‘ফণী’র দাপটে বিধবস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের চাষী আত্মঘাতী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কয়েকদিন আগে বিধবংসী ঝড় ‘ফণী’ পরে একটানা বৃষ্টিতে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ ধান চাষীরা অনেকে জমি থেকে পাকা ধান তুলতে পারেননি৷ ফলে চাষীদের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার খাড়গ্রামের এমনই এক ধান চাষী  মানিক মাইতি (৩৫)৷ মাণিকের বাবা প্রদীপ মাইতি জানিয়েছেন তাঁরা তাঁদের সাড়ে চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন৷ চাষ করতে গিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন৷ আশা ছিল ধান বেচে টাকা শোধ করবেন৷ কিন্তু বৃষ্টির জলে ডুবে জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ছেলে মাণিক মনমরা হয়ে যায়৷ এই অবস্থায় দিনভর তাকে বাড়ীতে ফিরতে না দেখে তাঁরা বাইরে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন মাঠের পাশে একটি গাছে ফাঁস দিয়ে ছেলে ঝুলছে৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহকে হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠান৷

জানা গেছে, এইভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে এলাকার ৮০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়েছে৷ আশপাশের থানাগুলির অবস্থাও তাই৷ বহু ধান চাষী এইভাবে ঋণ করে চাষ করেছেন ও ফসল নষ্ট হওয়ায় সবার মাথায় হাত৷ এভাবে চাষীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে প্রতিবছর ফসল ফলায়৷ বহুবারই কখনও খরাতে, কখনও অতি বৃষ্টিতে কখনো কখনো অকস্মাৎ রোগের প্রকোপে বহু ফসল নষ্ট হয়৷ আর চাষীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন৷ এইভাবে নানান ঝুঁকি নিয়ে চাষীরা ফসল ফলিয়ে দেশবাসীকে অন্ন জোগায়৷ শেষ পর্যন্ত তাঁদেরই অধিকাংশের ক্ষেত্রে অনাহারে, অর্দ্ধাহারে দিন কাটাতে হয়৷ এই সমস্যা বছরের পর বছর চলছে, কিন্তু কোন সরকার এর স্থায়ী কোনও সমাধানের ব্যবস্থা করছেন না৷