পরমপুরুষের বিশ্বরূপ
সৃষ্টির প্রারম্ভের আগের কথা৷ সে সময় দেশ–কাল–পাত্রের মত সাপেক্ষ সত্তা ছিল না৷ একমাত্র ছিল অখণ্ড অসীম, ৰৃহৎ, সর্বব্যাপী সত্তা, আর সেই সত্তার সাক্ষিত্বরূপে ছিলেন পরমপুরুষ৷ সেই অখণ্ড সৃষ্টির রচয়িতা পরমপুরুষ নিজেকেই অনেক রূপে নানাপ্রকারে অভিব্যক্ত করলেন৷
‘‘ত্বং স্ত্রী ত্বং পুমানসি, ত্বং কুমার উত বা কুমারী৷
ত্বং জীর্নোদণ্ডেন বঞ্চয়সি ত্বং জাতো ভবসি বিশ্বতোমুখঃ৷’’
‘‘নীলঃ পতংগো হরিতো লোহিতাক্ষ
স্তত্তিদ্গর্ভ ঋতবঃ সমুদ্রাঃ৷
অনদিমত্বং বিভুত্বেণ বর্ত্তসে
যতোজাতানি ভুবনানি বিশ্ব৷৷’’