় সত্তা৷ যেখানে রয়েছে অপূর্ণতা ও নশ্বরতা সেখানেই রয়েছে বিকাশের সুযোগ৷ অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে গতিই হ’ল প্রগতি৷ মানসাতীত স্তরে কোন প্রগতি নেই, কারণ তা’ পূর্ণ ও শাশ্বত৷ কেবল মানসিক স্তরে এই প্রগতির পূর্ণ সুযোগ রয়েছে৷ স্থূল শরীর যে পাঞ্চভৌতিক উপাদানে তৈরী সেই পাঞ্চভৌতিক উপাদান ভূমধ্যসাগরের স্থূল অভিব্যক্তি ছাড়া