অনিশ্চয়তার বেড়াজালে শৈল্পিক জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার

সংবাদদাতা
ক্রীড়া প্রতিনিধি
সময়

পরের বছর টোকিয়ো অলিম্পিক৷ যেখানে প্রাকটিস করবেন কিভাবে আবার সেই সাফল্য কিভাবে পাবেন , সেটা না হয় কি হয়ে গেল শৈল্পিক জিমন্যাস্ট ত্রিপুরার কন্যা দীপা কর্মকারের জীবনে৷ একটা চোট তার সমস্ত স্বপ্ণকে বিসর্জন দিতে চলেছে৷ কতগুলি প্রশ্ণ মানুষের মনে জেগে উঠেছে তিনি একেবারেই আর  জিমন্যাসস্টিক করতে পারবেন না? করলে কি তার জীবন-মরণ সমস্যা হতে পারে? তার কি অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্ণ কি অধরাই থেকে যাবে?

আপাতভাবে দেখলে এখন কোন প্রশ্ণেরই সঠিক  কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না৷ কারণ, দীপার চোট সম্পর্কে ডাক্তারেরা সেড়ে যাওয়ার আশ্বাস তো দিচ্ছেন কিন্তু বিশ্বাসের সাথে বলতে পারছেন তিনি পুরোপুরি কবে সুস্থ হতে পারেন বা তার সুস্থ হতে আর কত সময়ের প্রয়োজন৷  বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, বাকুতে পাওয়া চোটের জন্যেই  আক্ষেপ বাড়ছে৷   এই পরিস্থিতিতে চোট পেয়ে গিয়েছিল দীপা৷  তারপর দোহাতে একটি প্রতিযোগিতায় যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্ত আর যাওয়া হয়েনি , চোট লাগার কারণে  সোজা চলে যেতে হয়েছিল তাকে দিল্লিতে৷ লিগামেন্টে চোট লেগেছিল৷ ডাক্তার দেখে এক্সরে-এমআরআই করেছিল৷ তারপর থেকে রিহ্যাব চলছে৷’’ দমবন্ধ করা কয়েক মাসের মধ্যেও অবশ্য স্বপ্ণের বিসর্জন ঘটছে না পুরোপুরি৷ নেপথ্যে তা থাকছে৷ কোচ বলেই দিলেন, ‘‘আমরা তো আশা ছাড়িনি৷ বছরের শেষেও অনেক টুর্র্নমেন্ট রয়েছে৷ আমরা তখন ফেডারেশনের সঙ্গে বসব, বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব তা ঠিক করব৷ তবে পুরোনো পারফরম্যান্সে ফিরতে হলে প্রাকটিস দরকার কিছুদিন৷ যা সাবধানে  করাতে হবে৷’’ পুরোদমে অনুশীলনে নেমে পড়া নয়, ধীরে ধীরে এগোনোর কথাই মাথায় রাখতে হচ্ছে৷

দীপার মনোবল যাতে ভেঙে না যায় তাই ওর  মনোবল শক্ত করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন, কোচ বিশ্বেশ্বর,  যাতে অলিম্পিক পদক যেন দীপার অধরা না থেকে যায় সেটি  দীপা জয় করতে পারে এটাই  বোঝাচ্ছেন সদা৷