বেলাগাম সংক্রমণ রুখতে বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে কঠোর লক্ডাউন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সংক্রমণ থামছে না, বরং দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ জনগণের বেপরোয়া চাল -চলন ও সচেতনতার অভাব সংক্রমন বৃদ্ধির অন্যতম কারন৷ সংক্রমণ প্রভাবিত অঞ্চল এবার মানুষের চলা-ফেরায় কঠোর বিধিনিষেধে বাঁধছে রাজ্য সরকার৷

এই বিধি-নিষেধ আপাতত ৯ই জুলাই থেকে ৭দিনের জন্যে৷ ৭দিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সব থেকে বেশী সংক্রমন প্রভাবিত কলিকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়ার কন্টেনমেন্ট জোনের  কিছু কিছু নিয়ে এক-একটি অঞ্চল করে লক্ ডাউনের জন্যে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ কলকাতার ৩৩ টি কন্টেনমেন্ট জোনকে বর্ধিত করে ২৫টি করা হয়েছে৷ একইভাবে উত্তর ২৪ পরগণার ২১৯ টিকে ৯৫টিও হাওড়ার ১২১টিকে ৫৬ টি জোন করে লক্ডাউনের আওতায় আনা হবে৷

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন সার্বিকভাবে রাজ্যে লক্ডাউন করার পরিকল্পনা সরকারের নেই৷ তবে সংক্রমন রুখতে রোগাক্রান্ত অঞ্চলগুলি চিহ্ণিত করে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে৷

দক্ষিণ ২৪ পরগণার  তালিকায় কিছু অতিরিক্ত অঞ্চল যুক্ত হয়েছে৷ তাই সংশোধন করে প্রকাশিত হবে৷ অন্যান্য জেলার তালিকাও তৈরী করে সরকারী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে৷

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার লক্ডাউন নিষেধ কঠোরভাবে যাতে মানা হয় তা দেখবে প্রশাসন৷ তবে কোনরকম আর্থিক জরিমানা করা যাবে না৷ মাস্ক না পরে বেরুলে তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিতে হবে৷ লক্ডাউন চলাকালীন ওইসব অঞ্চলে যাওয়া আসাও বন্ধ থাকবে৷