May 2019

বাঙলাদেশে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

মুকুন্দপুর (বাঙলাদেশ) ঃ গত ১৯, ২০ ও ২১শে এপ্রিল বাঙলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত মুকুন্দপুরে বাঙলাদেশের আনন্দমার্গ শাখার বার্ষিক ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে প্রায় দুই সহস্রাধিক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন৷ বাঙলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আনন্দমার্গীরা যোগদান করেন৷ স্থানীয় সি.ডি.এ ট্রেনিং সেণ্টারে অনুষ্ঠিত এই ধর্মমহাসম্মেলনে মার্গগুরু-প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য ধ্যানেশানন্দ অবধূত৷ বিভিন্ন ধর্ম সম্মেলনে মার্গগুরুদেবের বিভিন্ন প্রবচন ছাড়াও তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্যদের সাধনার যে সব গোপন সংকেত দিয়েছিলেন ও আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্যে বিভিন্ন সময়ে যে সব মূল্যবান উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন,

যোগীর রাজ্যে অশান্তির বোট

বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে নির্বাচনে  নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর ইতোমধ্যে সারা দেশে ছেয়ে গেছে৷ উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে ২৩১ নং বুথে বিজেপি সমর্থকরা প্রিসাডিং অফিসারকে  বুথের মধ্যে ও পরে বুথের বাইরে এনে বেধড়োক মারধর করে৷ এই ঘটনায় অভিযোগ যে প্রিসাডিং অফিসার নাকি সমাজবাদী  পার্টির হয়ে সাইকেল চিহ্ণে বোট দিতে বলেছে, প্রিসাডিং অফিসার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন৷ সব থেকে মজার কথা হল অন্য কোন রাজনৈতিক দল বা উপস্থিত বোটাররা কারোর থেকেই  বিজেপির সমর্থনে এমন কোন অভিযোগ আসে নি৷

৩০শে এপ্রিল মানবতা বাঁচাও দিবসে কমিউনিষ্ট বর্বরতার প্রতিবাদে  বিজন সেতু চলুন

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল সভ্যতা ও সংসৃকতির পীঠস্থান কলকাতার জনবহুল বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেট৷ এখানেই সাত-সকালে ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল সেদিনের পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল সিপিএমের ঘাতক বাহিনী, পিটিয়ে, খুঁচিয়ে, পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে, অ্যাসিড দিয়ে জ্বালিয়ে৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জনসংযোগ সচিব আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত বলেন--- সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের চেয়ে নৃশংস ও নিষ্ঠুর ছিল রাজনৈতিক মৌলবাদী কমিউনিষ্টরা৷ তিনি বলেন---শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় বিশ্বের যে দেশেই কমিউনিষ্টরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে সেখানেই তারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে৷ তবে

মুর্শিদাবাদে নির্বাচনের  বলি---১

লোকসভা বোটের চতুর্থ দফা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে নিহত হলেন এক নিরীহ বোটার৷ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবী, নিহত আবদুল কালাম টিয়ারুল কংগ্রেসের সমর্থক৷ অভিযোগের আঙ্গুল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে৷ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়৷ এদিন বোটের হার ছিল ৭৮.৯৭ শতাংশ৷

ওরা দু’পায়ে  দলে  মরণ শঙ্কারে

মন্ত্র আনন্দ

আবার সেই এপ্রিল ! চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ!!  জালালাবাদের এই যুদ্ধ হয়েছিল ১৮ই এপ্রিল ১৯৩০৷ বছর ঘুরতেই  সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের  ওপর আবার আঘাত৷ ৭ই এপ্রিল ১৯৩১, মেদিনীপুরের অত্যাচারী  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেমস্ পেডি নিহত হয়৷  সাম্রাজ্যবাদী শাসকের  অত্যাচার  যত বাড়ে বাঙলার দামাল ছেলেদের  স্বাধীনতার  বেদীমূলে  জীবন উৎসর্গ করার লাইনটাও তত  দীর্ঘ  হয়৷  আর এপ্রিল-টাই  যেন অকুতোভয়  বিপ্লবীদের বড় পছন্দের মাস ! দুষ্টু ছেলেকে শান্ত করতে  ব্রিটিশ রমনী  গাইতো  ঘুমপাড়ানি গান---‘বেবি, স্লিপ অন, অ্যানাদার  এপ্রিল  ইজ কামিং!’

স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও সার্থক গণতন্ত্র অধরা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহাযুদ্ধ, গণতন্ত্রের উৎসব---কত ভাবে ভূষিত বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশের সাধারণ নির্বাচন৷ স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও সাবালক হয়নি গণতন্ত্র৷ দিল্লীর সিংহাসন কার দখলে যাবে, কোন দলের হাতে যাবে---তার লাগি কাড়াকাড়ি, হানাহানি৷ একটি নির্বাচনে বোট (ভোট) নিয়ে এত কাড়াকাড়ি, হানাহানি কেন?

৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংসৃকতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টের

অখণ্ড কীর্ত্তন

নোড়াদহ ঃ গত ১৫ই এপ্রিল ১লা বৈশাখ  ও নববর্ষের শুভারম্ভ উপলক্ষ্যে নোড়াদহ গ্রামের শ্রীযুক্ত সুভাষ বৈরাগী মহাশয়ের নিজ বাসভবনে সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত ও তারাপদ বিশ্বাস মহাশয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস৷ উক্ত অনুষ্ঠানে কীর্ত্তন পরিচালনায় ছিলেন  শ্রী কুমুদ দাস ও অবধূতিকা আনন্দ সুধাকল্প আচার্যা৷ অনুষ্ঠানটির সাফল্যমণ্ডিত করার জন্যে শ্রীমতী তনিমা বৈরাগী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও নববর্ষে শুভেচ্ছা জানান৷