বাঙলীর ঐতিহাসিক ভুল

লেখক
মনোরঞ্জন বিশ্বাস

   ১ । বাঙালী বিদ্বেষী হিন্দীসাম্রাজ্যবাদের দুলাল ও দালাল আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালাল নেতৃত্বকে বিশ্বাস করা ।

  ২ ।  ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ  হলেও অখণ্ড বাঙলার  আন্দোলন বন্ধ করা । কেননা তখন  থেকেই বাঙলার অঙ্গচ্ছেদ  শুরু ।

  ৩ ।  ১৯৪৭ সালের বাঙলা ভাগ মেনে  নেওয়া । বাঙলার তৎকালীন  নেতৃত্ব  সাম্রাজ্যবাদের কুটকৌশল ও ষড়যন্ত্র ধরতে পারেনি ।

  ৪ ।   ব্রিটিশের বাঙালী  রেজিমেন্ট  ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে গর্জে না ওঠা ও স্বাধীনতোত্তর কালে বাঙালী রেজিমেন্ট গডার দাবিতে মরণপণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে না পড়া ।

৫ ।   বাঙলায় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক  না করা  ।

 ৬ ।    বাঙালাকে কেটে টুকরো টুকরো করে অন্যদের  দেওয়া  ১০ টি  খণ্ডকে ভারতীয় সংবিধান মোতাবেক  পুনরায়  এপার বাঙলার সঙ্গে  জুড়ে দেওয়ার জন্য আপোসহীন সংগ্রাম  না করা।

৭ ।    বিভিন্ন ইস্যুতে লোকসভায় বাঙলার  দাবি  আদায়ে বাঙলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একযোগে সরব না হওয়া । এটা বাঙালী  ও বাঙলার প্রতি  চরম বিশ্বাসঘাতকতা ।

  ৮ ।  লোকসভা  ও রাজ্যসভায় বাঙলার  প্রতিনিধিদের বাংলাভাষায়  বক্তব্য না রাখা । এটা বাংলা  ভাষার প্রতি  অবজ্ঞা  ও চরম অপমানের, বেইমানি  ।

  ৯ ।   বাঙলায় দাঁড়িয়ে ভিন্নভাষীদের সঙ্গে বাংলা না বলা ।

 ১০ ।  এখনও  ভাষা সংস্কৃতির মর্যাদা, অধিকার রক্ষার,  ও অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার জন্য  জাতি বর্ণ ধর্ম মতাদর্শ নির্বিশেষে  সকল বাঙালী একযোগে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে না পড়া ।  বাঙলী ও বাঙালাকে বাঁচাতে ভুলগুলো তো শোধরাতেই হবে, এছাড়া বাঙালীর বাঁচার আর কোন পথ খোলা নেই ।