‘দধি’ মাইক্রোবাইটামে ভরপুর, মানবদেহালয়ের প্রকৃতিদত্ত ঝাড়ুদার

লেখক
যোগাচার্য

পৃথিবীর নানা ক্ষুদ্র বৃহৎ মানব সমাজে যত ধরণের খাদ্য ও পানীয় বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাতে মানুষ নামক জাতিটিকে প্রায় সর্বভুক আখ্যা দেওয়া যায়৷ কিন্তু এত অজস্র রকমের প্রাচুর্যে গড়া মানুষের খাদ্য ভাণ্ডারের মধ্যে এত ধরণের বৈচিত্র্য, এত রকমের প্রোটিন–ভিটামিন–সল্,  মিনারেলস শ্রেণীর খাদ্য ও পানীয় থাকা সত্ত্বেও একটি মাত্র খাদ্য বস্তুকে শ্রদ্ধেয় শ্রী পি. আর. সরকার ধর্মীয় স্বীকৃতি ও গৌরবের রাজমুকুট পরিয়ে দিয়েছেন৷ সেই খাদ্য বস্তুটি হ’ল – ‘দধি’৷ তিনি মার্গের ধর্মপুস্তক চর্যাচর্যের তৃতীয় খণ্ডে (৭০ পৃষ্ঠা) বিশেষ সম্মানের সঙ্গে স্থান দিয়েছেন এই খাদ্য বস্তুটিকে৷ এছাড়াও যৌগিক  চিকিৎসা  শাস্ত্রে  ও মাইক্রোবাইটাম পুস্তকেও এই দধি প্রসঙ্গে তাঁর মতামত দিয়েছেন তিনি৷

দীর্ঘ জীবন লাভের গোপন সঙ্কেতগুলি কি কি? মানুষের দীর্ঘ জীবন ও জীবনী শক্তি কিভাবে অর্জন করা যায়? সে প্রশ্ণের উত্তরে তিনি উক্ত পুস্তকটিতেও নয়টি বিধি–বিধানকে পালনীয় ধর্মীয় বিধান রূপে চর্যাচর্য্যে লিপিবদ্ধ করেছেন৷ বিধানগুলি নিম্নরূপ ঃ–

১) উপযুক্ত শারীরিক পরিশ্রম, (২) ক্ষুধা বোধ হওয়া মাত্র খাওয়া, (৩) নিদ্রা বোধের সঙ্গে সঙ্গে শয্যা গ্রহণ, (৪) নিয়মিত সাধনা, (৫) মাসে দু’বার উপবাস, (৬) আহার, শয়ন ও সাধনার পূর্বে ব্যাপক শৌচ ক্রিয়া, (৭) দধি বা অনগ্ণিপক্ক খাদ্য, (৮) ব্রাহ্ম মুহূর্ত্তে শয্যাত্যাগ ও (৯) ষোড়শ বিধি পালন৷ এই নব–বিধির মধ্যে ৭নং বিধিটি হ’ল ‘দধি’ বা অনগ্ণিপক্ক খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কিত বিষয়৷ আবার এই দুইয়ের মধ্যে দধি নামটিকে তিনি সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন৷ তিনি এভাবে সুস্পষ্ট নাম উল্লেখ করে মানুষের খাদ্য তালিকায় দধিকে এক বিশেষ গৌরব ও মর্য্যাদার আসনে উপবিষ্ট করিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্তু দধির প্রতি তাঁর এই বিশেষ আগ্রহ ও ধর্ম পুস্তকে (চর্যাচর্য্য–৩য় খণ্ড) বিশেষভাবে ‘দধি’ নামটিকে উল্লেখ করার কারণ কি? দধিকে এতটা গুরুত্ব দেবার অছেই বা কি?               (ক্রমশঃ)