আলাদা করে মাতৃদিবস কেন?

লেখক
আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

যার স্নেহছায়ায় প্রতিমুহূর্ত প্রতিদিন কাটে, যার স্নেহের অমৃতধারায় সতত স্নাত, যার কোলে প্রথম জগতের আলো দেখলাম, তার জন্য আলাদা একটা দিবস! ----- বুঝিনা এ লজ্জার না গৌরবের! যান্ত্রিক জীবনের কৃত্রিম আড়ম্বরের মাঝে কোথায় যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের চিরন্তন স্নেহ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। জড় বিজ্ঞানের সৌজন্যে বহি:প্রকৃতির বিপুল ঐশ্বর্যের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে স্নেহ-ভালোবাসা শ্রদ্ধার সুকুমার বৃত্তিগুলো। মা-ই তো প্রথম বিশ্বজগতকে আমাদের পরম আত্মীয় বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। পার্থিব দেহ নিয়ে মা চিরদিন থাকবে না। কিন্তু এই বিশ্বজগতের আত্মীয়তার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। আজ স্বার্থের চোরাস্রোতে সেই আত্মীয়তা হারিয়ে যাচ্ছে। বছরের একটি মাতৃদিবস সেই আত্মীয়তাকে ফিরিয়ে দেবেনা। বিশ্বকবির কথায়---"জড়ে জীবে সর্বভূতে অবারিত ধ্যান পশিত আত্মীয় রূপে"। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এই ধান অভ্যাসই বিশ্ব জগতের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তা বজায় রাখবে। মাতৃস্নেহের অমৃতধারা চিরজীবন সিঞ্চিত হতে থাকবে।