আন্তর্র্জতিক নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে শেষ হল ধর্মমহাসম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০২১কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দনগরে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মমহা সম্মেলন৷ কোভিড আতঙ্কের পরিবেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার আনন্দমার্গী আনন্দনগরে সমবেত হয়েছিলেন৷ বিশ্বের প্রাচীনতম ভূখণ্ড পশ্চিম রাঢ়ে পুরুলিয়া জেলায় অবস্থিত আনন্দনগর৷ সুপ্রাচীন সুউচ্চ পর্বতমালার ধবংসাবশেষ ডুংরি পাহাড়ে আর মহুল পলাশের জঙ্গলে ঘেরা আনন্দনগরে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গানে, কীর্ত্তনে আধ্যাত্মিক আলোচনায় পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে পবিত্র হৃদয়ে নববর্ষকে বরণ করে নিল-আনন্দনগরে উপস্থিত কয়েক হাজার মার্গী ভাই-বোন৷

তিন দিনের এই সম্মেলন মার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার প্রত্যহ দুইবেলা মার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর প্রবচন দেন৷ তাঁর প্রবচনের বিষয়বস্তু ছিল মূলত জ্ঞান-কর্ম-ভক্তি যোগের ওপর৷ তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে তিনি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের বিস্তৃত ব্যাখ্যা করে বাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধে মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা,স্বাত্ত্বিক আহার৷ সাত্ত্বিক জীবন-যাপন ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের ওপর জোর দেন৷ ২৯,৩০,৩১শে ডিসেম্বর তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রত্যহ সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল৷ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য,গীত ও গীতি-নাট্য পরিবেশন করেন কলিকাতা থেকে আগত শিল্পীবৃন্দ ও মার্গীভাইবোনরা৷ কলিকাতা থেকে আগত সাংসৃকতিক গোষ্ঠীর বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ছিলেন৷

গত ১লা জানুয়ারী ২০২১ এর বর্ষারম্ভের দিনটিকে বরণ করতে  আনন্দনগরে অবস্থিত মার্গগুরুর স্মৃতিসৌধে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ বিশিষ্ট শিল্পীদের দ্বারা প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন, কীর্ত্তন ও সাধনার পর মার্গগুরু দেবের বাণী পাঠ করা হয়৷ পরিশেষে আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত মার্গগুরুদেবের বাণীর বিস্তৃত ব্যাখ্যা করে শোণান৷