July 2019

আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে যোগের ওপর আলোচনা সভা

শিলচর ঃ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে গত ২১শে জুন শিলচরের (অসম), নরসিংহ হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুলের তরফ থেকে শিলচর আনন্দমার্গ হাইস্কুলের প্রিন্সিপ্যাল অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধতী আচার্যাকে তাঁদের স্কুলের যোগের ওপর আলোচনা করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধতী আচার্যা তাঁদের আমন্ত্রণ রক্ষা করে ওই স্কুলে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে যোগের ওপর বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন৷ তিনি প্রথমে ‘যোগ’-এর প্রকৃত অর্থ ব্যাখ্যা করেন৷ অতঃপর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রচারিত অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার উপকারিতা বুঝিয়ে বলেন৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রা মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন এই যোগ ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন৷

যোগ এক দিবসের জন্যে নয়, সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

(দ্বিতীয় পর্ব)

‘যোগ’ হচ্ছে কী? না---জীবন গড়ার সাধনা, আত্মবিকাশের সাধনা৷ ‘একটা কলি অর্থাৎ কুঁড়ি থেকে ফুলের বিকাশ ঘটে, ওই কুঁড়ির মধ্যে যে রূপ, বর্ণ, গন্ধের সম্ভাবনা রয়েছে তা পরিস্ফুট হয়৷ একটা ছোট্ট বটবৃক্ষের বীজের মধ্যে একটা বিশাল বটবৃক্ষের সম্ভাবনা থাকে৷ তেমনি মানুষের মধ্যে অনন্ত শক্তি ও গুণের সম্ভাবনা রয়েছে৷ যথাযথ পরিচর্যার দ্বারা এই শক্তি ও গুণগুলির প্রকাশ ঘটাতে হয়৷

বিধায়কের ঔদ্ধত্য

রাজনৈতিক ক্ষমতা কিভাবে মানুষকে অহঙ্কারী করে তুলেছে তার প্রকৃষ্ট নিদর্শন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র ছেলে ইন্দোরের বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয়৷ গত ২৬শে জুন আকাশ ইন্দোরে পুরসভার আধিকারিককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বেধরক পেটালেন৷ ওই পুরসভার আধিকারিকের দোষ হ’ল তিনি তাঁর অন্যান্য পুরকর্মীদের নিয়ে আইন মোতাবেক গঞ্জি এলাকায় এক অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গতে অভিযান চালিয়েছিলেন৷ আকাশ তখন তাঁর দলবল নিয়ে পুরকর্মীদের বাধা দেন৷ তাঁরা বাধা না শুনলে আধিকারিকের সঙ্গে আকাশের বচসা হয়৷ তারপরেই আকাশ হাতে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে ওই আধিকারিককে পেটাতে থাকেন৷ পুলিশ এসে বাধা দিলে আকাশ ও

কৃত্তিকাকাণ্ড,  ইন্টারনেট ও যোগ

গত ২১ জুন দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত জিভি বিড়লা  স্কুলের শৌচালয় থেকে দশম শ্রেণীর কৃতী ছাত্রী কৃত্তিকা পালের রক্তাক্ত অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ জানা যায়,সে পলিথিন  মুখে বেঁধে হাতের শিরা কেটে  আত্মহত্যা করেছে৷

ওই ক্লাসের টপার  কৃত্তিকা  ইণ্ডিয়ান ষ্ট্যাটিষ্টিক্যাল ইন্সটিটিউট-এ ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷

পরলোকে ডাক্তার অনিল কুমার দেব ঃ আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

বণগাঁ ঃ উত্তর ২৪ পরগণার বণগাঁ-গোপালনগরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ডাক্তার অনিল কুমার দেব (৯৫) গত ২রা জুন পরলোক গমন করেন৷ গত ১২ই জুন আনন্দমার্গীয় সমাজশাস্ত্রের বিধি অনুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ এছাড়া আনন্দমার্গের ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য বিশ্বগানন্দ অবধূত, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, আচার্য প্রসূণানন্দ অবধূত ও আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত সহ বহু সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও আনন্দমার্গী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

কেরল রাজ্যের ত্রিচূরে আনন্দমার্গের  বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ১৬ই জুন কেরল রাজ্যের ত্রিচূর নিবাসী পি.কে বাবু ও শ্রীমতী স্বপ্ণা বাবুর একমাত্র কন্যা কল্যাণীয়া পূর্ণিমার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ব্যাণ্ডেল নিবাসী শ্রীবিধুভূষণ দেবনাথ ও শ্রীমতী তপতী দেবনাথের দ্বিতীয় পুত্র কল্যাণীয় আনন্দভূষণের সঙ্গে শুভবিবাহ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত নবসমাজ শাস্ত্র অনুসারে অনুষ্ঠিত হয৷ ভক্তিমূলক প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন, সমবেত ধ্যান ও গুরুপূজার পবিত্র ধর্মীয় পরিবেশে সুসজ্জিত মণ্ডপে অনুষ্ঠিত এই শুভবিবাহে পাত্রপক্ষে পৌরোহিত্য করেন প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য মোহনানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে পৌরোহিত্য করেন প্রবীণা সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য

৩৫০ জন আই এস  জঙ্গী গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংঘটন ইসলামিক ষ্টেট (আই.এস) এখন ভারত, বাঙলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় ঘাঁটি গাড়ার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে৷ সরকার আই.এস.-এর ১৫৫ জন জঙ্গীকে গত কয়েক বছরে গ্রেফতার করেছে৷

‘দধি’ মাইক্রোবাইটামে ভরপুর, মানবদেহালয়ের প্রকৃতিদত্ত ঝাড়ুদার

যোগাচার্য

পৃথিবীর নানা ক্ষুদ্র বৃহৎ মানব সমাজে যত ধরণের খাদ্য ও পানীয় বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাতে মানুষ নামক জাতিটিকে প্রায় সর্বভুক আখ্যা দেওয়া যায়৷ কিন্তু এত অজস্র রকমের প্রাচুর্যে গড়া মানুষের খাদ্য ভাণ্ডারের মধ্যে এত ধরণের বৈচিত্র্য, এত রকমের প্রোটিন–ভিটামিন–সল্,  মিনারেলস শ্রেণীর খাদ্য ও পানীয় থাকা সত্ত্বেও একটি মাত্র খাদ্য বস্তুকে শ্রদ্ধেয় শ্রী পি. আর.

কল্পনা ও সত্য

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

কত অণুু-পরমাণু জড়-সংঘর্ষে

জাগে প্রাণ, জাগে গান নব নব হর্ষে!

কত তরু, কত মরু, পাহাড় সমুদ্র

কখনও শান্ত তারা কখনও বা রুদ্র৷

মাথার ওপরে দেখো, আকাশের চাঁদোয়া,

সকালের রোদ্দুরে পাখীদের গা-ধোওয়া৷

বনে বনে ফোটে ফুল, কত রঙ কত শোভা

খঁুজে খুঁজে দলে দলে আসে অলি মধু-লোভা৷

মেঘে মেঘে কত রূপ, কত রঙ ঝলসায়

বনে বনে শুনি গান, পাখীদের জলসায়৷

রঙে রসে অপরূপ, অরূপের সৃষ্টি

কতটুকু দেখি তার, কতটুকু দৃষ্টি৷

সৃষ্টির পশ্চাতে স্রষ্টা যে রহস্য---

সবই তাঁর কল্পনা, সত্যিও অবশ্য৷