ভয়ংকর সংকটে দেশ  - বাঙালী বাঙলার কথা ভাবুন

লেখক
প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত তিক্ততার সঙ্গে বলতে হয়  পৃথিবীর  বৃহত্তম লোকসংখ্যার নিরিখে ভারত যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র সংসদীয় বহুদলীয় গণতান্ত্রিক (?) রাষ্ট্র৷ এই রাষ্ট্রের সংবিধান  হলো আয়তনে সর্ববৃহৎ সংবিধান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে৷ আর এটি শাসকগণদের  দ্বারা মাত্র ৭৩ বছরে  বিভিন্ন ধারার সংশোধন হওয়াতে সেটি  আরো বৃহত্তর হয়ে উঠেছে৷

যে সব রাজনৈতিক দল  কি কেন্দ্রে  আর কি রাজ্যে শাসনে আসছেন  তাঁরা ছলবল কৌশলে মূলতঃ দলীয় স্বার্থে সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানের যে যে ধারাগুলি তাদের শাসনে অসুবিধা বলে মনে  হচ্ছে সেটাই সংশোধন করে নিচ্ছেন৷ তাতে যে  অবস্থা দাঁড়িয়েছে সেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ দরিদ্র জনগণের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে মোটেই কল্যাণকর নয়৷ অদ্যাবধি এদেশের ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মুষ্টিমেয় ধনীদেরই সুবিধা হচ্ছে৷ কোটি কোটি দরিদ্র জনগণ চরম আর্থিক সংকটে পড়ে দিন যাপনের গ্লানি বহন করেই চলেছেন, কিন্তু যাঁরা শাসনে আছেন সেইসব ভাগ্যবানও অধিকাংশই বিত্তশালী হয়ে ওঠে৷ সংবিধানের ৪২তম সংশোধনটি ভারতের পবিত্র সংবিধানের অকল্যাণ করা ছাড়া কল্যাণ করেছে বলে বোধ হয় না৷ তাছাড়া সামান্য কটা বছরের শাসনে শতাধিক সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন কেন হয়ে পড়লো দেশের নাগরিকগণও মনে হয় জ্ঞাত নন৷

দুঃখের কথা যখনই নির্বাচন এর সম্মুখীন দলগুলি হয় তখনই প্রায় সব দলের নেতা ও নেত্রীগণ অত্যন্ত কর্মঠ হয়ে পড়েন, তেড়ে ফুড়ে বোটে জেতার জন্য এমনসব প্রতিশ্রুতি দেন যা পরবর্ত্তীকালে চরম মিথ্যাচারিতা বলেই বাস্তবায়িত হয়৷ আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো এই বোটের  প্রাককালে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলি সরকারী কর্মচারী ও জনগণকে কিছু পাইয়ে দেন৷ এটা দেশের সব নাগরিকগণ বোঝেন৷ বোটের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ে আর যেগুলি না হলে চলবেই না সেগুলির যে কি ভয়ংকরভাবে  অগ্ণিমূল্য হয় যেমন প্রাণদায়ী ওষুধ, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, তাতে সাধারণ মানুষের প্রাণান্ত! বর্ত্তমানে করোনার যন্ত্রনায় বিশেষ করে আতঙ্কেও আক্রমণে সারা দেশ  মৃত প্রায়৷ কোটি কোটি মানুষ বেকার৷ আজও অনেকের মাথা গোঁজার ঘরই নেই৷ লজ্জার কথা অনেকেই চরমভাবেই শোষিত৷ পথেই জন্ম আর পথেই অনেকের মরণ! শাসকদলগুলো শুধুই লম্বা চওড়া বত্তৃণতা দেয় বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না, নানা কারণে শাসক দলগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁদের দলে ভাঙ্গন ধরাতে দল এর কিছু কিছু স্বার্থান্ধ লোভীদের আর্থিক লোভ দেখিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের  দুর্বল করে দেয়৷ শেষে দলে টানে নানা কৌশলে৷ নৈতিকতা বলতে কিছু নেই, বর্তমান নোংরা দলবাজিটা গণতন্ত্রকেই কলুষিত করে চলেছে৷ পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি আজ সারা দেশে পেয়ে বসেছে৷ তাই দেখা যায় সরকার পরিবর্ত্তন হলেই দলে দলে লোক দলত্যাগ করে  শাসকদের দলে যোগদান করে৷ পরবর্ত্তীকালে তারাই আবার সুবিধা না পেলে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে৷ তাই রাজনৈতিক দলগুলো সব কিছু পেতে কেনা বেচা  আরম্ভ করে বোটের সময়৷ নৈতিক চরিত্রটাই আজ উবে গেছে দেশ থেকে৷ ফলে সব রাজনৈতিক দলগুলোই হয়ে দাঁড়িয়েছে দলছুট দল৷ রাজনৈতিক শিক্ষা বলতে কিছুই নেই৷ তাই নেতাদের মুখে শুধু কুৎসিত ভাষা আর স্বেচ্ছাচারিতা যা গণতন্ত্রে একেবারে বেমানান৷

