September 2019

হাবড়া ষ্টেশনে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

রেলের সমস্ত কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবীতে ও স্থানীয় বেকার যুবকদের চাকুরীতে অগ্রাধিকারের দাবীতে হাবড়া ষ্টেশনে ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ ষ্টেশনের বাইরে তারা পথসভাও করেন৷ তাদের মূল দাবী ছিল ষ্টেশনের সাইনবোর্ড ও রেলের টিকিটে ও অন্যান্য সব কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে ও স্থানীয় বেকার যুবকদের রেলের চাকুরীতে নিয়োগ করতে হবে৷

আদ্রা ষ্টেশনে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

২৭শে ‘আগষ্ট আমরা বাঙালী’ পুরুলিয়া জেলা কমিটি দক্ষিণ পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতা থেকে রাঁচীতে স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদে আদ্রা রেলষ্টেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ও ষ্টেশন ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায়, জেলা সচিব লক্ষ্মীকান্ত মাহাত ও বিভূতি দত্ত প্রমুখ৷ ষ্টেশনের সন্নিকটে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন  কেন্দ্রীয় সহসচিব অঙ্গদ মাহাত, পশুপতি মাহাত, রতন মাহাত, গদাধর গরাঞ প্রমুখ৷

পোস্ত চাষের দাবীতে আমরা বাঙালীর স্মারকলিপি প্রদান

২রা সেপ্ঢেম্বর ঃ পোস্ত চাষের আইনী বৈধনা চেয়ে আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে কলকাতায় সল্টলেকে অবস্থিত কেন্দ্রীয় নারকোটিক ব্যুরোর জোনাল ডাইরেক্টরের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ, এস.পি.সিং, সুশীল জানা, তপোময় বিশ্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন৷

মহাবিজ্ঞানী প্রভাতরঞ্জন সরকারের আবিষৃকত ‘মাইক্রোবাইটাম  ও মাইক্রোবাইটাম সাধনা

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

বিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- চিত্তানু (ectoplasm) ও বিদ্যুতানুর (electron) মাঝামাঝি অবস্থানে  এক অতিসূক্ষ্ম সত্তা আছে৷ আবিষ্কারক এই সত্তার নাম দিয়েছেন ‘মাইক্রোবাইটাম’৷ অর্থাৎ ভাব (Abstract) জড়ের (matter) মধ্যবর্তীস্থানে  মাইক্রোবাইটাম অবস্থান করছে৷ এদের প্রাণীন ও ভাবসত্তার মত অস্তিত্ব রক্ষা, মৃত্যু ও সংখ্যা বৃদ্ধি হয়৷ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ এরাই গ্রহ, উপগ্রহে ও বিভিন্ন  নক্ষত্রে প্রাণীনতার আদি বাহক৷ এরাই বিভিন্ন জ্যোতিষ্কে অজস্র দেহ-সংরচনা ও মানস-সংরচনা করে চলেছে৷ দেহ ও মনের মধ্যে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব  ওতোপ্রোতভাবে জড়িত৷ দেহ ও মনের মধ্যে  পজেটিভ মাইক্রোবাই

জোট শরিকের ত্রিপুরা  ভাঙার ষড়যন্ত্র

আকাশ দেবনাথ

 ত্রিপুরা ঃ ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকারের শরিফ আই.পি.এফটি নেতারা ত্রিপ্রাল্যাণ্ডের দাবীতে অনড়৷  গত ২৮ শে আগষ্ট বিজেপি শাষিত জোট সরকারের শরিফ দল  আই.পি.এফ.টির নেতারা দিল্লী গিয়ে  ত্রিপ্রাল্যাণ্ডের দাবী জানিয়ে আসলেন৷ ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী মঙ্গল দেববর্র্ম, আই পি এফটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জামাতিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী অর্জুন সিং মুণ্ডার সঙ্গে দেখা করে পাঁচ দফা দাবী সম্বলিত একটি দাবী সনদ পেশ করেন৷ ত্রিপ্র্যাল্যাণ্ড ঘটনের আন্দোলন উপজাতিদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন৷ অবিলম্বে এই দাবী পূরণের  জন্যে তাঁরা অর্জুন সিং মুণ্ডার কাছে আবেদন করেন৷

