February 2021

১০০ দিনের প্রকল্পে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ

রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যতই সমালোচনা করুক কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রকের হিসেবে ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবাঙলা আবার এক নম্বরে৷ এই নিয়ে পর পর চারবার ১০০ দিনের কাজে প্রথম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া শ্রমদিবসের  লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ কোটি ইতিমধ্যে স্পর্শ করেছে পশ্চিমবঙ্গ৷ যদিও আর্থিক বছর শেষ হবে ৩১শে মার্চ, কিন্তু তার দুমাস আগেই পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে৷ রাজ্যের সাফল্য দেখে কেন্দ্রীয় সরকার আগামী দু’মাসের জন্য আরও ২ কোটি শ্রমদিবস মঞ্জুর করেছে৷  ১০০ দিনের কাজের সাফল্যে পশ্চিমবঙ্গের ধারে কাছে নেই অন্য কোনো রাজ্য৷

অর্থনৈতিক বৈষম্যের করুণ চিত্র - অর্থনীতির কেন্দ্রীকরণ, পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থার পরিণাম

লকডাউনের সময় যখন দেশের সাধারণ মানুষের জীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে, কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছে, সেই সময় দেশের ধনকুবেররা ফুলে ফেঁপে উঠেছে৷ অর্থনীতির মানচিত্রে যখন জিডিপির মান শূন্যের নীচে, তখন দেশের ধনকুবেরদের  ভান্ডার উপচে পড়েছে৷

দেশ নায়কের ১২৫তম জন্মদিবসে -  জেলায় জেলায়  দেশপ্রেম দিবস পালন

দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৫ তম জন্মদিবস নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটি                  ২৩ শে জানুয়ারী দেশ প্রেম দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল৷ সেইমত ওই দিন জেলায় জেলায় আমরা কর্মী ও সমর্থকরা বিপুল উৎসাহ  উদ্দীপনার  সঙ্গে দিনটি পালন করে ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আপোষহীন নেতা অপরাজেয় ঋত্বিক দেশনায়কের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন৷

খুনে শিব

নিজের দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার বাসিন্দা পদ্মজা ও তাঁর স্বামীকে৷ গত ২৬শে জানুয়ারী দুই কন্যা হত্যার অপরাধে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে যায় ওই দম্পতিকে৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোতেই পদ্মজা অসংলগ্ণ কথাবার্র্ত বলতে শুরু করে৷ তিনি নিজেকে ভগবান শিব বলে দাবী করেন৷ গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার করোনা পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলে তিনি বলেন---আমার করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই৷ ভগবানের করোনা হয় না৷ আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই দেশ থেকে করোনা চলে যাবে৷ সন্তান খুনের পর ওই দম্পতি মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে বলে পুলিশ মনে করেন৷ আপাতত বিচারকের নির্দেশে অভিযুক্ত দম্পতি ১৪দিনের জন্য জেল

নেতাজীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে হবে

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আসে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?

জীবনের মূল মন্ত্র

জীবনের গতি সর্বদা পরম লক্ষ্যের দিকে কিন্তু জড় প্রকৃতি তাকে সবসময় নিজের দিকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকে৷ নিজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষের শক্তি যখন আর কিছুই করতে পারে না, সেই সময়ের যে অবস্থা তাকে বলে মৃত্যু৷ এমনিতে শরীর থেকে প্রাণশক্তি যখন বেরিয়ে যায়, সেই সময়ের যে পরিস্থিতি তাকে মৃত্যু বলা হয়---এটা স্বাভাবিক তথা গৌণ মৃত্যু৷ কিন্তু মানুষের আবার অকাল মৃত্যুও হয়৷ আসলে প্রকৃতির এই আসুরী শক্তির সঙ্গে সংগ্রাম করে নিজেকে চরম লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রয়াস তাকেই জীবন বলে৷ তমোগুণী বৃত্তিগুলো সমাজের সর্বত্র ব্যাপ্ত থেকে মানুসের চরম লক্ষ্যপ্রাপ্তির পথে বাধা সৃষ্টি করছে৷ যে এই আসুরী বৃত্ত

