গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও নীতিহীন রাজনীতি

লেখক
নিজস্ব প্রতিনিধি

বর্তমান রাজনীতি যে কতটা আদর্শহীন প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা  অহঃরহ  পাচ্ছি  সংবাদপত্রের বিবিধ প্রতিবেদনের  মাধ্যমে৷ প্রায়শই প্রতিবেদনের খবরে দেখা  যাচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর৷ এই জাতীয়  খবর সংশ্লিষ্ট অঞ্চল অর্র্থৎ যেসব এলাকায়  ঘটনাগুলি  সংঘটিত  হয় সেইসব অঞ্চলে তৈরী হয় রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল সম্পর্কে একটা  নেতিবাচক মনোভাব৷ মুখে  কেউ কিছু  বলার  সুযোগ  পান না কিন্তু  এটা ভুললে চলবে না যে নেতিবাচক  মনোভাব  থেকে জনবিস্ফোরণ  ঘটতে  বেশি  দেরি হবে না৷

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের  খবর মুখরোচক  আকারে প্রকাশিত হলে  সেটা  জনমানসের প্রতিক্রিয়া কি রকম হবে  তার কোন অনুভূতি  কোন প্রতিবেদকের  থাকে না৷  কিন্তু পাঠক মহলে  প্রতিক্রিয়া হল,  ব্যষ্টি  স্বার্থ সম্বন্ধিত  রাজনীতি  জনমানষকে  ক্রমশঃ অন্ধকার  থেকে  অন্ধকার  জীবনের  দিকে টেনে নিয়ে  অংশগ্রহণ কারীদের সকলেই যে কিছু আখের গোছানোর  ধান্ধাতেই  থাকেন তা বলাই  বাহুল্য৷ স্বার্থে আঘাত  লাগলেই  সংশ্লিষ্ট  সবপক্ষই  একে অপরের বিরুদ্ধে  মারমুখী হন৷ যার পোষাকী  নাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ এই ধরণের সংঘর্ষ উত্তরোত্তর  বৃদ্ধি তো হবেই এটা হলপ করে বলা যায়, কারণ প্রত্যেকের  জীবনে  কিছু চাহিদা  থাকে তার  পরিপূর্ত্তি  না হলে ব্যষ্টি কেন্দ্রিক  হানাহানি বা  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ  কখনোই  বন্ধ হবে না৷

প্রসঙ্গক্রমে  উল্লেখ্য  বিগত পঞ্চায়েত  নির্বাচনের  সময়  থেকেই  জেলায় জেলায়  চলেছে মারমুখী সংঘর্ষ৷  একে অপরকে  এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে  রাজী নয়৷  বিভিন্ন জেলার  প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে  অনেক জায়গাতেই  পঞ্চায়েত  বোর্ড গড়ে উঠছে না৷  কারণ স্বার্থের  সংঘাত৷

অবশেষে  একটা  কথা এখানে  প্রণিধানযোগ্য  যে একটা জীবনমুখী উন্নততর  আদর্শ ব্যতিরেকে রাজনীতি  তথা সার্বিক জীবন হয়ে ওঠে  পঙ্কিলময়৷  ব্যষ্টিস্বার্থের  উর্দ্ধে  উঠতে  না পারলে  মানসিক  জগতের গতি হয় অবরুদ্ধ  যা আজকের  সমাজের  দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়৷

 শুধু পঞ্চায়েত  নয় স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে  দেখা যায় উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন-এর কোন পরিসমাপ্তি নেই৷ সামাজিক উচ্ছৃঙ্খল তাকে  দমন  করতে পারে  সৎ ও  নৈতিকতাভিত্তিক  জীবদর্শন  প্রগতিশীল  উপযোগতত্ত্ব৷