অর্থমন্ত্রকের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা - উপদেষ্টা সংস্থার দুরাশার বার্তা প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণই পথ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নববর্ষের প্রথম প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে দুর্দিনের অবসানের আশার কথা শোনাল কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রক৷ তবে একই সঙ্গে আশাহতের বার্তা ছিল আর্থিক  উপদেষ্টা সংস্থা৷ অর্থমন্ত্রকের দাবী যেভাবে কোভিড সংক্রমণের হার কমছে তাতে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা স্পষ্ট হচ্ছে৷ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত অর্থনীতির মুখ থুবড়ে পড়ার দায় করোনার ঘাড়েই চাপিয়ে রাখছে৷ তাই করোনা বিদায় নিলেই আর্থিক সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করছে অর্থমন্ত্রক৷

আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা সি.এম.আই অর্থমন্ত্রকের আশায় জল ঢেলেছে৷ সংস্থার এম.ডি-সিইও মহেশ ব্যাস জানান বেকারত্ব বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির হার উদ্বেদ বাড়াচ্ছে৷ নভেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫০ শতাংশ৷ ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৯.০৬ শতাংশ৷ অর্র্থৎ প্রায় তিন শতাংশ বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ব্যাসের মত করোনার কারণে অনেকেই কাজ ছেড়েছে৷ কলকারখানা বন্ধ হয়েছে, অফিস আদালত বন্ধ ছিল,তাই অনেকেই কাজের সন্ধান করা ছেড়ে দিয়েছিল৷ কিন্তু অবস্থা স্বাভাবিক হলে কাজের সন্ধান বাড়বে৷ কিন্তু অর্থনীতির এমন অবস্থা নেই যে রাতারাতি কর্মসংস্থান হয়ে যাবে৷ তাই বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে৷ এই অবস্থায় অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ান কতটা সম্ভব সেটাই সংশয়ের৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন ১০০ শতাংশ মানুষের  কর্মসংস্থান ও মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা না এলে অর্থনীতি কিভাবে  ঘুরে দাঁড়াবে? যে সরকার মুষ্টিমেয় ধনকুবেরের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে তাদের পক্ষে অর্থনীতিতে সুদিন ফেরানো সম্ভব নয়,সে করোনা থাক বা না থাক৷

শ্রী খাঁ বলেন---কেন্দ্রীত অর্থনীতির খোল-নলচে পাল্টে প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণের পথেই অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ান সম্ভব৷ তিনি বলেন প্রতিটি বেকারের কাজ চাই, প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা থাকা চাই৷ পুঁজিবাদী শোষকরা সেটা কখনই চাইবে না৷ আর্থিক সংস্থাগুলো যে হিসাব প্রকাশ করে সেটা কেন্দ্রীত অর্থ ব্যবস্থায় পুঁজিপতিদের ওঠা নামার হিসাব৷ সাধারণ জনগণের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই৷ জনগণের ন্যূনতম চাহিদা (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা) পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সুদিনের কথা প্রলাপ বকা ছাড়া কিছু নয়৷