বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থরক্ষার তাগিদে আপামর বাঙালীকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা বাংলার মাটি, জল, পরিবেশ, জলবায়ু, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বাঙালী জাতির বৈশিষ্ট্যে এক অভিনব স্বকীয়তা প্রদান করেছে৷ বাঙালী একাধারে অতি ভাবপ্রবণ, সহজ-সরল জীবনে অভ্যস্ত,সহনশীল, অতিথি বৎসল---আবার প্রয়োজনে এই বাঙালীই অস্ত্র হাতে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ভীষণ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতেও সমান দক্ষ৷ বাঙালির ঐতিহ্য আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা, মিলন,মৈত্রী ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্বল৷ ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, স্বদেশপ্রেম, সর্বক্ষেত্রেই বাঙালীর অবদান পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছে৷ এই বাংলাতেই জন্মেছেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ,ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম,আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বোস,মেঘনাদ সাহা,দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, রাসবিহারী বসু, সুভাষচন্দ্র বসু, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীনেশসহ অন্যান্য বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের অগ্রণী পুরোধা মণীষী, মহাপুরুষগণ৷ বাংলাভাষাতেই এশিয়াতে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ বাংলা-ই পৃথিবীর সব ভাষার মধ্যে মধুরতম ভাষা৷ বাংলার ঘরে ঘরে গোলা ভরা ধান, পুকুরে মাছ, শস্যপূর্ণ মাঠ আর ফলে ফুলে সুশোভিত বনানীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পৃথিবীর বহুদেশের মানুষকে আকর্ষণ করেছে ও অতিথিগণকে বাঙালী পরম আদরে আতিথেয়তার নিবিড় বাঁধনে আপন করে নিয়েছে৷ এহেন বাঙলা ও বাঙালীকে ভালোবেসে অনেকে এখানেই রয়ে গেছেন, আবার ঈর্র্ষকাতর হয়ে অনেকে বাঙলা ও বাঙালীর ক্ষতি সাধনেও প্রবৃত্ত হয়েছেন৷

বাঙলা ও বাঙালীর জীবনে সবচেয়ে বড়ো আঘাত আসে ইংরেজদের কাছ থেকে৷ বণিকের মানদণ্ড হাতে  এদেশে প্রবেশ ক’রে তারা বিভিন্ন ছল-চাতুরীর দ্বারা এদেশীয় কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের সহায়তায় ক্রমশঃ শাসনভার করায়ত্ত করে৷ তারা বুঝেছিল,এই বাঙালী জাতি অত্যন্ত বুদ্ধিমান, চতুর, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন, রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনা সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠী৷ সুতরাং এদেরকে কোনভাবেই ঐক্যবদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না৷ সেই কারণেই ব্রিটিশরা তাদের ‘‘ডিভাইড এ্যাণ্ড রুল’’ নীতি প্রয়োগ করে বাঙালী জনগণের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিভাজন সৃষ্টির চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে৷ পরবর্তীকালে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরাও ইংরেজদের এই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে  বাঙলাকে সার্বিকভাবে শোষণ ও বঞ্চনার কশাঘাতে ধবংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে৷ আর সেই ধারা আজও সমানে চলেছে৷ এই উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ প্রশাসকেরা বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে ইংরেজীর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে একশ্রেণীর ‘নব্য ইংরেজী শিক্ষিত বাঙালী’ গোষ্ঠী তৈরী করে সেই মেকী ইংরেজীয়ানার সাহেবী কেতার প্রলোভনে যুব সমাজকে ক্রমে ক্রমে বঙ্গ সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ধবংসের কাজে ব্যবহার করে৷ একইভাবে বর্তমানে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা বিভিন্ন সংবাদ ও বিনোদন মাধ্যম, টেলিবিশন, সামাজিক মাধ্যম গুলিকে (ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদি) ব্যবহার করে বাঙালীর ঘরে হিন্দির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে মগজ ধোলাই করে চলেছে৷ বিভিন্ন ধরণের অসংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান, উত্তেজক যৌনতাপূর্ণ বিজ্ঞাপন ও ছবি তথা নানাবিধ ক্রীড়া ও বিনোদন সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা ইত্যাদিতে যুব সমাজকে আবদ্ধ রেখে সুস্থ চিন্তা ও সংস্কৃতির বিকাশের পথকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে৷ ফলে যুবক যুবতীদের মধ্যে এক চরম অবক্ষয়, হিংসা, যৌনতা  ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ ঘটে চলেছে ও সমাজে তার প্রতিফলন যথেষ্ট প্রকট৷ কোন জাতিকে ধবংস করতে গেলে তার সংস্কৃতি, কৃষ্টি,ঐতিহ্য ও ভাষাকে বিভিন্নভাবে দুর্বল করে দেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়৷ ফলশ্রুতি হিসেবে সেই জাতির আত্মমর্যাদাবোধ ও সংবেদনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়--- ভীতন্মন্যতা ও হীনন্মন্যতা তাদেরকে গ্রাস করে ফেলে৷ বাঙালী ও বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির ওপর নিরন্তর আক্রমণ ও হিন্দি আগ্রাসনের কুফলে একশ্রেণীর বাঙালী আজ নিজেদের অতীত ঐতিহ্যকে ভুলে গিয়ে বর্তমানে ক্ষণিক সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে ধবংসের অন্ধকারময় পঙ্কিল আবর্তে নিমজ্জিত হয়ে চলেছে৷

