February 2021

মেদিনীপুর শহরে পদার্পণ দিবস

মেদিনীপুর ঃ ১৯৮১ সালের ২৫শে জানুয়ারি মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ ঘটেছিল মেদিনীপুর শহরের কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ জাগৃতিতে৷ ঐ শুভ দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মেদিনীপুর শহর ইউনিটের  মার্গীদের পক্ষ থেকে এক স্মৃতি ফলকের উন্মোচন করা হয়৷ স্মৃতি ফলকটির শুভ উদ্বোধন করেন আনন্দমার্গের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য রবীশানন্দ অবধূত ও প্রবীন মার্গী শ্রী রমেন্দ্রনাথ মাইতি৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকে জাগৃতি প্রাঙ্গণে তিনঘন্টা ‘‘বাবা নাম কেবলম্‌’’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে ঈশ্বর প্রণিধান করা হয়৷ ঐদিনে মার্গগুর

মার্গীয়  বিধিতে  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

মেদিনীপুর শহরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী কমলা মণ্ডল গত ৯ই জানুয়ারী পার্থিব দেবত্যাগ করে পরমপিতার কোলে আশ্রয় নেয়৷ ১৭ই জানুয়ারী বৈশাখীপল্লীতে তাঁর বাসভবনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ১ঘন্টা ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর মার্গীয়বিধি মতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা  করেন ডায়োসিস সচিব আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধূত৷ একনিষ্ঠমার্গী ভক্তিমতী কমলাদির স্মৃতি চারণা করেন মার্গী ভাই বোন ও আত্মীয় পরিজন৷ কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নি৷ তাঁর পাঠান লিখিত শোকবার্র্ত পাঠ করে শোনান হয়৷

মেদিনীপুরে সেমিনার

গত ২২, ২৩,২৪ জানুয়ারী মেদিনীপুর শহরে  কেরানীটোলায় আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিবসীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ তিনদিবসীয় আলোচনা সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা হয়৷ আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল ‘আধ্যাত্মিক অনুশীলনই সূচ্যগ্রস্তরে পৌঁছানোর পথ’, ‘স্বগত অভিভাবন ও পরগত অভিভাবন’, ‘সামাজিক মনস্তত্ব’ ও ‘অর্থনীতির চারটি ধারা’৷ আলোচনা সভায় প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷

শিলিগুড়িতে এ্যামার্টের ত্রাণ

গত ২২ ও ২৪শে জানুয়ারী শিলিগুড়ি শহরে  আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিম ও টিমের মহিলাশাখার উদ্যোগে শিলিগুড়ি শহরে দুঃস্থ মানুষদের হাতে কম্বল ও খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়া হয়৷ শিলিগুড়ি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনদের সহযোগিতায় গত লক্‌ডাউনের শুরু থেকে এ্যামার্টের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি শহরে ত্রাণকার্য চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

আগরতলাঃ কুমারঘাট নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী নন্দন পালের পুত্র সঞ্জীব পালের কন্যার নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী গত ২৪শে জানুয়ারী৷ এই উপলক্ষ্যে নন্দন পালের গৃহে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনঘন্টা কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কুলাই আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ চিরস্মিতা আচার্যা ও অন্বেষা পাল৷

দেশ পুজ্য নেতাজী

প্রভাত খাঁ

কীর্ত্তি যাঁর রহে এ ধরায়

স্বরনের বালুকা বেলায়

তিনিই অমর হন৷

 

স্বাধীনতা, মানবতা তরে

যিনি যান সংগ্রাম করে

দেশ নেতা হয়ে তিনি রন৷

 

স্বার্থক নেতাই হন দেশের নেতাজী

একসূত্রে বাঁধি সবে রচি’মহাজাতি

মুক্তির আশ্বাস দানি করি মহারন৷

 

ব্যষ্টি স্বার্থ যশ খ্যাতি ধন

পায়েতে দলিয়া যিনি যান

তিনিই বরনীয় স্মরনীয় দেশ পূজ্য হন৷

 

