জগৎ

লেখক
জিজ্ঞাসু

জগৎ শব্দের  মানে যা অবিরাম  দিনরাত চলে চলেছে বহমান নদীর মত৷ অণু পরমাণু থেকে গ্যালাক্সি, সর্বশক্তি সর্বপ্রাণ  মন বস্তু--- সবাই  চলে চলেছে৷ এমনকি যার  যাবার ইচ্ছে নেই, তাকেও সরে যেতে হয় এই সংসার  থেকে৷ মহাপ্রকৃতির  এটাই নিয়ম৷ এরই জন্যে  পৃথিবীর অন্য নাম জগৎ৷ যেমন ঋষি  মহাকাশ-বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আরও  কাজ  করার ইচ্ছা থাকা সত্বেও চলে গেলেন৷ চেতনার এক উজ্বল নক্ষত্র  নিবলো এখানে৷ তার মানে অন্য কোথাও, অন্য  কোনখানে  আরেকটা ঋষি হকিং  এসে গিয়েছেন বা জন্ম  নিয়েছেন৷ নেবেনই, এছাড়া  আমাদের গতি  নেই৷ হাজার  অজ্ঞতার  অন্ধকার  সরাতে , বহুদূর  পথ চলা বাকি৷ নিজেকে চেনা বাকি, জগৎ চেনা বাকি, আমাদের  থামার অবকাশ  নেই, পেছনে  ফিরে তাকাবার  সময় নেই ৷ প্রশ্ণ, হকিংকে ঋষি  বলছ কেন?  যিনি  ঋষি  অষ্টাবক্রের  শরীরের সাথেই  আইনষ্টাইনের  মেধা পান, তাঁকে  ঋষি বলতেই পার, যিনি ব্ল্যাক হোল-এর অন্ধকারেও  আশার আলো  দেখেন, যিনি মানুষকে  আশ্বাস দেন ‘‘এখনো  এক কোটি বছর বাকি আছে সূর্য নিভতে, মানুষের ভয় পাবার কিছু নেই৷’’ সেই হকিংকে ঋষি  বললে সত্য  বলা হল৷  এঁকে সতত প্রণাম৷ এঁদের চেতনার  আলোকে  আমরা পথ  করে নেব, এগিয়ে যাবো  আরও  বিস্তারিত চেতনার  পরিবেশে৷ জানি  আলোর পাশে  অন্ধকার থাকবেই , আছেই৷ তবুও আমাদের  দমানো যাবে না, থামানো যাবেনা৷ আমরা  এগিয়ে  যেতেই থাকবো, অন্তহীন  কাল ধরে৷ এ বিষয়ে  ঋষি  বশিষ্ঠের  মহাজাগতিক  অন্তর্দৃষ্টি দেখলে  অবাক হতে হয়৷ ‘‘ধর বিশাল শূন্য এক গোডাউন, দিনের  বেলাতেই  যার ভেতরটা অতি অন্ধকারে  ডুবে আছে, আনুমানিক ৯৯ শতাংশ৷ শুধুমাত্র ছাদের একটা ছিদ্র দিয়ে সূর্র্যলোকের  একটা  বিম মেঝেতে এসে নেবেছে৷ ১ শতাংশ মাত্র আলোতে দেখা যাচ্ছে, অতিসূক্ষ্ম অগণিত ধূলিকণা মহা অন্ধকার থেকে , এক লহমার  জন্যে আলোতে ভেসে , পরক্ষণেই মহা অন্ধকারে হারাচ্ছে৷ কিন্তু চলার শেষ নেই৷ সামূহিক  চলার বিরাম নেই৷ ঐ যে আলোর  বিম ও ভাসমান ধূলিকণা ওরা এই দৃশ্যমান বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক৷ ওই ধূলিকণা যেন গ্রহ নক্ষত্র গ্যালাক্সি প্রাণ মন শক্তি বস্তু৷

বাকি বিশাল  অন্ধকার  নিরাকার অজানা লোক৷ এ এক আনন্দ যাত্রা অবিরাম৷