স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক কর্মসংস্থান 

প্রথমেই কোন এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ সমস্ত মানুষের ন্যূনতম চাহিদা, অর্থাৎ অন্ততপক্ষে উপযুক্ত খাদ্য, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হওয়া উচিত৷ জনগণের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাদের এই মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে–দান–খয়রাতির মাধ্যমে নয়৷ আজকের দুনিয়ায় বেকারত্ব এক জটিল সমস্যা আর স্থানীয় মানুষের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের নীতিই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ৷ স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রাউট স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী৷ স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা

ভারতের সংবিধান ঃ নীতিও প্রয়োগের বিরোধ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত ব্রিটিশের  কবল থেকে মুক্ত হয়৷ এরপর ভারতের রাষ্ট্রনীতি কী হবে, কীভাবে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থা চলবে তা নির্ধারণের জন্যে ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে এক কমিটি তৈরী করা হয়, তার ওপর ভারতের সংবিধান  লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ সংবিধান হল সেই নির্দেশক পুস্তক যাতে রাষ্টের আচরণ বিধি, আইন ও আদর্শ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ যথারীতি ওই কমিটি তাদের লিখিত সংবিধান তৈরী করে ও ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়৷

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজীর প্রকৃত মূল্যায়ন হওয়া উচিত

এইচ.এন. মাহাত

শুরু হতে চলেছে বঙ্গের ভোট রঙ্গ৷ সকল রাজনৈতিক দল ও নেতারা বিভিন্নভাবে বাঙালীর মন জয় করতে বাঙালী প্রীতি ও ভালোবাসার পসরা নিয়ে মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছে৷ ভোটকে কেন্দ্র করে প্রমাণ করতে চাইছে, কে কতটা সাচ্চা বাঙালীর বাচ্চা তার বিচার  আগামীতে বাঙালীদেরকেই করতে হবে৷ ভারতের স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর বাঙালী বিদ্বেষী বিজেপি দলটির মনে হলো বাঙালী ভোটারদের মন জয় করতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সহ বাঙলার মনিষীদের তোয়াজ করা দরকার৷ নচেৎ বাঙালী ভোট ব্যাঙ্ক আমাদের বিপক্ষে যেতে পারে৷ বিজেপির ড্যামেজ কন্ট্রোল টিপস দেওয়া মাত্রই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে চুনোপুঁটি নেতারা পর্যন্ত মাঠে ময়দানে নেতাজীর স্তুতি গাইতে শুরু করে দ

মোদি জমানায় ভারতে মহামন্দা কেন?

হরিগোপাল দেবনাথ

‘হম্‌ বাঢ়ে দেশ বাঢ়ে’ শ্লোগানের উদ্ভাবক আর  অতীতের ‘গরীবী হটাও’-র ঘোষক ইন্দিরা- জমানার পর পরই ‘শাইনিং ইন্ডিয়া, রাইজিং ইন্ডিয়া, ভারত সমৃদ্ধির পথে, ইত্যাদির যুগ পেরিয়ে এসে---ধনী ভারতবাসী, ধনীতম ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী দুঃস্থ ভারতবাসী, নিঃস্ব ভারতবাসী, বুর্র্জেয়া-পেটি বুর্র্জেয়া ভারতবাসী, সর্বহারা তথা প্রলে তারিয়েত ভারতবাসী, শোষক ভারতবাসী শোষিত আর বঞ্চিত লাঞ্ছিত বুভুক্ষু ভারতবাসী, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মুর্খ ভারতবাসী তথাকথিত উচুঁ-বর্র্ণভিমানী ভারতবাসী আর দলিত ভারতবাসী, বুদ্ধিমান বিচারশীল ভারতবাসী ও ব্রাত্য অপাংক্তেয় ভারতবাসী, তথাকথিত ধার্মিক প্রবর ভারতবাসী আর নাস্তিক ভারতবাসী--- এক কথায় ভারতবাসী