প্রবন্ধ

ভারতবাসীর মোহ নাশ ঘটবে কবে?

হরিগোপাল দেবনাথ

১৯৪৭ সালে বছরের মাঝামাঝি পার হয়ে এসে ভারত ব্রিটিশশাসনের নাগপাশ তথা সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদী বন্দী দশা থেকে মুক্তিলাভ করেছিল৷ তবে, যেহেতু অতটুকু মুক্তি পেতে গিয়েই বহু বছর ধরে লাখো লাখো ভারতবাসীকে শারীরিক, মানসিক, বৌদ্ধিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক---সকল দিক থেকেই অপারিমেয় মাত্রায়  দুঃখ-কষ্ট ও লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয়েছিল৷ অনশনে, অর্ধাশনে অসংখ্য মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর কোলে নিজেদের শঁপে দিতে হয়েছিল৷ স্বাধীনতার দাবী নিয়ে আন্দোলন চালাতে গিয়ে হাজার হাজার প্রাণ বলি হয়েছে, দ্বীপান্তরে নির্বাসনে যেতে হয়েছে---ব্রিটিশের বুলেটের ঘায়ে মরণকে আলিঙ্গন করতে হয়েছে---কাউকে বা আহত হয়ে

বাঙালী আর কতকাল হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের দলদাস হয়ে রক্ত ঝরাবে?

এইচ.এন.মাহাতো

সম্প্রতি কোচবিহার শীতলখুচিতে ভোট পর্ব চলাকালিন  শান্ত পরিবেশের মধ্যে এমনকি ঘটলো বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাজা ৪টি প্রাণ বাঙালীর মায়ের কোল খালি করে চলে গেল৷ রাজনৈতিক তর্জা অনেক কিছুই বলতে পারে৷ বর্তমান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ডজনের উপর বাঙালীর মৃত্যু হয়েছে৷ কেউ বলছে বিজেপি মারা গেছে৷ কেউ বলছে তৃণমূল আপনারা কী কখনো ভেবে দেখেছেন মৃতদেহটি জন্মসূত্রে কোনো পার্টির নয়৷ বাঙলায় জন্মেছে মানেই বাঙালী৷ বলুনতো বাঙালীরা আর কতকাল হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী পার্টির দলদাস হয়ে প্রাণ বিসর্জন করে চলবে?

বিশ্বের সব মানুষের ধর্ম এক

প্রভাত খাঁ

আজ বলা হয় যে অত্যাধুনিক যুগে মানুষের সমাজ এসে পৌঁচেছে৷ সত্যই কি মানুষের সমাজ গড়ে উঠেছে? আর সত্যই কি মানুষ অতি আধুনিক যুগে এসে পৌঁচেছে? যদি সত্যই মানুষের সমাজ অতি আধুনিক যুগে পৌঁছাতো তা হলে এতো ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ, নরহত্যা হ’ত না৷

মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য–এ কথাটি যেমন অতীব সত্য, ঠিক তার পাশাপাশি দেশ কাল পাত্রের পরিবর্ত্তনের সাথে সংগতি রেখে ও ভৌগোলিক পরিবেশের তারতম্য অনুসারে তাদের আচার, ব্যবহার, খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্যও আছে তাকে মান্যতা দিতেই হয়৷ তাই তো বলা হয় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷

শৃঙ্খলা

দাদাঠাকুর

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, স্কুলে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ট নোংরা করবে না৷

শাসক দায়িত্বহীন বেচারাম  জনগণ দুঃখীরাম - এ কেমন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে ভারতের বুকে কেন্দ্রে যে শাসন চলছে সেটা হলো বিজেপি দলের শাসন৷ অনেক আশা করেই হয়তো বোটারগন কংগ্রেস দলের শাসন পালটিয়ে এদের আনেন কেন্দ্রে৷ এবার এঁরা কেন্দ্রে এসেছেন দ্বিতীয়বার৷ প্রথম বারের শাসনেই এঁরা বেশ কিছুটা হিন্দুত্ববাদী মানসিকতাকে চাঙ্গা করে তোলে, তাতে দ্বিতীয়বারে তাঁরা পুনরায় শাসনে আসেন৷ যদিও তাঁদের শাসনে দেশ আর্থিক, সামাজিক দিক থেকে দারুণভাবে পিছিয়ে পড়ে,তাতে জনগণের বিশেষ করে কোটি কোটি হতদরিদ্র ভারতবাসীর দৈনন্দিন জীবন যাপনের পথ দুর্বিসহ হয়ে পড়ে৷ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণের অবস্থাটা তলানিতে চলে যায়৷ চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি,চরম বেকার সমস্যায় মানুষ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে৷ বিমুদ্রাকরণটাই দেশকে

