দলছুটদের রাজনীতি

লেখক
হরিগোপাল দেবনাথ

দেশ জননীর বন্দনা কীর্ত্তন করতে গিয়ে বিশ্বকবি গেয়েছিলেন---

‘অয়ি ভুবন মোহিনী/অয়ি নির্মল সূর্য করজ্জ্বল ধরণী/জনক জননী-জননী,’’ কবিগুরু এখানে তার মাতৃভূমি ভারতমাতারেই  তাঁর পূর্ব-পুরুষদের অর্থাৎ মানবজাতির পিতৃ-পুরুষদের আদি-বাসস্থান তথা জন্মভূমি বলে আখ্যাত করেই,আবার এদেশকে ভুবন তথা বিশ্ববাসীরও চিত্তমুগ্দ কারিনী বলে সম্বোধন করেছেন৷ বস্তুত ঐতিহ্য-গরিমা, ঐর্শয্য-মহিমা, বৈভব-সমৃদ্ধিরও কথা৷ কবির এই চিন্তাদর্শের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবেই মিলে গেছে পৃথিবীর বুকে মানব আবির্ভাব ও উন্মেষের বিষয়নিয়ে বিজ্ঞানীদের অভিমতঐতিহাসিকদের মতামত৷ ১৯২৯সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক হরপ্পা-মহেঞ্জদাড়োর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মালা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই চিরকালের মতো মানবসভ্যতার সূচনায় আর্যদের কৃতিত্বের ইতিহাস, বরং আর্যদের এদেশে আগমনের বহু পূর্ব থেকেই, এমনকি দেশটার নাম ‘‘ভারতবর্ষ’’ হবারও পূর্ব থেকেই এই পূণ্যভূমিতে অনার্য অর্থাৎ দ্রাবিড়-সভ্যতার সূচনা হয়েছিল বলে জানা যায়৷  আমরা এটাও জানি যে অষ্ট্রিক আর নিগ্রোয়েড---দুই রক্তের সংমিশ্রণে উদ্ভব ঘটেছিল দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর, অষ্ট্রিকরাই ছিলেন রাঢ়ের (ভারতবর্ষ নামকরণ হবারও পূর্বে) আদি সন্তান৷ যে রাঢ়কে পৃথিবীর প্রথম মানবশিশুর আঁতুরঘর বলে চিহ্ণিত করেছেন সভ্যতার আদি বিন্দু তথা উৎপত্তিস্থল বলে পণ্ডিতদের স্পষ্টধারণা রয়ে গেছে৷

কবিগুরু ভারতবর্ষকে  ‘‘মহামানবের সাগরতীর’’বলে আখ্যায়িত করেছেন,  কেননা এ মাটিতে সূদূর অতীতকাল থেকে--- হুন, শক্‌, তুর্কী , পাঠান, মুঘল ইত্যাদি বিভিন্ন ইয়ূরোপীয়ানরা এদেশে আসতে শুরু করেছিলেন৷ মূলতঃ ভোগসম্পদ লুটে নেওয়ার জন্য৷  তাদের কেউ কেউ ফিরে গেলেও অনেকেই এখনও এদেশের বাসিন্দা হয়ে থেকে গেছেন৷ তাইতো ‘মহামানবের সাগরতীর’ হয়ে উঠেছে এই দেশ৷ বহুর মধ্যে এক --- বিভেদের মধ্যেই ঐক্য-চেতনা --- এই হল ভারত আত্মার মূল মর্মবাণী৷ তাইতো নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান ইত্যাদির মধ্যে ভারত বজায় রাখতে চেয়েছে---বিভেদের মাঝে মহামিলনের ঐক্যতান৷

কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী ও বিভেদকামী, পরস্ব লুন্ঠন কারী পুঁজিবাদী শোষক ব্রিটিশরা এসে লোক চিনে নিয়েই অবর্থ্য টোপ দিয়েছিল মীরজাফরকে, যার চরম বিশ্বাসঘাতকতায় সেদিন পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রে  বাঙলাকে জয় করে নিয়েছিল সাগরপাড়ের ব্রিটিশ দস্যুরা৷ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় আমরা তারই সাক্ষ্য খুঁজে পাই৷ ‘‘ওই গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায় ভারতের দিবাকর৷’’ সত্যিই সেদিন মীরজাফরীপণার কারণেই গঙ্গারবক্ষে ডুবে গিয়েছিল বাঙলা হয়ে সমগ্র ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূর্য৷ তারপরে কবি নজরুলেরই দিব্য চেতনায় জেগে উঠেছিল আপামর হতাশা-বিক্ষুদ্ধ ভারতবাসীর মনের  কোণে ঝিলিক দেবার মতই কবি -হৃদয়ের আবেগমথিত দৃপ্ত ঘোষণাঃ ‘‘উদিবে সেই রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পুনর্বার ৷’’ কিন্তু, বড় মুশকিল হচ্ছে এটাই যে, কালের বিবর্তনের সঙ্গে  জগতের বুকে  সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটে চলে৷ তাই, সময়ের গতির সঙ্গে কদম মিলিয়ে মানুষের স্বভাব চরিত্রও দ্রুত বদলে যাচ্ছে৷ ফলে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলোতে নেতাজী, ঋষি অরবিন্দ প্রমুখদের আত্মস্বার্থ বিসর্জনের সঙ্গে তুলনা চলে না বলেই তাদের মতো ত্যাগী বীরপুরুষদের কথা টেনে না এনেও আমরা অনায়াসেই তরুণ বীর ক্ষুদিরামের কথা অকপটে মানসপটে জাগিয়ে  তুলতে পারি৷ আর ক্ষুদিরাম বিনয়, বাদল-দীনেশ,প্রীতিলতা, শান্তিদেবী, বীনাদত্তদের  স্মৃতি মানসনেত্রে জাগিয়ে তুলতে গেলেও হতাশ  না হয়ে পারি না৷  দেশের স্বাধীনতার জন্যে, দেশবাসীর  মুক্তির জন্যে  তাঁদের  কী অপরিসীম ত্যাগ ছিল, ভাবলেও শরীর শিহরিয়ে ওঠে৷ আবার তাদের সঙ্গে যদি আমাদের একালের ভুঁই-ফোঁড় নেতা বা নেত্রীদের সামান্য মাত্রায়ও তুলনা করতে যাই,  তাহলে একালের  রাজনীতিকদের  কদর্য মানসিকতা, অভব্য আচরণ ও কুৎসিত চরিত্র দেখে রীতিমতই ঘাবড়ে যেতে হয়--- গা ঘিন ঘিন করে গুলিয়ে আসে৷ কীসের মধ্যে যেন কী কী হয়ে গেল৷  ভাবতেও কষ্ট হয়৷  দুয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখিয়ে আমার বক্তব্যটুকু তুলে ধরতে চাইছি৷

পরাধীন ভারতে যারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সামিল হতেন তাঁদের একটা মাত্রই প্রগাঢ় উদ্দেশ্য থাকত দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করা ও দেশবাসীদের শোষণমুক্তির স্বাদ ফিরিয়ে এনে দেওয়া৷  আর আজ সম্পূর্ণ এর বিপরীত৷ আজকাল পুঁজির মালিক তথা বিত্তশালী, ধনী ব্যবসায়ী প্রভাবশালী ব্যষ্টিরা রাজনীতিতে ভীড় জমান,  তাদের পকেটের টাকা ঢেলে দিয়ে তাদেরই মনোমত দল পুতুল বানিয়ে  খাড়া রেখে দেশের তথা রাজ্যে রাজ্যে, শিল্প,কৃষি,ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন বাজার--- সবকিছু থেকে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে৷ আমলাকুল চান, সরকারী কর্মকর্র্ত তথা মন্ত্রী---সাংসদ-বিধায়কদের মনোরঞ্জনেরে উদ্দেশ্যপূরণ করতে৷ প্রশাসনের সাধারণ কর্মচারীরা ও বেসরকারী মোসাহেবরাও চান, তাদের পছন্দমত দলের খাতায় নাম লিখিয়ে নিজেদের ব্যষ্টি -স্বার্থগুলো আদায় করে নিতে৷ শিক্ষিত বেকারফুল যার যার পছন্দমত দল বেছে নিয়ে দলের কর্মকর্র্তদের বস্‌ বানিয়ে তারা খুশী মনে ক্যাডার বনে যান৷ আর বোটজেতার শিকারীরাও সেই যুব সমাজকে বাগে এনে তাঁদের হাতিয়ার বানিয়ে নেন যাতে দলের পুষ্টি, মজবুতি আর শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়ে তোলা যায়, যাতে করে বোট যুদ্ধে জয় তিলকটা কপালে লাগানো যায়৷ বিনিময়ে বেকার-তরুণ-তরুণীদের  অধিকাংশক্ষেত্রেই একটাই চাহনি থাকে---যাতে বাঁচার মত পায়ের তলার মাটিটুকু পাওয়া সম্ভব হয়৷ আর বাদবাকী ছা-পোষা, সংসার -যুদ্ধে হারমানা, পরিবার ঘানিটানা  অসহায় জীব মানুষগুলোকে হাজারধিক্কার অপমান লাঞ্ছনা মুখ বুজে সহ্য করার যন্ত্রণা ভুগতে ভুগতে ধীরে ধীরে জীবনের অন্তিম পরিণতির দিকে এগুতে থাকে৷ এটাই হচ্ছে হাল আমলের আমাদের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক ভারত ফেডারেশনের রাজনীতির বাস্তবচিত্র৷ অবশ্য এরও পোশাকী নাম রয়েছে যা অত্যন্ত চটকদার--- মুক্তবাজার উদার  অর্থনীতির সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের গণতান্ত্রিক জনগণের কল্যাণকামী ভারত তথা ইন্ডিয়া৷

