July 2017

বিমল গুরুং এখন বাঘের পীঠে চড়েছে - এখন বাঘের পীঠ থেকে নামবার উপায় খুঁজছে?

গোর্খাল্যাণ্ড নিয়ে নূতন করে হিংসাত্মক আন্দোলন ও পাহাড়ে একটানা বনধ্ ডেকে এখন গুরুং বনধ্ তোলার পথ খঁুজে পাচ্ছে না৷ সাধারণ পাহাড়বাসীর খাদ্য মিলছে না, গুদাম লুটের চেষ্টা চলছে৷ সাধারণ মানুষ এখন ভেতরে ভেতরে মোর্চা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে৷ যদিও মুখে সাহস করে কিছু বলতে পারছে না৷

মনকে ভারমুক্ত রাখ  

বুদ্ধির মান অনুযায়ী জীবকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে–পশু, মানব আর দেবতা৷ আমাদের মানব সমাজেও আমরা পাই মানবীয় আধারে পশু, মানবীয় আধারে মানব আর মানবীয় আধারে দেবতা৷

আবার ইয়ূরোপ জুড়ে সাইবার হামলা

আবার সাইবার হামলা৷ ইণ্টারনেটের মাধ্যমে  হামলা৷ গোটা ইয়ূরোপ জুড়ে এই হামলা চলছে৷ গত ২৭শে জুন প্রথম হামলা শুরু হয় ইয়ূক্রেনে৷ দেখা যায় হঠাৎ এই দেশে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, জাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বিমানবন্দরগুলির নেটওয়ার্ক সব একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়৷ ইয়ূক্রেনের পার্লামেণ্টের সদস্যরাও ইণ্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না৷ এরপর ইংল্যাণ্ড, নেদারল্যাণ্ডস্ ইণ্টারনেট অচল হয়ে যায়৷

ইয়ূক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে রুশ ভাষায় ই-মেল পাঠানো হয় ৩০০ ডলার বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেণ্ট করলে তিনি নিজের কম্পিউটারগুলি চালাতে পারবেন৷

দার্জিলিং ঃ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকা

দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুংয়ের সাম্প্রতিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ফলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে৷ এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিষ্টার জেনারেলের নিকট রাজ্য সরকারের তরফে এক রিপোর্ট জমা পড়েছে৷

দার্জিলিংয়ের সাম্প্রতিক বনধ ও হিংসাত্মক আন্দোলনকে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিথ মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ বে-আইনী ঘোষণা করেছেন৷ আদালত থেকে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল সাম্প্রতিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ফলে কি পরিমাণ সরকারী সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে৷

ভারতের ওপর চীনের লুব্ধ দৃষ্টি

দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবীতে বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের পেছনে চীনা মদত রয়েছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দৃঢ় অনুমান৷ চীন গোপনে গোপনে নানা ভাবে গুরুংদের সাহায্য করছে৷ কিছুদিন পূর্বে খবরে প্রকাশ পেয়েছিল ঘোরাপথে চীনা অস্ত্র আমদানী করতে গিয়ে গোর্খাল্যাণ্ড পার্সোন্যাল (জি.এল.পি) ও এন সি সি এন-এর দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ ভারতের ওপর চীনের লুব্ধ দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই৷ ভারতের গোয়েন্দাদের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, নেপাল ও ভুটানের সীমান্তবর্তী ভারতীয় ভূখণ্ডের ধর্মস্থানগুলিতে চীন ঘাঁটি গাড়ছে৷ বেশ কিছু বৌদ্ধ গুম্ফায় চীনাদের সক্রিয়তা বাড়ছে ও এগুলির মাধ্যমে চরবৃত্তি চালাচ্ছে৷ এও অভিযোগ ভারতের সীমান্তবর্

সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে

প্রবীর সরকার

দার্জিলিংয়ের গোর্খারা হ’ল নেপালের অধিবাসী৷ তারা নেপালী৷ নেপাল যেহেতু স্বাধীন রাষ্ট্র তাই তারা ‘নেপালল্যাণ্ড’ আন্দোলন করার দাবী না তুলে গোর্খাল্যাণ্ড গড়ার দাবী তুলছে দীর্ঘকাল ধরে৷ এই কাজে মদত দিয়ে আসছে বিশেষ করে কমিউনিষ্ট দল৷ কমিউনিষ্টরা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক দিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাই বাম শাসনকালে জ্যোতি বসুর আমলে এরা রাজ্য সরকারের মদতে সুবাস ঘিসিংকে নেতা বানিয়ে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গড়ে তোলে৷ সরকারী ভাবে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠন রুখতে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করা হয় রাজভবনের সামনে৷ আমরা বাঙালীর

