প্রবন্ধ

ত্রিপুরায় মানুষের সার্বিক কল্যাণে রাজনৈতিক ধোঁকাবাজি নয়, চাই সর্বরোগের  মকরধবজ ‘‘প্রাউট’’

এইচ.এন.মাহাত

ত্রিপুরায় বিজেপি গত চার বছর আগে একটি স্লোগান,‘‘চলো পাল্টাই’’এর মাধ্যমে সরকারে এসেছিল৷ আজ আমরা ভুলেই  গেছি তিন দশকের সিপিএম সরকারের হারমাদ বাহিনীর সন্ত্রাস তৎসহ দানবীয় শাসন ব্যবস্থার হাত থেকে মুক্তি পেতে পাশাপাশি ত্রিপুরার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে  কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে  ত্রিপুরাবাসী, চলো পাল্টাই, বলেছিলাম৷ আজ ত্রিপুরার মানুষের সেই আশা কী পূরন হয়েছে?

বাঙালী জাতির অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

মহান দার্শনিক সমাজগুরু ও সমাজসংস্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের অমোঘ ও অব্যর্থ বাণী দিয়েই এই প্রবন্ধের উপক্রমনিকা শুরু করছি৷ তিনি বলেছেন---‘‘আমরা পৃথিবীর,পৃথিবী আমাদের দেশ আরও ভালো ভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে সেই পৃথিবীর এককোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে তার অন্ধকারের নেশা শেষ হয়ে গেছে৷ তার জীবনে নোতুন সূর্যদয় এসেছে, এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলাটাই তার জীবনধর্ম মরমের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলবার মতো প্রাণশক্তি তার যথেষ্ট আছে’’৷ মানবমুক্তি

‘‘অগ্নিপথ’’ ভারতবর্ষকে অগ্ণিগর্ভ করে তুলবে না তো?

সুকুমার সরকার

প্রকল্পের ঘোষণাতেই অনেকটা অগ্ণিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতবর্ষ৷ মাত্র চার বছরের জন্য চাকরি৷ তারপর অনিশ্চিত ভবিষ্যত৷ অথচ এই চার বছর সেনার যাবতীয় ট্রেনিং ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ সবই দেওয়া হবে৷ চার বছর পর সেনা থেকে অবসর৷ অবসরের সময় এককালীন কিছু অর্থ দেওয়া হবে৷ কোনো পেনশন নেই৷ সেনা থেকে অবসরের পর সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি৷ তারপর আবার তরুণ-তরুণী নিয়োগ৷ যাঁদের বয়স ১৭-২১ বছরের মধ্যে হতে হবে৷ অর্থাৎ অগ্ণিপথ প্রকল্পে চাকরিপ্রাপ্ত অগ্ণিবীররা একুশ থেকে পঁচিশ বছরের মধ্যে আবার একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়ে যাবেন৷ এই আশঙ্কাতেই অগ্ণিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতবর্ষ৷ প্রকল্প চালু করতে পুঁজিবাদ

ভারতের ৪৪টি জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণে অঞ্চলভিত্তিক বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়তে হবে

এইচ এন মাহাতো

ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের মূলতঃ সূত্রপাত হয়েছিল সিপাই বিদ্রোহ থেকে৷ এছাড়াও ছোটোখাটো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তার আগে হলেও সাংঘাতিকভাবে জনমানসে তা দানা বাঁধেনি৷ তাই তাকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে ধরা হোতো না, যেমন চুয়ার বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, রানী রাসমণির নদীর মাছ ধরা নিয়ে জল কর বিদ্রোহ ইত্যাদি৷ ১৮৫৭ সালে সিপাই বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিলো কলকাতার ব্যারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে লাহোর সেনা ছাউনি পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ভারতের ব্রিটিশ সেনা ছাউনিতে৷ ভারতীয় ব্রিটিশ বিরোধী সেনাদল ব্রিটিশ সেনাদের উপর একই সময়ে গুলি বর্ষনের মাধ্যমে আক্রমণ  শুরু করে৷ এর ফল স্বরূপ পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর সেনা হতাহত হয়৷ এর মূল প্রেরণা

মানব সভ্যতার ত্রিবেণী সঙ্গম

একর্ষি

পৃথিবীর বুকে অন্যান্য প্রজাতির জীবের মত মানুষও এক বিশেষ প্রজাতির (স্পেসিস্‌) জীব৷ এই মানুষের সভ্যতার কথা বলতে গেলে, ‘মানুষ’ ও ‘সভ্যতা’ ব্যাপারে কিছুটা ধারণা দরকার৷ কিন্তু সবার আগে একটা কথা, এই মানুষ নামক বিশেষ প্রজাতির জীবের নাম ‘মানুষ’ হল কেন? এটাও তো ভাববার কথা!