আজ এ রাজ্যে নির্বাচন দোগ গোড়ায় করোনায় দেশ আক্রান্ত সেদিকে দলগুলোর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই৷ শুধু প্রচার বোটের৷ করোনায় যেখানে জমায়েৎটাই নিষিদ্ধ সেখানে ব্যবধাননীতি অমান্য করে দলগুলো মাঠ ভরাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে লোক জমা করে দেখাচ্ছে যে তাদের কতো সমর্থক৷ কিন্তু ঠিক এই সময় দলের  নেতানেত্রীদের বলা আছে মাঠে বাহির থেকে লোক আনবে৷ আর এটা স্থানীয় লোকদের  জমায়েত দেখিয়ে দলে টানার  এক মিথ্যা প্রচার৷   সংবাদমাধ্যমও এই জমায়েতকে বার বার টিভিতে দেখিয়ে সেই মিথ্যাচারীদেরই হয়ে মিথ্যাপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাইতো প্রচার মাধ্যম যখন ধাক্কা খায় তখনই চিৎকার করে এই বলে যে--- আমরা ছিলুম বলেই  আমাদের প্রচারেই জিত হয়েছে৷ ঠিক সময়ে দেখে নেব৷ এই হলো এদেশের এক মিথ্যাচারিতারই ফলশ্রুতি৷ করোনায় দীর্ঘ প্রায় ৮মাস সব কিছু রুজিরোজগারের পথ বন্ধ বন্ধ থাকায় ও সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হওয়াতে সরকারের ভাঁড়ে মাভবাসী৷ তাই

কোটি কোটি  লোকসংখ্যার  দেশে সরকার  শুধু ধনকুবেরদের বিকাশ ঘটাতে ব্যস্ত ৷ তাই রান্নার গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ডিজেল পেট্রোল আবশ্যিক ৷ লিটার প্রতি দাম আকাশ ছোঁয়া করেছে কেন্দ্র৷ রাজ্যে গ্যাসের দাম সিলেণ্ডার প্রতি করা  হয়েছে বর্ত্তমানে ৭২০ ভর্তুকী হীন গ্যাস৷ আর নামকেওয়াস্তে ভর্তুকী মাত্র ১৯ টাকা৷ যা জনসাধারণের সঙ্গে পরিহাস! সরকার যে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে এই দাম বৃদ্ধিতে বোঝা যায়৷ এই সরকার বার বার  দাবী করছে দেশের অর্থনীতি ছন্দে ফিরেছে৷ কোটি কোটি মানুষের জীবন যন্ত্রনা বাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের আকাশ ছোঁয়া দাম বাড়িয়ে পকেট কাটলো তো ছন্দে  ফিরবেই আর্থিক অবস্থা! সরকারের ছন্দে ফেরার দাবীকে নস্যাৎ করে একটি অর্থনৈতিক সংস্থার  প্রতিবেদন বলছে অর্থনীতির ছন্দে ফেরার অশু কোন সম্ভাবনা নেই৷

তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রকের দাবী নস্যাৎ করে সংস্থাটি জানিয়ে যে ২০২৫ এ ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার মাত্র ৪.৫ শতাংশের  মধ্যে থাকতে  পারে৷ তবে প্রাউটের দৃষ্টিতে যদি ধনকুবেরদের লুন্ঠনের সঙ্গে প্রাকৃতিক ও করোনার তাণ্ডব চলতে থাকে তা হলে পরিস্থিতি দুর্র্ভগ্যজনক হতে পারে৷ অক্সফার্ম ইকনমিক্স সংস্থাটি ভারতের আর্থিক সমস্যার জন্য অপরিকল্পিত আর্থিক সংস্কার ও সরকারী নীতি প্রণয়ন নাগবিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্র্ত্তদের ঘন ঘন পরিবর্ত্তনকে দায়ী করেছেন৷

বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর মতে ‘করোনার হাল ও অর্থনীতির বেহাল দশাতে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারত সবার পিছনে থাকবে৷ তিনি তাঁর কথার স্বপক্ষে বেশ কিছু পরিসংখ্যাও তুলে ধরেন৷ তবে মার্চেন্ট চেম্বারের সভায় আর্থিক উপদেষ্টা শ্রী সঞ্জীব সান্যাল জানান সরকার সঠিক পথে এগুচ্ছে উপযুক্ত পরিকল্পনা নিয়ে৷

প্রাউট এর মতে ভারতের যে আর্থিক  অনগ্রসরতা সেটা পুরাতন -দুরারোগ্য ব্যাধি বিশেষ৷ কারণ ভারত সেই ইংরেজ আমলের ধনতান্ত্রিক অথনৈতিক সমাজ ব্যবস্থার শোষণের উপর সমৃদ্ধি নীতি থেকে সরতে পারে নি অদ্যাবধি৷ প্রাচীন ভারতবর্ষে অর্থনীতির মূল কাঠামোটি দাঁড়িয়েছিল বিকেন্দ্রীক অর্থনীতির উপর৷ সেটাকে ধবংস করে  সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ বড়ো বড়ো ধনীদের নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীভূত অর্থনীতি প্রবর্ত্তন করে৷ সেই পুঁজি ছিল ইংরেজ বণিকদের ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের ফলে৷ বিদেশী শাসকই ভারতের গ্রামীন ছোট ছোট শিল্প ধবংস করে দেয়৷ ফলে ভারতের আর্থিক কাঠামোটাই ধবংস হয়ে যায়৷ ইংরেজ আমলে শহরে কলকারখানা হওয়াতে গ্রামগুলি শ্মশানে পরিণত হয়৷

কুটির শিল্পে গ্রামগুলি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ, যেগুলি ধবংস হওয়াতে গ্রামের মানুষ শহরে আসেন ভাগ্যান্বেষণে৷ ফলে শহর হয়ে ওঠে জনাকীর্ণ যাবার৷ ইংরেজ শাসন চলে দীর্ঘ ৭৩ বছর দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে বহুদলীয় যুক্তরাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা চালু আছে৷ বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলের শাসনাধীন রাজ্যগুলির উপর বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত৷ পশ্চিম বাংলা তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিজেপি রাজ্য সরকার দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে৷ তাই ছলবল কৌশল করে দল ভাঙ্গার কাজে  ব্যস্ত৷ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলকে প্রায় অস্বীকার করেই বিভিন্ন কালাকানুন বিরোধী শূন্য লোকসভায় পাশ করেছে৷ কর্ষক আইন তারই একটি৷ আগেই বলা হয়েছে বর্ত্তমানের কেন্দ্রীয় শাসকগণ সব ব্যাপারেই প্রায় ব্যর্থ হয়ে দেশকে এক মারাত্মক অবস্থায় এনে ফেলেছে৷ দেশের বর্ত্তমানে আর্থিক অবস্থা একেবারে শোচনীয়৷

