প্রবন্ধ

বাঙালীস্তানই বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষা করবে

এইচ.এন. মাহাতো

স্বাধীন ভারতে বাঙালীর অস্তিত্ব আজ বিপন্ন৷ বিশেষ করে ভারতে বাংলা ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি এমকি বাঙালী জাতিটাকেই বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে স্বাধীনতার জন্ম লগ্ণ থেকেই৷ বাঙালীর এই সংকট থেকে বেরবার পথ কী?

একুশের বার্র্ত্ত আমাদের শপথে আবদ্ধ করে

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ এক স্মরণীয় ও বরনীয় দিন৷ একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন, একুশ জাগরণের একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই৷ একুশ অমর ও অক্ষয়৷

ইতিহাসের সরণী বেয়ে ও প্রকৃতির চিরায়ত আবর্ত্তনের পথ ধরে একুশ যখন আমাদের চিত্ত আর চেতনার আকাশে আত্মপ্রকাশ করে তখন আমরা প্রাণিত ও রোমাঞ্চিত হই৷

স্মৃতির অন্তরালে--- ‘‘বাড়ী আমার ভাঙন-ধরা অজয় নদীর বাঁকে’’

কণিকা দেবনাথ

‘‘কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাঙলার  গ্রামের তুলসী মঞ্চ, সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল শঙ্খের কথা মনে পড়ে৷’’ পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

গ্রাম্যজীবনের সহজ সরল নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকে কবিতার বিষয় ছিল৷ ১৮৮৬ সালের ১লা মার্চ অবিভক্ত বাঙলার বর্ধমানের কোগ্রামে মামার বাড়ীতে জন্ম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের৷ কবির পৈতৃক বাড়ী ছিল বর্ধমান জেলারই বৈষ্ণবতীর্থ খ্যাত শ্রীখণ্ড গ্রামে৷ তাই হয়তো তাঁর কবিতার মধ্যে পল্লী বাঙলার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে বৈষ্ণব ভাবধারা যুক্ত হয়ে কবিতার ভাব ও ভাষাকে  আলাদা মাধুর্য দিয়েছে৷

স্মৃতির অন্তরালে--- ‘‘বাড়ী আমার ভাঙন-ধরা অজয় নদীর বাঁকে’’

কণিকা দেবনাথ

‘‘কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাঙলার  গ্রামের তুলসী মঞ্চ, সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল শঙ্খের কথা মনে পড়ে৷’’ পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

গ্রাম্যজীবনের সহজ সরল নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকে কবিতার বিষয় ছিল৷ ১৮৮৬ সালের ১লা মার্চ অবিভক্ত বাঙলার বর্ধমানের কোগ্রামে মামার বাড়ীতে জন্ম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের৷ কবির পৈতৃক বাড়ী ছিল বর্ধমান জেলারই বৈষ্ণবতীর্থ খ্যাত শ্রীখণ্ড গ্রামে৷ তাই হয়তো তাঁর কবিতার মধ্যে পল্লী বাঙলার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে বৈষ্ণব ভাবধারা যুক্ত হয়ে কবিতার ভাব ও ভাষাকে  আলাদা মাধুর্য দিয়েছে৷

মাতৃভাষা দিবস

জয়তী দেবনাথ

২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ যে ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষিতে  এই দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘ মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে, ইতিহাসে  এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল৷

নারী

শর্মিলা রীত

সমাজের চোখে আমরা -

শুধুই কি দলিত এক নারী!

দুচোখ ভরা স্বপ্ণকে তাই ভাঙতে কি পারি?

সমাজ বলে ও যে নারী....

ও তো ঘরকোন্নায় পটু,

বাইরে যাওয়া, চাকরি করা  লাগে বড্ড দৃষ্টি কটু৷

নারী মানেই বয়স যখন মাত্র উনিশ -কুড়ি...

প্রতিবেশীর উঁকিঝুঁকি আর কটুক্তি-

ও কি! ও যে নারী...

বিয়ে হবে কবে?

হচ্ছে তো বুড়ি৷

আমি বলি তুমি নারী তুমি আদিকালের সৃষ্টি,

তুমি পারো কুসংস্কার, ভাঙতে কুদৃষ্টি৷৷

এগিয়ে চল হাজার আলো নিয়ে অঙ্গীকার ...

ভ্রান্ত ধারণা মুছে দিয়ে দূর কর অন্ধকার৷

নারী জননী-জগধারিনী....

বাঙালী কি মানুষ হইতে পারিবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এন আর সি-র কালো ধোঁয়া, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অন্ধগলি, রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা, রাজনৈতিক তঞ্চকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক সাম্প্রদয়িক বিভেদ, সাংসৃকতিক অবক্ষয়, শিক্ষার পবিত্র অঙ্গণে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতা, ধর্মের নামে বেলেল্লাপনা, সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখিয়ে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীর অনুপ্রবেশ, আদর্শহীন ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পররাজ্যবাসীদের তোষণ--- বাঙালীর জীবনে সূর্যোদয়ের সকালটাও কালো অন্ধকারে ঢেকে দেয়৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

সত্যসন্ধ দেব

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,   নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকঁত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

ভারত-সরকার ও ভারতবাসী

হরিগোপাল দেবনাথ

২৬শে জানুয়ারী দিনটি আমাদের জাতীয় সরকার খুবই ঘটা  করে প্রতি বছর ‘রিপাবলিক ডে’ তথা ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ -রূপে পালন করে আসছেন৷ এবারেও যথারীতি পালিত হয়েছে৷ সারা বছরে পনের আগষ্টে ‘স্বাধীনতা দিবস’ আর ছাবিবশে জানুয়ারীতে ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস’--- এ দু’টো দিনই তামাম ভারতবাসীর জনমানসে অতি স্মরণীয় দিবস--- তবে পরিস্থিতি নিরিখে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ভারতে গেলে মননশীলতা ও বিচার-বিবেচনায় খুবই হোঁচট খেতে হয় অতি স্বাভাবিক কতিপয় কারণে৷ এর কারণ খুঁজতে গিয়েই এই নিবন্ধটির অবতারণা৷ কারণসমূহ একে একে তুলে ধরাই নিবন্ধকারের মূল উদ্দেশ্য৷ আশা রাখছি,এ আলোচনা থেকে কিঞ্চিৎমাত্রায় হলেও আঁচ পাওয়া যাবে, আমাদের দেশ বৃহ

ডামরুঘুটু গ্রামোন্নয়ন প্রকল্ ঃ কিছু কথা

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

শতকোটি জন্মের পর মানুষ দুর্লভ মানবজন্ম লাভ করে আর এই  মানবজন্মের প্রকৃত লক্ষ্য হলো আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে পরমপুরুষের পানে এগিয়ে চলতে চলতে একদিন কোন এক শুভ মুহূর্তে সেই পরম ভূমাসত্তার সাথে মিলে মিশে এক হয়ে যাওয়া৷ বর্তমান পৃথিবীতে জড়বাদী পুঁজিবাদী অশুভ শক্তির বহুমুখী আগ্রাসনে শোষিত,বঞ্চিত,নিপীড়িত মানুষ শুধুমাত্র অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে থাকে যে ধর্ম সাধনার মানসিকতা ও সামর্থ্য দুইই হারিয়ে ফেলে৷ অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির করাল গ্রাসে ন্যায়-নীতি, ধর্ম সাধনা, সত্যনিষ্ঠা, আধ্যাত্মিকতা, মানবতা সবই ভুলুন্ঠিত হতে বাধ্য হয়৷ এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্যে মহান দার্শনিক ঋষি শ্র