ইতোমধ্যে আমরা সকলেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা অবগত হয়েছি যে, শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার এন.ডি.এ  কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ঘটনের পর নবনিযুক্ত মানব সম্পদ উন্নয়ণ মন্ত্রীর হাতে কে. কস্তুরীরঙ্গণ কমিটির তৈরি নোতুন শিক্ষা নীতির খসড়া জমা পড়েছে৷ এই শিক্ষা নীতির মুখ্য উদ্দেশ্য হ’ল দেশের সমস্ত রাজ্যের বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দীর পঠন-পাঠন বাধ্যতামূলক করা৷ এর বিরুদ্ধে পশ্চিমবাঙলার অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিশেষ উচ্চ-বাচ্চ না করলেও ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন ধারাবাহিকভাবে রাস্তায় নেবে তীব্র প্রতিবাদ ও  প্রচণ্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছে৷ অবশ্য তামিলনাড়ু ও অন্যান্য দক্ষিণী রাজ্যগুলির জনগণ তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে ও আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কতিপয় বিদ্বৎজনেরাও প্রতিবাদে সরব হন৷ এই সকল প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুটা পিছু হটলেও তাদের ঘোষিত ‘‘হিন্দী আগ্রাসন নীতি’’ আগেও চালিয়ে গেছে, পরেও চালিয়ে যেতে থাকবে৷ আর বাঙলা ও বাঙালীর ওপর হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ, নিপীড়ণ ও বঞ্চনার ইতিহাস সর্বজনবিদিত৷

আমরা এও জানি যে, ১৯০৫ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে  ব্রিটিশ শাসক  লর্ড কার্জন বাঙলাকে ভাঙার চক্রান্ত থেকে পিছু হটলেও পরবর্তীকালে বাঙলাকে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ ১৯৪৭সালের ১৫ই অগাষ্ট রাজনৈতিক স্বাধীনতার নামে পূর্ব-পশ্চিম সীমান্তে ভারতবাসীদেরই রক্তের নদী বইয়ে দিয়ে ভারতবর্ষ দেশটাকেই ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্রে পরিণত করা হ’ল৷ যার ফলশ্রুতিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঙলা ও বাঙালী৷ পঞ্জাবী উদ্বাস্তুদের সুষ্ঠু পুনর্বাসন সম্ভব হলেও কোন অজ্ঞাত কারণে বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়--- তাদের ঠাঁই হয় বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরের অমানবিক পরিবেশে ও সুন্দরবনসহ অন্যান্য অরক্ষিত স্থানে, যার সমাধান আজও হয়নি৷ ৭২ বছরের স্বাধীনতার পরেও তারা দেশভাগের ক্ষত বুকে নিয়ে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে চলেছেন৷ স্বাধীনতার পর ভাষাভিত্তিক রাজ্য ঘটনের সময় বাংলা ভাষাভাষী অধ্যুষিত যে সমস্ত অঞ্চল ইতোপূর্বে বিহার, অসম, ত্রিপুরা,ওড়িশা ও বিভিন্ন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল সেগুলিকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করে অখণ্ড বাংলাভাষী রাজ্য ঘটন করার দাবীও কেন্দ্রীয় সরকারের হিন্দীওয়ালারা নাকচ করে দেয়৷ শুধু তাই নয়, ওইসব অঞ্চলে বসবাসকারী বাঙালীদের জন্যে বাংলা ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হতে হতে শূন্যে পর্যবসিত হয়েছে ও বিভিন্ন জনগণনার সময় তাদের ভাষাকে  বাংলা না লিখে সেই রাজ্যের ভাষা, (অসমিয়া, ওড়িয়া,হিন্দী ইত্যাদি) ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে যে বাঙালীরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল, সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরিয়েছিল,ফাঁসির মঞ্চে কিংবা বন্দুকের গুলিতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল--- হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তে সেই বাঙালী জাতিটাকেই ভূমিহীন, মাতৃভাষাহীন, নাগরিকত্বহীন করে ভাসমান জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার অপচেষ্টা চলেছে৷ অসমে এন.আর.সির নামে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীকে অনাগরিক বা বিদেশীতে পর্যবসিত করার প্রক্রিয়া চলেছে  --- ডি. বোটার  হিসেবে হাজার হাজার বাঙালী নর-নারী-শিশুকে ডিটেনশন ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে৷ এছাড়াও  মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও   আন্দামান থেকেও বাঙালীদের বিদেশী আখ্যা দিয়ে বিতাড়ণের চক্রান্ত চলছে৷ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান শাসকদলের ঘোষণা ছিল যে, তারা সরকার গড়লে পশ্চিমবঙ্গ ও অনান্য রাজ্যেও এন.আর.সি চালু করবে---অর্র্থৎ যার একমাত্র উদ্দেশ্য হ’ল বাঙালী জাতিটাকে পুরোপুরি ধবংস করে দেওয়া৷

