জোড়া বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন বাংলার গর্ব দীপা কর্মকার

সংবাদদাতা
ক্রীড়া প্রতিনিধি
সময়

জোড় বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াতে খুবই উচ্ছসিত দীপা ও তিনি বলেও দিয়েছেন ‘‘পদক জিতব বলে কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে হলে প্রচুর বাড়তি চাপের মুখে পড়তে হয়৷ আমি যে টুকু বলতে চাই তা হলো, দুটো বিশ্বকাপেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব৷’’ পদকের কথা মুখে না বললেও জোড়া পারফরম্যান্সের উপর কতখানি নির্ভর করছে দীপার ভাগ্য৷ সোনা বা রুপো জিতলে তাঁর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রাস্তা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হতে পারে৷ তবে এ বার অলিপিক্সে যোগ্যতা পাওয়া বেশ কঠিন৷ ধারাবাহিক ভাল ফল করতে হবে দীপাকে৷

মঙ্গলবার বিকেলে সাই যখন দীপা ও তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী দুটি প্রতিযোগিতাতে যাওয়ার ছাড়পত্র মঞ্জুর করে, তখন রিয়ো অলিম্পিক্সে আলোড়ন ফেলে দেওয়া জিমন্যাষ্ট আগরতলা. অনুশীলনে ব্যস্ত৷ সকাল-বিকেল মিলিয়ে প্রায় সাত ঘন্টা অনুশীলন করছেন তিনি৷ তার মধ্যেই বলছিলেন, ‘‘আমার আসল লক্ষ্য টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামার যোগ্যতা অর্জন করা৷ সেই লক্ষ্যে আমি এগোচ্ছি৷ কোচ যে দুটো ভল্ট আমাকে করতে বলবেন সেটাই করব৷ পুরনো ভল্টে তো আমি অভ্যস্ত৷ নতুনটার অনুশীলন চলছে৷ প্রোদুনভা অনুশীলন প্রাথমিকভাবে শুরু করলেও বাকু ও দোহায় অস্ত্র হিসাবে প্রোদুনোভার অনুশীলন শুরু করেছে দীপা৷ ওটা অলিম্পিক্সের জন্য তুলে রাখছি৷ কারণ আরও অনুশীলন করা দরকার৷ পুরনো দুটো ভল্টের সঙ্গে নোতুন একটার অনুশীলন চলছে৷ দেখা ওখানে গিয়ে ঠিক করব কোনটা করাব৷’’

দীপা যে দুটো বিশ্বকাপে নামবেন তার প্রথমটি ১৪-১৭মার্চ আজারবাইজানে৷ পরেরটি ২০-২৩ কাতারে৷ আদ বুধবারই আগরতলা থেকে দিল্লির শিবিরে যোগ দেবেন দীপা ও তাঁর কোচ৷ সেখান থেকেই রবিবার বাকু যাবেন দু’জনে৷ দীপা বললেন, ‘‘আমি সাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে বিশ্বকাপে নামার সুযোগ দিয়েছেন৷’’ শোণা যাচ্ছে, গত বছর জার্র্মনি বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন বলেই তাঁকে সরাসরি ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ তবে সর্বভারতীয় জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন আর যাঁদের নাম পাঠিয়েছিল সেই জিমন্যাস্টদের ছাড়পত্র দেয়নি সাই৷ আজার বাইজানে কাউকে পাঠানো হচ্ছে না৷ তবে দুই পুরুষ জিমন্যাষ্ট আশিস কুমার ও যোগেশ্বরকে ফের ট্রায়ালে নিতে বলা হয়েছে সাইয়ের পক্ষ থেকে৷ সম্ভবত তাদের ট্রায়াল নেওয়া হবে ১১ই মার্চ৷ নির্বাচিত হলে তাদের দোহা পাঠানো হবে৷