ব্রিগেডে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য শনিবার অনুশীলন বন্ধ ছিল দিপান্দা ডিকাদের৷ গত রবিবার থেকে ফের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করেছেন সনি নর্দেরা৷ ফোনে খালিদ বলে দিয়েছেন, ‘‘এই ম্যাচটা জিততে হবে৷ জিতলে খেতাবের লড়াইতে ফেরার রাস্তা তৈরি হলেও হতে পারে৷ এই ম্যাচটা না জিততে পারলে তো আর কোনও অঙ্কই কাজে লাগবে না৷’’ তাঁর কোচিংয়ে কোনও গোল না খেয়ে পরপর দু’ম্যাচ জিতলেও ডার্বির সঙ্গে তাঁর যে ওই ম্যাচগুলির যে কোনোও তুলনা হয়না, জানেন খালিদ৷ গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করিয়ে একবারও এই ম্যাচ জিততে পারেননি তিনি৷ সে জন্যই এবার প্রচণ্ড সতর্ক খালিদ৷ বলছিলেন, ‘‘ওমর এলহুসেইনি সুস্থ হয়ে গিয়েছে৷ গত রবিবার থেকে বল নিয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে৷ সবাইকে সুস্থ পেলে কোচেদের সুবিধা হয়৷ আমি সেই চেষ্টাই করছি৷’’
এনরিকে এসকুয়েদা ফিরেছেন, কারণ তার চোট কারণে তিনি চিকিৎসাজনিত কারণে ছিলেন না দলে৷ সুস্থ থাকলে জবি জাস্টিনের সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে ২৭ জানুয়ারি৷ খালিদ বলেছেন ‘‘এনরিকের খেলা আমি দেখেছি৷ জাবিও বেশ ভাল খেলে৷ আমাদের রক্ষণকে সতর্ক থাকতে হবে৷’’ ইস্টবেঙ্গল বনাম অ্যারোজ ম্যাচ বাড়িতে বসে দেখছেন জানানোর পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘আচ্ছে দল৷’’
তাঁর হাতে হেনরি কিসেক্কা ও দিপান্দা ডিকার মতো দু’জন স্ট্রাইকার আছে৷ রয়েছেন সনি নর্দের মতো খেলা তৈরির লোক৷ হাইতি মিডিয়ো গোলও করছেন৷ তা সত্ত্বেও খালিদ বলছিলেন, ‘‘জেতার জন্য জোড়া স্ট্রাইকারে খেলাব কি না, তা ঠিক করিনি৷ রক্ষণ মজবুত করাটা প্রথম কাজ৷ তারপর গোল করার কথা ভাবব৷’’ অঙ্কের বিচারে বাকি সাত ম্যাচ জিতলে ৪২ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন শিল্টন পালরা৷ অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে সব ম্যাচ জিতলেও সনিদের আই লিগ পাওয়া কার্যত অসম্ভব৷ কারণ লিগ টেবলের যা অবস্থা তাতে ইতোমধ্যেই ১৩ ম্যাচ খেলেই ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চেন্নাই সিটি এফ সি৷ বাকি সাত ম্যাচের চারটি জিতলেই ৪২ হয়ে যাবে ওদের৷ লিগ নিয়ে কাঁটাছেড়া করা রেনেডি সিংহের মতো বিশেষজ্ঞ ভাষ্যকারও মন করেন,৪২-৪৩ পয়েন্টেই লিগের ফলাফল জানা যাবে৷ খালিদ আবার এই সমস্ত অঙ্ক নিয়ে চিন্তিত নন৷ তাঁর একটাই চিন্তা ডার্বি৷