September 2021

জন্মদিনে  ঋষি অরবিন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

প্রভাত খাঁ

অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন  এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যাঁরা বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.

৮০-এর জুনের দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবী ‘আমরা বাঙালী’র

১৯৮০ জুনের ভয়াবহ দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের  ক্ষতিপূরণ দাবী করে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের মাধ্যমে গত১৩ই আগষ্ট মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিলেন ‘আমরা বাঙালী’ ত্রিপুরা রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গরুদ্র পাল৷ স্মারকলিপিতে তিনি বলেন---বাম আমলে ৮০-র জুনে ত্রিপুরাতে ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়৷ এতে রাজ্যের জাতি-উপজাতি বিশেষ করে বাঙালী অংশের হাজার হাজার মানুষ উগ্রবাদীদের দ্বারা খুন হয়, শ’য়ে শ’য়ে মা-বোন ধর্ষিতা হয়, হিংসার আগুনে হাজার হাজার  বাড়ীঘর জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ ধবংস হয় কোটি কোটি টাকার স্থাবর -অস্থাবর সম্পত্তি৷ তখন লক্ষ লক্ষ বাঙালীকে বাড়ীঘর ফেলে আশ্রয় নিতে হয়েছিল অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায়৷ নিরাপত্তার অভাবে

প্রথম ডায়োসিস স্তরের সেমিনার

গত ১৩,১৪,১৫ই আগষ্ট ওড়িষ্যার ভূবনেশ্বর ও বারিপদার প্রথম ডায়োসিস স্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ ফুলাডি আনন্দমার্গ হাইস্কুলে৷ সেমিনারে প্রশিক্ষণ ছিলেন আচার্য বিশ্বাত্মানন্দ অবধূত৷ তিনি সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক-আর্থিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন৷

আলোচ্য বিষয়ে ছিল জীবের পরাগতি, সম্যক জীবন, শূদ্রবিপ্লব ও সদবিপ্র সমাজ, জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন পুনর্জাগরণ৷

মাতঙ্গিনী অসমের--- অজ্ঞতা না বাঙালী বিদ্বেষ

গত ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৪২-এর ভারত ছাড় আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেন৷ ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে ৪২এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে৷ মাতঙ্গিনী হাজরা তমলুকের বাসিন্দা ও সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অন্যতম স্রষ্টা৷ মাতঙ্গিনী হাজরা একমাত্র মহিলা যিনি ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে ব্রিটিশ পুলিশের হুমকি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন৷ প্রধানমন্ত্রী এদিন লালকেল্লার ভাষণে মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বাসিন্দা বলায় ক্ষুদ্ধ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন ও ব

মার্গীয়বিধিতে বিবাহ

গত ২৭শে শ্রাবণ ১৪২৮ (ইং১৩ই আগষ্ট, ২০২১) কলিকাতা নিবাসী শ্রী গোকুল বর্মন ও শ্রীমতি মণিকা বর্মণের প্রথম কন্যা কল্যাণীয়া দীপান্বিতার সহিত রাঁচী নিবাসী ডঃ রঞ্জন কুমার দত্ত ও শ্রীমতি মুনমুন দত্তের পুত্র কল্যাণীয় রত্নদীপের শুভ বিবাহ আনন্দমার্গ চর্র্যচর্য’ বিধিতে সম্পন্ন হয় তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে৷

পরলোকে ফেকুরাম যাদব

গত ১৬ই আগষ্ট ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী ফেকুরাম যাদব পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৮ বছর৷ তিনি একজন একনিষ্ঠ আদর্শ পরায়ণ মার্গী ছিলেন৷ মার্গের সকল অনুষ্ঠানে ও কাজে তিনি খুবই সক্রিয় ভূমিকা নিতেন৷ তাঁর অকাল প্রয়াণে গোড্ডা জেলা মার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ গোড্ডা ভুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ করা হয়৷ তিনি দুই কন্যা ও একপুত্র রেখে গেছেন৷

নিয়মিত ব্যায়ামে লিভার ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব

নিয়মিত ও সময়মত ব্যায়াম করলে লিভারের ক্যানসারের প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে এর ফল পাওয়া গেছে৷ হেপাটোসেলুলার কারকিনোমা (এইচ সি সি) বা লিভার ক্যানসারের প্রতিরোধ করার জন্যে কিছু রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে আসন করানোর ফলে রোগীরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ গবেষকরা বলেছেন এটা তাদের মধ্যে দারুণ আশা জাগিয়েছে৷ উল্লেখ্য এইচ সি সি লিভার কোষে ক্যানসার হতে সহায়তা করে৷ আর লিভার ক্যানসার এমন এক রোগ যাতে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা যায়৷ এইচ সি সি পুরুষের শরীরে ক্যানসার বিস্তারের পঞ্চম সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত, মেয়েদের বেলায় সাধারণত অষ্টম কারণ৷ গবেষণার শু

লাউয়ের গুণাগুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ অলাবু মানে লাউ (Bottle gourd)৷ অনেকে লাউকে ‘নাউ’ উচ্চারণ করেন৷ (যেমন ভুল উচ্চারণ করা হয়–নেৰুকে ‘লেৰু’)৷ উচ্চারণটি ঠিক নয় কারণ অলাবুতে তো ‘ন’ নেই৷ ‘কদু’ শব্দ এসেছে সংস্কৃত কদ্রু বা কন্দুকি শব্দ থেকে (দুয়েরই মানে যা গোলাকার ৰলের মত)৷ তাই কদু মানে গোল লাউ৷ আর লাউ মানে যে কোন প্রকারের লাউ৷ এই গোল লাউকেই মৈথিলীতে বলে ‘সজিমন’৷ লাউকে ভোজপুরী ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে ‘লউকি’ বা ‘লওকা’ বলা হয়৷ হিন্দী/উর্দূতে বলা হয় ‘ঘিয়া’ (সংস্কৃত ‘ঘৃতাক’ শব্দ থেকে উর্দূ–হিন্দীতে এই ‘ঘিয়া’ শব্দটি এসেছেগ্গ৷ মরাঠী ও গুজরাতিতে লাউকে বলা হয় ‘দুধি’ (সংস্কৃত ‘দুগ্ধিকা’ থেকে এসেছে৷ আসলে ‘দুগ্ধিকা’ মানে কি

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে)  অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর্

অগস্ত্যপত্নী–কৌশিতকী

কৌশিতকী ছিলেন মহর্ষি অগসেত্যর পত্নী৷ মহর্ষি অগস্ত্য তাঁর জীবন কাটিয়ে দিয়েছিলেন আদর্শের প্রচারে, মানবিকতার সম্প্রসারণে৷ তাঁকে এই কাজে প্রতি পলে বিপলে সাহায্য করে থাকতেন তাঁর স্ত্রী কৌশিতকী৷ কৌশিতকী ছিলেন অত্যন্ত বিদুষী মহিলা ও ব্যাপক মানব হৃদয়ের অধিকারিণী৷ কখনও অগস্ত্য তাঁকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাতেন, কখনও বা তিনিও নব নব ভাব–তত্ত্ব উদ্ভাবনের দ্বারা মহর্ষি অগস্ত্যকে নির্দেশনা দিতেন৷ এই ভাবে উভয়ে মিলেমিশে কাজ করে গেছলেন মানব জীবনে দেবত্ব ভাবের উত্তরণের জন্যে৷