ত্রিপুরায় আনন্দমার্গের ধর্মীয় অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরা রাজ্যের পানিসাগর শহরে স্থানীয় আনন্দমার্গীদের উদ্যোগে মহাদেব মন্দিরে শিবতত্ত্ব ও যোগ বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ মানব সভ্যতার জনক শিব৷ আদিপিতা ভগবান শিবের বহু নাম --- আদিদেব, বৈদ্যনাথ, নটরাজ, পঞ্চানন, ত্রিলোচন--- শিবের এই নামগুলি তাঁর বিভিন্ন কর্ম ও গুণের পরিচিতি বহন করে৷ কল্যাণময় শিবের ছিল অনন্ত ঐশ্বর্য৷ তাই তার নাম বিভূতিনাথ৷ পরম করুণাময় শিব, মানুষের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যেই আজ থেকে প্রায় ৭ হাজার বছর পূর্বে যোগবিদ্যা এই পৃথিবীতে প্রচার করেছিলেন৷ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত বলেন, শিব প্রবর্তিত এই যোগবিদ্যাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন৷ পরমগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী মানুষের কল্যাণার্থে এই যোগবিদ্যাকে আরও সম্প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করে ৪টি স্তরে বিভাজিত করেন৷ সেগুলি হ’ল প্রারম্ভিক যোগ, সাধারণ যোগ, সহজ যোগ ও বিশেষ যোগ৷ শিব হলেন আদিগুরু৷ তাঁর জীবনটাই একটা দর্শন ও একটা তত্ত্ব৷

আলোচনার পর আচার্যজী কিছু উপকারী আসন ও কৌশিকী নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেন৷ সবশেষে শিবগীতির পর সমবেত ধ্যান অনুষ্ঠিত হয়৷

 গত ১৬ ও ১৭ই ফেব্রুয়ারী কমলপুরে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের উদ্যোগে আনন্দমার্গ আশ্রমে ২দিন ব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ ১৬ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ‘কৃষ্ণতত্ত্ব ও গীতামাহাত্ম্য’ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী রচিত ও সুরারোপিত কৃষ্ণগীতি পরিবেশিত হয়৷

১৭ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এর পর সমবেত ধ্যান ও গুরুপূজার পর স্বাধ্যায় করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী বিদিত দেবনাথ৷ ‘আনন্দমার্গ দর্শন ও ভক্তিতত্ত্ব’ নিয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ সবশেষে সবার মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ ভুুক্তিপ্রধান শ্রী মণিলাল শর্মা ও স্থানীয় মার্গীদের ব্যবস্থাপনায় গরীবদের মধ্যে কম্বল বিতরণও করা হয়৷ আনন্দমার্গের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৪ জন আনন্দমার্গের দীক্ষিত হন৷