জম্মু-কশ্মীর ও লাদাককে এক সূত্রে বেঁধে রাখা হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় হ’ত

লেখক
নিরপেক্ষ

বর্তমান যুগে সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রনেতা ও নেত্রীদের স্মরণে রাখা অত্যন্ত জরুরী তা হ’ল এই ভূমণ্ডলে বড় বড় প্রাণী জীবন সংগ্রামে বাঁচবে না, কারণ তাদের থাকা ও খাওয়ার সংকট দেখা দিয়েছে৷ তাই জঙ্গলের হাতি লোকালয়ে এসে মৃত্যুবরণ করছে৷ ঠিক তার পাশাপাশি ছোট ছোট দেশ বাঁচবে না যদি তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ না হয়৷

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বর্তমানে ধনতান্ত্রিক সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যে সব দেশ শাসিত হচ্ছে তারা কিন্তু দেশকে ‘টুকরো টুকরো করে শাসনের নামে শোষণ কর’, এই সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়ে শাসনের নামে শোষণ করে যাচ্ছে৷ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হ’ল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত৷ ১৯৪৭ সালে ছিল ১৫টি রাজ্য ও কিছু করদ রাজ্য৷ আজ সেগুলি দাঁড়িয়েছে কয়েক ডজনে৷ কারণট হ’ল এলাকাকে টুকরো টুকরো করে শোষণের যাঁতাকলকে দৃঢ় করণ৷ তাই তো দিকে দিকে ক্ষোভ বাড়ছে৷ আর মুষ্টিমেয় ধনী ব্যষ্টি সম্পদের পাহাড় করছে৷ কোটি কোটি মানুষ রক্তশূন্য হচ্ছে৷ প্রসঙ্গত বলা যায় কশ্মীরে ৩৭০ ধারা ৩৫: ধারা অবলুপ্তিটা গ্রহণযোগ্য কারণ এই কালাকানুন সারা ভারতের মানুষের বুকে দুরারোগ্য ব্যাধির মত রক্তশোষণ করে বেঁচেছিল৷ কিন্তু জম্মু-কশ্মীর আর লাদাককে পৃথক কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে এনে খুব একটা বড় কাজ হ’ল কি? মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ভাবটা জিইয়ে রাখা হ’ল বেশী করে৷ কিন্তু ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এটা একটা বড় নোংরা রাজনীতি৷ যাকে বলা হয়ে থাকে শোষণের পদ্ধতি বিশেষ৷ এতে করে মানসিক ব্যাপ্তিটা চরম ভাবে ধাক্কা খাবে৷ ভবিষ্যতে একসময়  বিস্ফোরণ যে হবে না সেটা কে বলতে পারে৷ ভারত আর্থিক মন্দায় ডুবছে৷ তাই প্রশাসনিক ব্যায় বাড়বে৷ সেটা বহন করবে কে? দরিদ্র্য মানুষকে করের বোঝা বেশী করে বহন করতে হবে শাসকদের অদূরদর্শিতার জন্যে৷ উত্তর-পূর্ব ভারতে অসমকে টুকরো টুকরো করায় সেই বিষয়ে ফল ভোগ করছে সারা ভারত৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা এই ধরণের ‘ডিভাইড অ্যাণ্ড রুল’ হ’ল সর্বনেশে এক কুৎসিৎ পদ্ধতি৷ এতে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র আসবে না৷ সমস্যার পর সমস্যা জমবে তাতে৷ দেশের দারুণ নিরাপত্তার অভাব হবে যেটা হয়েছে অখণ্ড ভারতের পশ্চিম প্রান্তে৷ আর দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক দলগুলির নোংরা বিচ্ছিন্নতা মানসিকতা৷ এতে করে দেশের ঐক্য ও সংহতি ধবংসই হয়৷ এরই ফলে একসময়ে সোভিয়েত রাশিয়া টুকরো টুকরো হয় বিশেষ এক জনগোষ্ঠীর কুশাসনে৷ তাই শাসক দলকে অত্যন্ত সন্তর্পণে মানুষের মানসিকতাকে আঘাত না করে সেবা দান করে যেতে হবে৷ তবেই সার্থক গণতন্ত্রের জন্ম হবে৷ বাস্তবের মাটিতে বহু ভাষাভাষীর ভারতে যেটা চলছে সেটা এক ধরণের সংকীর্ণ মানসিকতার শাসন৷ যেখানে মানবতার অভাব ঘটছে পদে পদে৷ সাম্প্রদায়িকতায় ভারত রক্তাক্ত হচ্ছে আর মানবতা ধূলায় পড়ে কাঁদছে৷ কিন্তু মিথ্যা প্রতারণায় কোটি কোটি মানুষ হচ্ছে রক্তশূন্য ও শোষিত, একদল ধাপ্পাবাজদের দ্বারা যারা মুখে বলে এক কাজে করে এক---যা মিথ্যাচারিতার নামান্তর৷ অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এখানে ঋণখেলাপীদের বাঁচাতে গরীবদের ওপর নানাভাবে আর্থিক জুলুম চলছে৷ তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে শাসকের মাথা ভারী হয়, মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়, জনগণের উন্নয়নের পয়সা নেতা মন্ত্রীদের পকেটে চলে যায়৷