এরা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে অনেক কিছুই বেসরকারী করণে উঠে পড়ে লেগেছে৷ যা ভারতের পক্ষে চরম ক্ষতিকর৷ হ্যাঁ  পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে যা বলছি তা হলো দেশভাগ করে দেশ নেতারা দেশের অখণ্ডতাকে ধবংস করেন৷ সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করে সেই ইংরেজের আমলের অর্থনৈতিক কাঠামো বজায় রেখেই গণতন্ত্রের নামে  দরিদ্র জনগণকে চরমভাবে অর্থনৈতিক সামাজিক শোষণ চালিয়ে রক্তশূন্য করে ধনীদের তোষণ করেই চলেছেন দলীয় সরকারগুলি কেন্দ্রের ও রাজ্যের৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকার তো রাজ্যগুলিকে ন্যায্য পাওনাই দেন না৷ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মান তলানীতে নেমেছে৷ গণতন্ত্রে তো অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রিকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কোটি কোটি মানুষের আর্থিক স্বনির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে৷ সেদিকে তো কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি নেই৷ দরিদ্র জনগণকে চরমভাবে শোষণ করে চলেছেন৷ ধনীদের উৎসাহ দান করছেন ঋণগ্রহণে যাতে তাঁরা আরো কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন আর সাধারণ দরিদ্র মানুষের ব্যাঙ্কে জমানো টাকার সুদ বছরে কয়েকবার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকার সমস্যায় কাতর জনগণ দারিদ্রের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নিছক বেঁচে থাকার জন্য৷  আর বাহিরের দেশগুলির কাছে আর্থিক উন্নয়নের জন্য কলকারখানা ও শিল্প গড়তে আহ্বান দিচ্ছেন৷ এই চরম অবস্থায় তাঁরা কি এদেশে অর্থ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন? এই কাজে ফালতু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে তাঁদের আমন্ত্রণ করে নানাধরণের মেলার আয়োজন করে৷ গ্রামগুলি আর্থিক উন্নয়নে যাতে এগুতে পারে ও বেকার সমস্যা কিছুটা দূর হয় তার জন্য গ্রামে গ্রামে কুটির শিল্প সমবায়ের মাধ্যমে গড়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া দরকার৷ ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা৷ অতীতে এই মহৎ উদ্দেশ্যেই তো গ্রামে গ্রামে ব্লক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ কর্ষকরাই তো ভারতের আর্থিক উন্নয়নের প্রধান উৎস৷

সেই কর্ষকদের উপর চরম বৈষম্য কি করা হচ্ছে না? এই পশ্চিম বাঙলার মানুষ চিরকালই কেন্দ্রের হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী সরকারের দ্বারা শোষিত হয়ে আসছে৷ বর্তমানে সম্প্রতি যা ঘটছে সেটা অত্যন্ত নক্কারজনক ঘটনা৷ পশ্চিম বাঙলাকে কব্জা করতে বিজেপি অভিযান চালাচ্ছে খোদ কেন্দ্রের বড়ো বড়ো মন্ত্রী ও দলীয় নেতারা৷ তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বোট পেতে যে সব ভাববাদী কথাবার্র্ত বলছেন সেটা মনে হয় বেমানান৷ দলও ভাঙ্গাভাঙ্গী চলছে খোলাখুলি ভাবেই৷ যা আজ পর্যন্ত হয়নি৷ কেন্দ্রের শাসক বিরোধী রাজ্যসরকারকে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় যেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায় রাজ্য সরকারের হাতে সেখানে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আই.পি.এস অফিসারদের ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের মর্য্যাদা লোকচক্ষে হেয় করতে৷  অতীতে ইন্দিরা যে পথে হেঁটেছেন বর্ত্তমান কেন্দ্র সরকার মনে হয় সেই পথেই হাঁটছেন৷ করোনায় বিধিনিষেধ অমান্য করে সভা করে দলছুটদের দলে এই চরম কঠিন অবস্থায় পশ্চিম বাঙলায় জনগণকে ভাবতে হবে তাঁদের করনীয় কী৷ ৭৩ বছরে কেন্দ্রে যারাই এসেছেন তাঁরা কেউই এই রাজ্যের জন্য কিছুই করেন নি শুধু অবহেলাই করে গেছেন৷ যাঁরা সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখায় তাঁরা একবার ভেবেছেন কি তাঁরা সারা ভারতের হালটা কি করেছেন? হতভাগ্য চাষীদের  নিয়ে কি করছেন প্রচণ্ড শীতে? জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কি হচ্ছে? সারা বাঙলার একটা নিজস্ব মতামত আছে৷ বাঙলা চলবে  সেই মতেই৷ নোংরা দলবাজিতে দেশ আজ ক্ষত বিক্ষত! আজ সৎ নীতিবাদীদের এগিয়ে আসতে হবে হতভাগ্য দেশকে বাঁচাতে প্রকৃত সেবা, ত্যাগ ও ভালোবাসা দিয়ে৷ স্বামী বিবেকানন্দ মানবতার পূজারী ছিলেন৷ তাই তাঁর নাম সবার মুখে মানায় না৷ রাজনৈতিক দলগুলো গদীর লড়াই যে মত্ত, দেশের কথা কতোটুকু ভাবেন! বোটের সময় শুধু লাফালাফি! পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হতভাগ্য বাঙলা বাঙালীর কথা ভাবুক৷ সেই পথে চলুন৷ বিশ্বাসঘাতকদের থেকে সাবধান!