বিশ্বকবি ‘‘নেতাজী’’ নামেতে যাঁরে করেন বরণ

তাঁরেই পরমপিতা বজ্র কৌস্তভ কন,

জ্বলন্ত ধূমকেতু উল্কার অনলশিখা হয়ে ইতিহাসে রন৷

 

রঙিন মন

শর্মিলা রীত

শীতের আমেজ শেষের বেলায়৷

ফাগুন মাতল রঙের খেলায়৷৷

ফুলের গন্ধ বিকশিত৷

শুভ্র পলাশ প্রস্ফূটিত৷৷

 

রামধনু ওই রঙের শোভা৷

কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভা৷৷

আবির খেলায় মাতল মন৷

বাউল গান আর শান্তিনিকেতন৷৷

 

সবটুকু থাক হিয়ার মাঝে ৷

নতুন বৃন্ত গাছে গাছে৷৷

সবার মনে লাগুক রঙ৷

বসন্ত এসে গেছে৷৷

দেশনায়কের কৈশোর-ভাবনা

পথিক বর

পনেরো ষোল বছরের এক কিশোর ছাত্র বাঙালী প্রসঙ্গে তার মাকে এক চিঠিতে লিখেছেন---‘‘আমি প্রায় ভাবি বাঙালী কবে মানুষ হইবে, কবে ছার টাকার লোভ ছাড়িয়া উচ্চ বিষয়ে ভাবিতে শিখিবে, কবে সকল বিষয়ে নিজের পায়ের ওপর দাঁড়াইতে শিখিবে--- কবে একত্র শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করিতে শিখিবে--- কবে অন্যান্য জাতির ন্যায় নিজের পায়ের ওপর দাঁড়াইয়া নিজেকে মানুষ বলিয়া পরিচয় দিতে পারিবে, আজকাল বাঙালীদিগের মধ্যে অনেকে পাশ্চাত্য শিক্ষা পাইয়া নাস্তিক ও বিধর্মী হইয়া যায়, দেখিলে বড় কষ্ট হয়৷

স্বভাব যায় না ম’লে

‘খভ্রান্তি’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল চিল (কালো চিল ও শঙ্খচিল দুই–ই)৷ ‘ভ্রম্’ ধাতুর অর্থ ভুল করা নিলে ‘খভ্রান্তি’ শব্দের একটি যোগারূঢ়ার্থ হৰে–যে একই ভুল ৰার ৰার করে চলেছে৷ একই ভুল জেনে বা না জেনে অনেকেই করে থাকে৷ ধরো, কোন একজন অনেকগুলি সংখ্যাকে ওপর থেকে নীচে গুনে চলেছে৷ ৰার ৰার গণনায় ভুল হচ্ছে৷ খোঁজ নিলে দেখা যাৰে একটি জায়গায় ৰার ৰার মনে মনে সে বলে চলেছে ৫৬ ঞ্চ ১২৷ এই ধরনের ভুলকেও ‘খভ্রান্তি’ ৰলা হয়৷ ‘খভ্রান্তি’–র হাত থেকে ৰাঁচবার অন্যতম উপায় হল উল্টো পথে চলা যেমন গণনার ক্ষেত্রে ওপর থেকে নীচে গুনতে গিয়ে ‘খভ্রান্তি’–তে পড়ছ, তো সেই স্থলে এই ‘খভ্রান্তি’–র হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্যে নীচের থেকে ওপ

পথ চলতি ইতিকথা

কুলাল শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে-শিল্পগত বা ভাবগত বা আদর্শগত ব্যাপারে যাঁর বৈদগ্দ্যিক স্বাতন্ত্র রয়েছে ও যিনি তদ্‌ অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলেছেন..............

ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে যে উদগ্র কুলাল  চেতনা এখানকার জনমতকে আলোড়িত, আন্দোলিত ও প্রমথিত করেছিল সেটা ছিল রাজনৈতিক জগতে সুভাষ বোসের কৌলালিক ভূমিকা৷ যাঁরা বিচার-বিমর্শে নিরপেক্ষ হয়ে থাকতে ভালবাসেন তাঁদের আজ জিনিসটা অনুধাবন করার দিন এসেছে৷