সয়াবীন

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

সয়াবীন একটি প্রচুর স্নেহগুণ–যুক্ত উত্তম খাদ্য৷ কিন্তু এতে রয়েছে কিছুটা বুনো গন্ধ৷ এর আদি বাস চীন ও উত্তর পূর্ব এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে৷ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে একে de-odourised (দুর্গন্ধনাশক) করতে পারলে এর জনপ্রিয় হওয়ার পথে কোন বাঁধা থাকে না৷

এই সয়াবীন থেকে দুগ্ধের সমস্ত উপাদান ও উপকরণই পাওয়া যায়৷ তাই এ থেকে দই, ছানা, মাখন, সয়াবীন তৈল (ঘৃতের বিকল্প) পাওয়া তো যায়ই, গুণেও এ দুধের চেয়ে কিছু বেশী তো কম নয়৷ দুধের ছানার চেয়ে সয়াবীনের ছানার পুষ্টিমূল্য বেশী৷ সয়াবীন তৈল ছাড়া এর অন্যান্য ব্যবহার এখনো ভারতে জনপ্রিয় হয়নি৷ অথচ সাধারণ মানুষের সহজে প্রাপ্ত পৌষ্টিক ও প্রোটিন উপকরণ হিসেবে একে জনপ্রিয় করা উচিত৷ এর চাষও কঠিন কিছু নয়, অন্যান্য ডাল–চাষের মতই৷ সয়াবীন আগের রাত্রে ভিজিয়ে রেখে, পরের দিন তা শিলে ছেঁচে নিয়ে যে কোন তরকারীতে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বা তা শিলে ভাল করে পিষে নিয়ে, অন্যান্য উপকরণ মিলিয়ে বড়া তৈরী করে তরকারী বানালে, শুধু উপাদেয় হবে না, হবে প্রোটিন–গুণে সমৃদ্ধ একটি মহার্ঘ–খাদ্য৷

দধি–ঘোলের উপকারিতা

‘‘অজীর্ণরোগে তরলভেদে দধি ও কোষ্ঠকাঠিন্যে চীনী সহ মহিষী দুগ্ধের ঘোল৷ মনে রাখতে হবে ঘোল জিনিসটা ডিস্পেপসিয়া (অজীর্ণ) রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷’’

‘‘অম্লরোগীর পক্ষে ঘোল বিশেষ উপকারী, দধি বিশেষ হিতকারী নয়৷’’

‘‘অর্শ রোগী দু’বেলা এক গ্লাস করে ঘোল খাবে৷’’