February 2019

তিপ্রাল্যাণ্ড কী সত্যিই বাঞ্ছনীয়?

হরিগোপাল দেবনাথ

আমাদের প্রিয় বাসভূমি ত্রিপুরা এর সাবেকি নাম ছিল পার্বত্য ত্রিপুরা বা হিল ত্রিপুরা আর এই নামের ইংরেজি বানান পূর্বে ছিল (Tipperah) রাজন্য আমলের নির্দেশন স্বরূপ একে রাজগী ত্রিপুরা বলে অভিহিত করা হয়৷ বর্তমানে এই ত্রিপুরার মোট আয়তন হচ্ছে, ১০,৪৯১,৬৯ বর্গকিমি৷ তাও আবার দুটি ভাগে বিভক্ত ঃ--- (ক) এডিসিভুক্ত এরিয়ার আয়তন ৭,১৩২.৫৬ বর্গ কিমি ও (খ)  এডিসি এলাকার বাইরের আয়তন ৩,৩৫৯.১৩ বর্গকিমি৷ প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হচ্ছে যে আয়তনের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে ভারতের যেকোনো রাজ্যের কোন জেলা থেকেও  রাজ্যটির আয়তন কম হবে আর লোকসংখ্যাও কমই হবার কথা৷ সবচেয়ে বড় কথাটা কি ?

আমরা বাঙালী কর্তৃক নেতাজীর ১২৩-তম জন্মদিন পালন

২৩শে জানুয়ারী নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৩তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ‘আমরা বাঙালী’ কার্র্যলয় থেকে নেতাজীর প্রতিকৃতি সহ একটি সুসজ্জিত গাড়ী সহ ‘আমরা বাঙালীর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়৷ প্রথমে তাঁরা সকাল ৮-৩০ মিনিটে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজী মূর্ত্তিতে মাল্যদান করে নেতাজীর অতুলনীয় বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন৷ এরপর তাঁরা ৯টাতে ময়দানে নেতাজীর মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন৷

পরলোকে বিশিষ্ট প্রাউট-তাত্ত্বিক  দেবব্রত দত্ত

গত ২৫শে জানুয়ারি  ত্রিপুরার প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও প্রাউট তাত্ত্বিক শ্রদ্ধেয় শ্রী দেবব্রত দত্ত  পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর৷  তাঁর প্রয়াণে ত্রিপুরার সমস্ত আনন্দমার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ তাঁর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দমার্গী তথা প্রাউটিষ্টরা তাঁর বাসভবনে উপস্থিত হয়ে ‘দেবু’-দার মরদেহে মাল্যদান করে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন৷

পরলোকে দেবব্রত দত্তের ধর্মপত্নী বকুল দত্ত

সদ্য প্রয়াত দেবব্রত দত্তের প্রয়াণের তিন দিনের মাথায় গত ২৯শে জানুয়ারী তাঁর ধর্মপত্নী শ্রীমতী বকুল দত্তও (৮০) পরলোকে পাড়ি দিলেন৷ অনেকে তাঁদের এই পাশাপাশি মহাপ্রস্থানকে একের প্রতি অন্যের গভীর ও অকৃত্রিম  ভালবাসার প্রতিফলন বলেই মনে করছেন৷

দেবব্রত দত্ত স্মরণে

আগরতলা ঃ ২৫ জানুয়ারী রাজ্যের সাহিত্য তথা সংসৃকতি প্রতিবাদী লেখকের জগতে ইন্দ্রপতন৷ চলে গেলেন ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বরিষ্ঠ লেখক, সাহিত্যিক, স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা প্রাউটিষ্ট দেবব্রত গুপ্ত৷ তাঁর ক্ষুরধার লেখনী রাজ্যের পাঠকদের অনুপ্রাণিত করেছে৷ জীবন সায়াহ্ণে তার লেখনী ও চিন্তাধারা প্রাউট প্রচারকে ত্বরান্বিত করেছে৷ আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সবদিকে ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে তার পাঠক ও অনুগামীদের মধ্যে৷ রাজ্য হারালো এক তেজদীপ্ত ব্যষ্টিকে৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর৷ ১৯২৭ সালে বাঙলাদেশের কালীগুচ্ছ গ্রামে তাঁর জন্ম৷ ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়েন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়ি

