প্রাউট প্রতিষ্ঠায় মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

লেখক
সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম প্রকৃতি সঞ্জাত৷ আর এই প্রকৃতি হতে উৎপন্ন নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম থেকে প্রেরণা পেয়ে মানব আকাঙ্ক্ষা বা এষণা স্থূল জড়ভাবের দিকে এগিয়ে চলে৷ কিন্তু পজেটিভ  মাইক্রোবাইটাম পরম তথা সদ্গুরু সৃষ্ট৷ আর সদ্গুরু সৃষ্ট মাইক্রোবাইটামের  কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে পার্থিব জীবনের নানান দিকে সাফল্য লাভে সাহায্য করে৷ নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম মানুষকে ক’রে তোলে স্বার্থপর কিন্তু  পজেটিভ  মাইক্রোবাইটামের প্রভাবে মানুষ হ’য়ে ওঠে  উদার ও বিশ্বৈকতাবাদী৷ কোন বড় কাজ বা মহান কাজের জন্য যে আগ্রহ  বা উদ্দীপনা  দরকার তার পিছনে  সাহায্য করে মাইক্রোবাইটাম৷ এই পজেটিভ  মাইক্রোবাইটামের  প্রভাবেই  সাধক হয়ে  ওঠে সদ্বিপ্র৷

এখন ‘বাবা’ বলেছেন---যাঁরা প্রাউটকে প্রতিষ্ঠিত করবেন তাঁরা হলেন সদ্বিপ্র৷ সদ্বিপ্ররাই প্রাউট  পরিচালনা করবেন বা প্রাউটকে ধরে রাখবেন৷ সদ্বিপ্রদের জীবনে  থাকবে  কঠিন দায়িত্ব৷ তাই  যাঁরা আগামী দিনে প্রাউট প্রতিষ্ঠা করবেন তাঁদের  হতে হবে সাধক-সৈনিক৷ এই সাধক  সৈনিক সদ্বিপ্রদের জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হ’ল ভক্তি৷ সাধক বা সদবিপ্ররা ভক্তির  মাধ্যমেই পরমপুরুষকে সন্তুষ্ট করেন৷ অর্থাৎ গুরু যখন শিষ্যের আন্তরিক ভক্তি প্রয়াসে সন্তুষ্ট হন৷ তখন তিনি শিষ্যের প্রতি কৃপাপরবশ হয়ে পজেটিভ  মাইক্রোবাইটামের সাহায্যে তাঁর শুভবৃত্তিগুলিকে উজ্জীবিত করেন ও তাদের প্রভাবকে বাড়িয়ে দেন৷ আর সেই সঙ্গে অশুভ বৃত্তিগুলোর প্রভাব কমিয়ে দেন৷ কিন্তু কিভাবে সাধক তথা সদবিপ্রের শুভবৃত্তিগুলির জাগরণ ঘটিয়ে অশুভ বৃত্তিগুলোর কার্যকলাপ কমিয়ে দেন? সাধকের ওপর পরমপুরুষ সন্তুষ্ট হলে তিনি সেই ব্যষ্টির ওপর তাঁর সমস্ত চক্রের পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের সাহায্যে বিশেষ শক্তি সম্পাত করেন৷ এরপর ওই চক্রের সংশ্লিষ্ট গ্রন্থিগুলির গ্রন্থিরস ক্ষরণের মাত্রা বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে দিয়ে সাধকের শুভবৃত্তির জাগরণ ঘটিয়ে সাধককে সদবিপ্র হতে সাহায্য করেন৷ সুতরাং প্রাউট প্রতিষ্ঠা করতে মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