তবে এই চটকদার ভারতের ততোধিক চমকপ্রদ হচ্ছে--- বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের চেহারা৷ বলতে হচ্ছে কবির ভাষায়---‘এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো তুমি/সকল রাষ্ট্রের সেরা সেযে মোদের ভারতভূমি/ জয় --- ভারতমাতা কী জয়! ’’ বলা হল ভারতেও বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা! এই ব্যবস্থাপনা হাল আমলের বাইন্যা (বণিক বা ব্যবসায়ী) রাজনীতিকের পীঠস্থান টুইন্যা (মাফিয়া বা মাসল্‌ম্যানদের) তীর্থস্থানমুইন্যা (ক্রিমিন্যাল তথা বদমাস চরিত্রের)-দের রেশভূমি অর্থাৎ দৌড়ক্ষেত্র ধইন্যা (ধনকুবের বা পুঁজিপতি) রাজনীতিকদের প্রকৃষ্ট মৃগয়া উদ্যান৷ এই হচ্ছে অতীতের তপোবন সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের, মানবসভ্যতার  প্রথম আলো বিচ্ছুরণে ভারতবর্ষের মানবসভ্যতার সূচনালগ্ণের বিশ্ববাসীর ভরণপোষণকারী ভারতবর্ষের জীর্ণকংকাল  বর্তমানে খণ্ডিত ভারতের ফ্রেমে  আঁটা -ডান-বাম-রাম ও গান্ধীবাদ---মাকর্সবাদ--- মাওবাদ ও  যা খুশিবাদ ইত্যাদি সব ‘বাদ’---  সমূহের তথা ইজম্‌-দারী ভারতের নগ্ণ চিত্রখানি৷ সর্ব ভারতীয়, আঞ্চলিক  বৃহৎদলও ক্ষুদ্রদল ইত্যাদি মিলিয়ে  সর্বসাকুল্যে কয়েকশ রাজনৈতিক দলসমূহের  পলিটিক্যাল দাবা-খেলার মসৃণ বোর্ডে---দুর্নীতির আখড়া, বেকারত্ত্বের বৃন্দাবন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ল্যাবরেটরী, শোষণের তীর্থস্থান, মানবিকতার গোরস্থান, আধ্যাত্মিকতার হাঁড়িকাঠ ধর্মচেতনার বধ্যভূমি, নৈতিকতাবোধের নরক ও সন্ত্রাসবাদের বীজতলা আর রাজনীতির নামে ভ্রষ্টাচারের পীঠভূমি পৃথিবীর বুকে মানব সংসৃকতির সূতিকাগার  গণতন্ত্রের বোরখার আড়ালে শোষিত লাঞ্চিত, পীড়িত,  আজকের  দৈন্যদশাগ্রস্থ  এই খণ্ডিত ভারত তথা ইন্ডিয়া৷ দলবাজির রাজনীতি এদেশেই চুটিয়ে চলতে পারে৷ ক্রিমিন্যাল উত্তরীয় পরিয়ে, কপালে লম্বা তিলক, মাথায় টুপি -পাগড়ী লাগিয়ে দিলেই ‘ঈশ্বর-ভক্ত’ হবার  নাটক  মঞ্চস্থ করা সহজসাধ্য হয়ে ওঠে৷ ক্যাডারদের পূর্ব-কৃত পাপকার্যের কালিমা ঢেকে রাখতে রাতারাতি দল বদলের ঘোষণা প্রকাশ পেলেই সব দুষ্কর্মের কালিমা ধুয়ে মুছে নোতুন দলের  জার্সি গায়ে চড়ে গেল দক্ষিণপন্থী বামপন্থী বনে যেতে পারে বামপন্থী আবার রামপন্থী, বা দক্ষিণপন্থী বনে যেতে পারে৷ ব্যাপারটা যেন হয়ে দাঁড়ায়--- একমাত্র দলবদল করে নেওয়া অথবা গায়ের জার্সি পাল্টিয়ে ইষ্ট-বেঙ্গল আর মোহনবাগানদের খেলোয়াড়দের টীম বদল করে নিলেই রাজনীতির ময়দানে সর্বপাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হয়ে যায়৷ যেমনটি হয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে যথা---গোবর অথবা তুলসী জল মুখে নিলে পলকের মধ্যে কিংবা গোমাংস  চিবিয়ে গিলে ফেললেই নিমেষে ধর্মান্তর ঘটে যায় ইত্যাদি৷ মোদ্দা কথা--- এই সেই দলছুট রাজনীতিকদের গণতান্ত্রিক ভারত--- স্বচ্ছ ভারত--- ডিজিটাল ইন্ডিয়া--- রিক্ত,নিঃস্ব, বুভুক্ষুদের ক্যাশলেশ ভারত৷ ভারতের মাটি থেকে দারিদ্র্য হটিয়ে দেবার পর এখনকার রাইজিং অথবা সাইনিং ইন্ডিয়া৷ তাই, আকাশে বাতাসে ছড়াতে বাধা থাকারও কথা নয়--- ‘মেরা ভারত মহান--- লেকিন বহুত হ্যায় হমারে জুমলাবাজি দুনিয়াকো মস্তান ঔর দুজ্‌খকা শয়তান’৷