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উদ্যাপন

কলকাতা ঃ গত ১২ই জানুয়ারী দক্ষিণ কলকাতার  বঙ্গ ভবনে  ‘আমরা বাঙালী’র সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘স্পান্দনিক’-এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে  স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনটি যুবদিবস হিসেবে পালন করা হয়৷ বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন  ‘আমরা বাঙালী’র কর্মী সমর্থক  ও স্পান্দনিক শিল্পী গোষ্ঠীর কলাকুশলীরা৷ 

বাঙালী বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস

গত ১৬ই জানুয়ারি  হাওড়া জেলার উলুবেরিয়ায় মহাসমারোহে বাঙালী বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা  হয়৷ এখানে উল্লেখ্য ১৯৮৯ সালে ১৬ই জানুয়ারি উলুবেরিয়ায় বি.টি. কলেজে মার্গ  গুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণ করেছিলেন ও সেখানে বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন৷  এই উপলক্ষ্যে প্রতি বছর ওইদিনটিতে বাঙালী বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে পালন করা হয়৷ অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় শ্রী নরহরি কর্ত্তৃক পতাকা উত্তোলন করে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়৷ 

মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালন

গত ১৬ই জানুয়ারী হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় মহাসমারোহে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালিত হয়৷ এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের ১৬ই জানুয়ারী উলুবেড়িয়া বিটি কলেজে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণ করেছিলেন ও ধর্ম মহাসম্মেলন করেছিলেন৷ এই উপলক্ষ্যে এবছরও যথারীতি হাওড়া জেলার আনন্দমার্গীরা পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটিকে পালন করেন৷ অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় শ্রী নরহরি মণ্ডল কর্তৃক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে৷ তৎপরে অখণ্ড কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায়ে জেলার ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা উলুবেড়িয়ায় মার্গগুরুদেব যে প্রবচন দিয়েছিলেন সেটি পাঠ করে শোণান৷ তারপর বকুল রায় মার্গগুরুদেবের আগমণে

‘বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস’

এবার কেন্দ্রীয় বাজেটের  পরে নূতন ট্রেন চলবে৷ এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ও এটি হবে দেশের দ্রুততম ট্রেন৷ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এই খবর দিয়ে  জানিয়েছেন, এটির  নাম হবে ‘বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস’৷ এটি এখন দিল্লি ও বারাণসীর মধ্যে চলবে৷ ৭৫৫ কি.মি পথ পেরোতে সময় লাগবে ৮ঘন্টা৷ শতাব্দি এক্সপ্রেসের এগজিউটিব্ ও চেয়ারকারের চেয়ে এর ভাড়া বেশি হবে৷

আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি ও ভারতের ভবিষ্যৎ?

অমৃতাবোধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি খবরে প্রকাশ ২০১৯-এ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা জোটের দলনেতা তথা প্রধানমন্ত্রী প্রোজেক্ট না  করেই প্রথমে মোদী পরিচালিত বিজেপিকে গদিচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপাবেন৷ এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই সাধুবাদ  যোগ্য-কারন দেশের স্বার্থে সবাই প্রধানমন্ত্রী পদের লোভ সংবরণ করেছেন৷ কিন্তু  প্রশ্ণ হল পরস্পর  আদর্শগত বিরোধিতা ভুলে কোন ঘটনামূলক যৌথ কর্মসূচী ছাড়া শুধুমাত্রমোদী হটানোর সেন্টিমেন্টে কয়েক ডজন দল আপাতত এককাট্টা হলেও তাদের সুশাসন ও ভবিষ্যতের  স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ণ থেকেই যাবে৷ তাছাড়া মোদী  যদি হটে যান, তাহলে মোদি হটানো জনিত সেন্টিমেন্টের ও তাৎক্ষণিক অবলুপ্তি ঘটবে৷ আর সেই সেন্টিমেন্টের উপর  গড়ে