এছাড়া গোর্র্খল্যাণ্ড আন্দোলনের নামে আরও একবার পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো করার অপচেষ্টা চলছে৷ নেপাল থেকে জীবন জীবিকার সন্ধানে গোর্খারা দার্জিলিঙের পার্বত্য অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে৷ ব্যাপক গোর্র্খ অনুপ্রবেশের ফলে  তাদের সংখ্যাধিক্য হওয়ায় নিজেরা বিদেশী হয়েও  নিজেদের সেই অঞ্চলের মূল অধিবাসী হিসেবে দাবী করে৷ অথচ সেই অঞ্চলের মূল অধিবাসী লেপচা ও ভুটিয়ারা ক্রমশঃ সংখ্যালঘু হয়ে গোর্র্খদের অত্যাচারের সম্মুখীন হয় আর গোর্র্খরা সেই অঞ্চলকে গোর্র্খল্যাণ্ড হিসেবে ঘোষণার দাবি উত্থাপন করতে থাকে৷ বামফ্রন্টের আমলে ‘‘দার্জিলিং গোর্র্খ হিল কাউন্সিল’’ ও বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে ‘‘গোর্র্খল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন’’ বা জি.টি.এ. তৈরির মূল লক্ষ্যই হলো ক্রমশঃ গোর্র্খল্যাণ্ড রাজ্য ও পরবর্তী ধাপে ‘‘গোর্র্খল্যাণ্ড’’ রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলে কশ্মীরের মত একটি অতি সংবেদনশীল অঞ্চল ঘটন করা, যার চারপাশে রয়েছে চীন, পাকিস্তান ও অন্যান্য বিদেশী রাষ্ট্রগুলি৷ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী উপজাতিরা বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করেন৷  গোর্র্খরা প্রথমতঃ বিদেশী ও সর্র্বেপরি ভারতীয় উপজাতিভুক্ত না হওয়ার কারণে তাদের জন্যে পৃথক জিটিএ চুক্তি সংবিধান বিরোধী৷ সেই কারণে বামফ্রন্ট্রের আমল থেকেই ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন বিদেশী গোর্র্খদের অসৎ উদ্দেশ্য অনুধাবন করে এইসব চুক্তির প্রতিবাদে সরব থেকেছে৷

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থবিরোধী অবাঙালী পুঁজিপতিরা বাঙালী শ্রমিক নামে মাত্র নিয়োগ করে  অবাঙালী শ্রমিক দিয়ে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগণা, বর্ধমান ও অন্যান্য শিল্পাঞ্চলের কলকারখানাগুলি  চালু রাখার অপচেষ্টা করেছে৷ পরিণতিতে কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরাঞ্চলে অবাঙালী অনুপ্রবেশের ফলে বর্তমানে বাঙালীরা ক্রমশঃ সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে৷ এমতাবস্থায় সমস্ত বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে বাঙালী জাতি ও বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে মরণপণ লড়াই করতেই হবে৷ নচেৎ পশ্চিমবঙ্গেই একদিন বাঙালীদেরকে ভূমি ও ভাষা হারিয়ে নিজদেশে পরবাসী হয়ে অবাঙালীদের ক্রীতদাস ও কৃপা প্রার্থীতে পরিণত হতে হবে৷ তাই বাঙালী, সাবধান!

সুতরাং বাঙলা ও বাঙালীকে বাঁচাতে হলে   পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চল, ত্রিপুরা ও আন্দামান নিয়ে সংবিধান মোতাবেক ‘বাঙালীস্তান’ রাজ্য ঘটন করতে হবে আর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর উন্নতি বিধানে বাঙালীস্তান ঘটনই একমাত্র সমাধান৷