সত্যিটা লুকোবার কোন উপায় নেই যে,  এ পোড়া দেশটার হাল আমলের পরিস্থিতির দিকে তাকালে, একদিকে মাথায় ক্ষোভে ঘেন্নায়  আগুন ধরে যায় আর অপরদিকে বুকভেদী কান্নার রোল স্তব্ধ হয়ে আসে৷ কী করুণ ট্যাজেডি নেমে এসেছে ভারতবাসীর জীবনে৷ দেশটা যেন বিত্তবান আর পেশীপুষ্ট পালোয়ানদের দখলে আজ চলে গেছে৷ শত শত বছরের পরাধীনতার ও বৈদেশিক শাসনমুক্ত হবার পরও বর্তমানের এই নারকীয় পরিস্থিতির  শিকার হবার জন্যেই ‘মানুষ’ নামক জীব বলে আমাদের আবির্ভাব ঘটেছে এই পৃথিবী গ্রহটার বুকে৷  মননশীল জীব বলে চেতনা সমৃদ্ধ জীব বলে যে মানবপ্রজাতির  গুনবাচক  পরিচিতি বহন করছে এর স্বার্থকতা কোথায়? তাহলে আমাদের পূর্ব-পুরুষ যাঁরা স্বাধীনতা আনতে চেয়ে প্রাণ বলি দিয়ে গেছেন তাঁদের আত্মোৎসর্গের মূল্যায়ণ আমরা কতটুকু করতে পারলুম?

কবি নজরুলের ভাষায় বলতে চাই ঃ---‘‘আসি অলক্ষ্যে দাঁড়িয়েছে তাঁরা দিবে কোন্‌ বলিদান?’’ কবি নজরুলই ওই কবিতায়  বলেছিলেনঃ--- ‘‘কাণ্ডারী, বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র৷’’ কবি দেশমাতাকেই ‘মা’ বলে তাঁর সন্তানদের  অর্থাৎ দেশবাসীদের যে ‘‘মানুষ’’ বলে পরিচয় দিতে চেয়েছেন, কবির সেই প্রত্যাশার মূল্য আমরা কতটুকু বহন করতে সক্ষম হয়েছি একবার ও কি ভাবতে চাইূ  না?

এবারে আর এক কবিকে স্মরণ করতে চাইছি, যিনি বলেছেন উদাত্ত কন্ঠে ঃ--- ‘‘বলো বলো বলো লবে/ শতবীণা বেণুরবে

ভারত আবার জগৎসভায়  শ্রেষ্ট আসন পাবে/তাঁরা ধর্মে মহান হবে কর্মে মহান হবে৷’’ কবির এই প্রত্যাশা--- আশাভরসা ও দৃঢ়বিশ্বাস কতটুকু সফল হয়ে উঠবে  সেটা কিন্তু নির্ভর করছে আমাদেরই উপর আমাদেরই ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের উপর, একথা যেন আমরা ভুলে না যাই৷