পলিটিক্যাল স্টেট নয়–সামাজিক অর্থনৈতিক  অঞ্চলই সমাধানের পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাষ্ট্র শব্দটির সঙ্গে ভারতবর্ষের পরিচয় খুব বেশীদিনের নয়৷ বিদেশী বণিকের নানা আদব–কায়দার সঙ্গে রাষ্ট্র শব্দটি ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ করে৷ ভারতীয় সভ্যতার মূলে ছিল সমাজ৷ ভারতবর্ষে অসংখ্য ছোট ছোট রাজ্য ছিল, তথাপি রাজার আইন অপেক্ষা সামাজিক বিধিনিষেধকে মানুষ অনেক ক্ষেশী মর্যাদা ও মান্যতা দিত৷ রাজার আইন মানুষ ভয়ে মানতো৷ কিন্তু সামাজিক বিধিকে মানুষ ঈশ্বরের বিধান বলেই বিশ্বাস করতো৷ যদিও ওই সব সামাজিক বিধিনিষেধের মধ্যে অনেক ভাবজড়তা ও কুসংস্কার ছিল৷ তথাপি ভারতীয় সমাজে ঐক্যের যে বাঁধন ছিল তা ওই সব সামাজিক বিধি–নিষেধের ডোরেই  বাঁধা ছিল৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ভাবাবেগই ভারতবর্ষকে একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর

বিশ্বের কনিষ্ঠতম হেডমাষ্টার

ছেলেটির নাম বাবর আলি৷ বয়স মাত্র ছাবিবস৷ পিতা মহঃ নাসিরুদ্দিন৷ মাতা বানুয়ারা বিবি৷ মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার নিকটবর্তী ভাবতা গ্রামে তাঁর বাড়ি৷

বর্তমান সমাজ যে সমস্ত সামাজিক রোগে আক্রান্ত তার মূল কারণ অবশ্যই শিক্ষার অভাব৷ ন’বছরের বাবর খেলার ছলেই সেই শিক্ষা বিস্তারে মন দিয়েছিলেন৷ বাবর তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র৷ স্কুল থেকে ফেরার পর নিজের বাড়ির পেয়ারা গাছের নীচে আর একটা স্কুল খুলে বসতেন৷ সেখানে নিজের ছোট ছোট ভাইবোন ও প্রতিবেশী গরীব ঘরের ছেলেমেয়েদের পড়াতেন তিনি স্কুলে প্রতিদিন যা পড়ে আসতেন৷

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণে সারা বিশ্ব আজ সংকটে, নব্যমানবতাবাদই মানবসমাজ ও  সৃষ্টিকে বাঁচাতে পারে

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্থাৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

অসমে বন্যায় আনন্দমার্গের ত্রাণ

সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসমের বরপেটা জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টীমের পক্ষ থেকে  বন্যা দুর্গতদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য ও বস্ত্রাদি বিলি করা হয়৷ বরপেটা জেলার ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি নিয়ে আনন্দমার্গের রিলিফ টীম বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করেন বলে রিলিফ কো-অর্ডিনেটর প্রদীপ চউধুরী জানান৷

পাঁশকুড়ায় সেমিনার

২৫শে আগষ্ট আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ পাঁশকুড়া আনন্দমার্গ স্কুলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ উক্ত আলোচনা সভায় মার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা৷ তাঁর আলোচনায় বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজে ও বিপথগামী ছাত্র-যুবকদের যোগ সাধনার অনুশীলন বিশেষ গুরুত্ব পায়৷ তিনি বলেন---বর্তমান সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের পথ দেখাতে পারে আনন্দমার্গই৷