দেশপ্রেমিকের প্রতি

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

কিন্তু নেতারা কি তা করতে পারবে বা করতে চাইবে? যদি তারা এমনটি করতে পারে তাহলে খুব ভাল৷  তবে বর্তমানে অধিকাংশ নেতাই মুখে যত বড় লম্বা-চওড়া বুলি বলুক না কেন, আসলে তারা পঁুজিবাদী অথবা জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে পঁুজিবাদেরই দালালি করে চলেছে৷ জনসাধারণ ক্রমশই ঃ তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে৷ যাই হোক, বর্তমান নেতারা শোষণ বিরোধী সংগ্রামে অবতীর্ণ হবে---  এ ধরণের ভরসা আমরা ঠিক করে উঠতে পারছি না৷ তারা এই মজবুত সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে একতাবদ্ধ করবার চেষ্টা করবে না৷

সম্পাদকীয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনয়নে অনৈতিক প্রবণতা

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে কেন্দ্রের শাসক জোট  এনডি এ থেকে রামনাথ কোবিন্দকে মনোনীত  করা হয়েছে৷ কেন? তাঁর কোন্ গুণ দেখে? তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে দু’বার-রাজ্যসভায় বিজেপি’র সাংসদ ছিলেন---এই কারণে কি? তিনি একসময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন---তা-ই কি? এইসব কোনো গুণ দেখে কি? না--- তা মোটেই নয়৷ এটা বিজেপি’র নেতারাই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন৷ রামনাথ কোবিন্দকে এই পদের জন্যে মনোনীত করা হয়েছে, কারণ তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ বলে৷ বাংলায় থাকে বলে ‘নীচু জাতে’র---সিডিউল কাষ্টের মানুষ বলে৷ উদ্দেশ্য কী?

আধ্যাত্মিকতা ছাড়া গতি নেই

একর্ষি

সমাজের প্রেক্ষাপটেই মানুষের  ও তার সমাজের সভ্যতার অগ্রগতি, বিবর্তন ও উদ্বর্তনা, কেননা মানুষ তো  সমাজবদ্ধ জীব৷ সমাজর্োধই যুর্থদ্ধ মানুষকে এগিয়ে চলার পাথেয় যুগিয়েছে৷ সহযোগিতা,একসঙ্গে চলার প্রেরণা, মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক নিঃশর্ত শ্রদ্ধা ভালবাসা, সর্র্বেপরি অহৈতুকী সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষকে মনুষ্যেতর  প্রাণী থেকে পৃথক করেছে, মানুষকে উন্নত থেকে উন্নতর সোপানে আরোহণে সাহায্য করেছে৷ নব নব আবিষ্কারের উদ্ভাবনের অলক্ষ্য সঞ্চালক শক্তি যেমন ব্যষ্টিমনের আনন্দের রসায়ন, তেমনি সমাজবোধ বা সামাজিক দায়বদ্ধতা৷ ওই বোধ-অনুভূতিগুলোর সন্তুলিত সামবায়িক নামই তো মনুষ্যত্ব বোধ৷ আর এর উন্মেষ, পুষ্টি ও বিস্তারে

পশ্চিম রাঢ়ের রাজনৈতিক–সামাজিক প্রেক্ষাপট

সমীর সিংহ

(৫) বিহারের জাতীয় কংগ্রেসের নীতিই ছিল বাঙালী বিদ্বেষ৷ কংগ্রেসের নেতা রাজেন্দ্র প্রসাদের সভাপতিত্বে ‘‘বিহার কমিটি’’ তৈরী হয়েছিল৷ রাঢ়ের বাঙলা সুক্লগুলি ধ্বংস করাই ছিল এই কমিটির যেন প্রধান কাজ৷ ভদ্রলোকের মুখোশধারী শয়তানদের বাঙলার দাবীকে নস্যাৎ করার চক্রান্তও এ প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে বলা প্রয়োজন৷