ফিরে এসো নেতাজী

লেখক
শ্যামল গোস্বামী

হে বীর তোমারে জানাই প্রণাম আজি এ শুভ্র প্রাতে৷

নির্ভিক এক দুর্দম প্রাণ এনেছিলে করে সাথে৷৷

বনেদীয়ানার সোনার চামচ ঘৃণা করে দূরে ছঁুড়ে৷

মানুষের সাথে মিলেছ মিশেছ দেখেছ হৃদয় খুঁড়ে৷

পরাধীনতার নাগপাশে বাঁধা জননী জন্মভূমি৷

কম্বু কণ্ঠে শপথের বাণী মাতৃচরণ চুমি৷৷

স্বদেশের ভাষা স্বদেশের বেশ স্বদেশের ভাবধারা৷

লোভ–লালসার সুখের জীবনে হওনি তো পথহারা৷৷

কটূক্তি করা ওটন সাহেব শিখেছিল সহবৎ৷

বজ্রকঠিন দৃপ্ত কণ্ঠে প্রকাশিলে মতামত৷৷

মহান হওয়ার চেষ্টা ছিল না ভাল কি তা বুঝেছিলে৷

কুৎসা কাদার দুর্গম পথে নির্ভয়ে যুঝেছিলে৷৷

সম–সামায়িক জ্ঞানী গুণী সব – ছিল না তোমার ভক্ত৷

শক্ত পথের পথিক তুমি যে বলেছিলে দিতে রক্ত৷

মিউ মিউ করা বেড়াল তার চুপি চুপি এঁটো কাঁটা৷

খালি পেটে থেকে মিঠে পান খেয়ে জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটা৷৷

আপোষকামিতা আলোচনা সভা গোল গোল কথকতা৷

ঘৃণা করে সব চলেছ স্ব–পথে সহিয়া নীরবে ব্যথা৷৷

চলনে তোমার দৃপ্ত ভঙ্গী ফাঁপা উদ্ধত নয়৷

সংযত বাক্ স্বাভাবিকতার জাননি কেমন ভয়৷৷

আগুন ঝরানো বাক্যে বচনে দেশের তরুণ দল৷

পতাকা হাতেতে পথে নামে সব কেঁপে ওঠে ধরা তল৷৷

তোমরা আমাকে রক্ত দাও – আমি দেব স্বাধীনতা৷

ইংরেজ বেনে ভয়েতে পালাবে ফেলে দিয়ে হাল খাতা৷৷

ভারতবর্ষ জানল তোমাকে করল তোমাকে নেতা৷

লাখো লাখো যত যুবক যুবতী মানল তোমাকে ত্রাতা৷৷

হিংসা না অহিংস তত্ত্ব বেড়ে গেল জাল–যুক্তি৷

তবে কি এখনো বিশ বাঁও জলে জন্মভূমির মুক্তি৷

অভিমানে তুমি পদ ছেড়ে দিলে ভিন দেশে দিলে পাড়ি৷

সেইখানে থেকে যুদ্ধ চালালে আজাদ বাহিনী গড়ি৷৷

বিমান ধ্বংসে তোমার  মৃত্যু আজো রহস্যময়৷

নেতার বেশেতে এসো গো নেতাজী দূর কর পাপ ভয়৷৷

ধর্ম ভাষার প্রাদেশিকতার এখনো যে বাড়াবাড়ি৷

মিটাও সে সবে এক করে দাও এসো তুমি তাড়াতাড়ি৷৷

তোমার ত্যাগের মন্ত্রে আমরা আবার নেবো যে দীক্ষা৷

তোমার দেখানো পথেতে হাঁটবো নিয়ে তোমারই শিক্ষা৷৷