দর্শনের বাস্তবতা ও বিভ্রম

খগেন্দ্রচন্দ্র দাস

আইন আদালতে একটি শব্দবন্ধ প্রায়শই ব্যবহার হয়---‘‘দৃষ্টত’’ (Prima facie)৷ অর্থাৎ যে কোন ঘটনা  চুরি, ডাকাতি, দুর্ঘটনা ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করে প্রাথমিকভাবে যে ধারণা গড়ে ওঠে তাকেই বলা হয় প্রাইমাফেসি৷ এই ‘প্রাইমাফেসি’ প্রায়শই পরবর্তী সময়ে ধোপে টেকে না৷ যেমন ধরুন বাজার থেকে ফল বা শব্জি কেনার সময় কোন কোন ফল বা শব্জির গায়ে পচনের দাগ দেখতে পাওয়া যায়৷  আমরা ও নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করি না, পচা অংশটুকু কেটে বাদ দিয়ে খেয়ে নিই৷ আসলে কিন্তু পচন সবটুকুতেই ধরেছে অধিকতর পচা অংশটুকু দেখা যাচ্ছে মাত্র বাস্তবে কিন্তু পচনের বৃহৎ অংশ রয়ে গেছে আমাদের দৃষ্টির অগোচরে৷ অথবা ধরা যাক, দুটো রেলগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ যা দেখ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও সংকীর্ণ রাজনীতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আর কয়েকদিন পরে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে৷ এই নির্বাচনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রত্যক্ষ কোন যোগ নেই৷ কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বোট দেন না৷ সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সাংসদ বিধায়কদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন৷ শাসক ও  বিরোধী পক্ষের ঐক্যমতে দেশের সবের্বাচ্চ আসনে উপবিষ্ট প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার একটা প্রচেষ্টা থাকে৷ তবে এবার সেরকম কোন প্রচেষ্টা শাসক বিরোধী কোন পক্ষ থেকেই দেখা যায়নে৷ তাই দু-পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছেন৷ তাই  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা এমন কোন শ্লাখাজনক নয়৷

প্রকৃতির রুদ্র রোষ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

অসমে  বন্যা পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ এ বছরে বর্ষার শুরুতে অর্থাৎ জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে ও আমাদের  উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রথম ইনিংস থেকেই চালিয়ে ব্যাট করছিল, পরের দিকে তা ক্রমশঃ চার, ছক্কা মেরে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু হয়৷ সপ্তাহাধিক কাল ধরে অতি ভারী বর্ষণে আগরতলা, গুয়াহাটি , শিলচর একের পর এক শহর ভেসে যায়৷ মেঘালয়ের প্রাক্তন সর্বাধিক বৃষ্টিপাত অঞ্চল চেরাপুঞ্জিতে এবার বৃষ্টি অতীতের সব রেকর্ড  ম্লান করে দিয়েছে৷ বর্তমান সর্বাধিক বৃষ্টি বহুল অঞ্চল ‘মৌসিনরামেও’ রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে৷ সব থেকে খারাপ অবস্থা হয় শিলচরের৷ গত একসপ্তাহের বেশী সময় ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বর

অগ্ণিপথ–গ্ণিবীর নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘‘বাঙালী’’ রেজিমেন্ট পুনর্ঘটন চাই

তপোময় বিশ্বাস 

পাঠকবর নিশ্চয়ই অবগত আছেন গত কয়েকদিন পূর্বে কেন্দ্রীয় মোদী সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘অগ্ণিপথ’ নামক চুক্তি ভিত্তিক সেনা নিয়োগের এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা, মূলত যুবকবৃন্দ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন অবশ্যই সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃত৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা চরম হিংসাত্মক তথা ধংসাত্মক পথে  বিক্ষোভের নামে দেশের সম্পদকে ধ্বংস করেছে তা কখনোই কাম্য নয়৷ বিহার সহ দেশের  বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন/গণপরিবহন জ্বালিয়ে দেওয়া, অবরোধের নামে জনসাধারণ আটকে পড়েছেন, বাড়ী ফিরতে পারছেন না৷ এসব কিছু আপনারা টেলিভিশনে দেখেছেন বা কেউ কেউ পরিস্থিতির শিকারও হয়েছেন৷ ‘অগ্ণিপথ’ নামক বিজেপ