অনূধর্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপে রূপো জিতলেন ঝাঁসির মেয়ে শৈলী সিংহ

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে জন্ম শৈলীর৷ একার হাতেই দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে বড় করেছেন বিনীতা৷ দর্জির কাজ করে সংসার চালাতেন৷ তবে খেলাধুলোর ব্যাপারে আগ্রহ ছিল৷ সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ণ ছিল৷ কিন্তু সেই স্বপ্ণের পথে বার বার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে অর্থের অভাবই৷ ছোটবেলা থেকে দৌড়তে ভাল লাগত শৈলীর৷ বলেছে, ‘সূকলে খুব দৌড়তাম৷ জুতো কেনার টাকা ছিল না বলে খালি পায়েই দৌড়াতাম৷ একদিন খবরের কাগজ পড়ে নির্বাচনী ট্রায়ালের কথা জানতে পারে মা৷ আমাকে বলে অংশ নিতে৷ প্রথমে ঝাঁসিতে ও পরে লখনউয়ের কেডি সিংহ স্টেডিয়ামে ট্রায়াল দিই৷ এরপরেই লখনউয়ের স্পোর্টস হস্টেলে জায়গা পেয়ে যাই৷’’

লখনউয়ে শুরুতেই দাগ কাটতে পারেনি শৈলী৷ প্রথম জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা খেলে জুনিয়র ন্যাশনালসে৷ অনূধর্ব-১৪ লং জাম্পে পঞ্চম হয়েছিল৷ বেশির ভাগেরই নজর ছিল পদকজয়ীদের দিকে৷ কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় একজনের নজরে পড়ে গিয়েছিল শৈলী৷ তিনি রবার্ট ববি জর্জ৷ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ী অঞ্জু ববি জর্জের স্বামী৷ নিজের অ্যাকাডেমির জন্য ছাত্রছাত্রীর সন্ধানে গিয়েছিলেন তিনি৷ পদক না জিতলেও শৈলীর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব এবং জেদ নজরে এসেছিল রবার্টের৷ পরের একটি প্রতিযোগিতায় শৈলীকে দেখে ঠিক করে নেন, আর এই বাছাই করা মেয়েটি  অনূধর্ব-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ানশিপে তাক লাগিয়ে দিয়েছে৷ মাত্র এক সেন্টিমিটারের জন্য লং জাম্পে সোনা পায়নি৷ কিন্তু রূপো পেলেও শৈলীর জন্য গর্বিত দেশ৷