নেতাজী মৃত্যু বিতর্ক--- কংগ্রেস বিজেপি একমঞ্চে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সুভাষচন্দ্রের ভূত কিছুতেই ছাড়ছে না কংগ্রেস আর এস এসের ঘাড় থেকে৷ ১৯৩৮ সালে কংগ্রেস সভাপতি হয়ে সুভাষচন্দ্র ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি দেশীয় পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধেও আন্দোলনের কথা বলেছিলেন৷ তিনি এও বলেছিলেন  দেশীয় পুঁজিপতিদের মদতে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শক্তি অর্জন করছে৷’’ এরপর সুভাষ বিরোধীতায় কংগ্রেস কম্যুনিষ্ট, আর এস.এসকে একমঞ্চে দেখা গেছে৷ তারপরের ইতিহাস সুভাষচন্দ্রের দ্বিতীয় কংগ্রেস  সভাপতি নির্বাচিত হয়েও দেশীয় পুঁজিপতিদের চৌকিদার হিন্দ লবির চক্রান্তে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসে সভাপতির পদত্যাগ,দেশত্যাগ, আজাদহিন্দ  ফৌজ গঠন,ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা---সে ইতিহাসকে লুপ্ত করার চেষ্টায় ব্যস্ত কংগ্রেস কম্যুনিষ্ট আর এস এস সবাই৷

নেতাজীর জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত তথাকথিত দেশনেতারা স্বাধীনতার  পরবর্তী সময়ে প্রকৃত ইতিহাসকে দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করেননি৷ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস প্রকাশ হলে অনেক তথাকথিত মহান দেশনেতার মুখোশ খসে পড়বে৷ আর সুভাষচন্দ্রের আত্মপ্রকাশ হলে প্রকৃত ইতিহাসও সামনে এসে পড়বে৷ তাই স্বাধীনতার পর থেকেই সুভাষচন্দ্রকে মৃত প্রমাণ করতে সদা সচেষ্ট রাম বাম ডান সবাই৷   ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগষ্ট তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু হয়েছিল বলে রটনা হয়৷ এই নিয়ে দেশ বিদেশে অনেক তদন্ত হলেও প্রকৃত সত্য আজও জানা যায়নি৷ তবে সুভাষচন্দ্রের ভূত দেশীয় নেতাদের ঘাড় থেকে আজও নাবেনি৷ সুভাষচন্দ্রের বয়স এখন ১২৪ বছর৷ তাই তাঁর স্ব-শরীরে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷  কিন্তু দেশনেতাদের ভয় তবু যায় না৷ যেকোনভাবে সুভাষচন্দ্রকে মৃত  প্রমান করলেই যে বাঁচে দেশীয় পুঁজিপতিদের চৌকিদাররা৷

১৮ই আগষ্ট নেতাজীর মৃত্যু দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (!) রমেশ পোখরিয়ালা, যদিও এইদিনে নেতাজীর  মৃত্যু হয়েছে এমন কোন প্রমাণ ভারত সরকারের কাছে নেই৷ বিজেপির পর কংগ্রেসও একই ধরণের টুইট করে৷ তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এর বিরোধিতা করে৷ তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন--- ১৮ই আগষ্ট নেতাজীর মৃত্যু প্রমাণিত নয়৷ কংগ্রেস বিজেপি কেউই নেতাজীর শেষ দিনগুলির প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করেন নি৷

আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব জয়ন্ত দাশ বলেন--- নেতাজীর সম্পর্কে প্রকৃত সত্যপ্রকাশ করার হিম্মত কংগ্রেস বিজেপি কারোর নেই৷ সে ইতিহাস প্রকাশিত হলে অনেক মহাত্মা, অনেক লৌহ মানবের মুখোশ খুলে যাবে৷ তথা কথিত দেশ প্রেমিকদের চেহারা বেরিয়ে পড়বে তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েও নেতাজী সম্পর্কে গোপন ফাইল প্রকাশ করেন নি৷