ত্রিপুরার রাজনীতিঃ রাজ্যের ‘‘এডিসি’’ বিষ-লতায় মুকুল এসেছে

হরিগোপাল দেবনাথ

পৃথিবী গ্রহের বুকে সুদীর্ঘকাল ধরে যে প্রাণী-জগৎ বিরাজমান, সেই প্রাণী জগতে মন-প্রধান জীবরূপে শীর্ষস্থান অধিকার করে রয়েছে মানুষ৷ উচ্চ-মননশীলতার অধিকারী বলেই আর তারও চেয়ে আরও বড় কারণ বিশ্বশ্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলেও মানুষ বিচারশীল ও বুদ্ধিমান জীববলেই জগতে খ্যাত৷ কিন্তু, কথাটি শ্রুতি কটু ও অপ্রিয় হলেও সর্বাংশেই নিখুঁত, সত্যি যে, মানুষের রচিত মনুষ্য-সমাজে বৃহদংশের মানুষরা---নির্বিচারে শোষিত,বঞ্চিত, নিপীড়িত,লাঞ্ছিত একশ্রেণীর দুষ্টবুদ্ধিবিশিষ্ট,হীনবৃত্তি সম্পন্ন,আত্মকেন্দ্রিক,স্বার্থপর,ভোগলোলুপ,  ক্ষুদ্রাংশের মানুষদেরই দ্বারা৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই শ্রেণীর মানুষদের বৈশ্য-শ্রেণী তথা

আদর্শ নেতা হতে গেলে কী প্রয়োজন

এইচ.এন.মাহাত

 অতীতে ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা একটি সঠিক আদর্শের মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করতো-সেটা ভুল বা ঠিক হোক৷ আমরা ভারতের স্বাধীনতায় আত্মবলিদানের মত সংগ্রামী বিপ্লবীদেরও দেখছি৷ আবার এই বিপ্লবীদের মধ্যেও মিরজাফর বা বিশ্বাসঘাতকেরও  দেখেছি৷ এদের সংখ্যাটি খুবই নগণ্য ছিলো৷ আমরা প্রফুল্ল চাকী বা ক্ষুদিরামের মত কিশোর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ দেখেছি তেমনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেরণা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু’র মত নিষ্ঠাবান দেশভক্তি আমাদের কাছে অতিবিরল সম্পদ৷ তাই এইসব শ্রদ্ধাস্পদ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যষ্টিদের জীবনাদর্শই অনুসরণযোগ্য৷

করোনা বাইরাস সংক্রমনের প্রেক্ষীতে মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব

সত্যসন্ধ দেব

করোনার উর্দ্ধগতি অনেকটাই কমে এসেছিল৷ জীবন যাত্রাও স্বাভাবিক৷ টিকাকরণের কাজও শুরু হয়েছে৷ ঠিক এই সময় করোনার গতি আবার উর্দ্ধমুখী হচ্ছে৷

এই প্রসঙ্গে বলি কেবল করোনা বাইরাস নয়,  ইদানিংকালে নানান্‌ ধরণের  মারাত্মক বাইরাস  জনিত মারণ রোগ বৈজ্ঞানিকদের ভাবিয়ে তুলেছে৷ কেননা এই ভাইরাস বাহিত  নানান্‌ ধরণের  মারণরোগের  মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব  হচ্ছে৷ চিকিৎসা  বিজ্ঞানী এইসব বাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন৷ এই ভয়ঙ্কর বাইরাসকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় বৈজ্ঞানিকদের কাছে এটাই এখন বড় সমস্যা৷