বাঙলার ক্লাব ক্রিকেটে থার্ড অ্যাম্পায়ার

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

সাধারণত প্রতিটি ক্রিকেট খেলাতেই সঠিক জাজমেন্ট দেওয়ার জন্য একজন অতিরিক্ত অ্যাম্পায়ার রাখার সিদ্ধান্ত বহুকাল প্রচলিত আছে যাকে আমরা থার্ড আম্পায়ার বলে থাকি৷ কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তা ছিল না৷ অর্থাৎ ক্লাব ক্রিকেটের ক্ষেত্রে দুজন আম্পায়ারই এতদিন ছিল, কিন্তু এবার বাঙলার ক্লাব ক্রিকেটেও নিয়ে আসা হল থার্ড আম্পায়ার অর্র্থৎ তৃতীয় আম্পায়ার৷ এর আগে সি.এবি পরিচালিত ঘরোয়া ক্রিকেটে  তৃতীয় আম্পায়ার থাকতেন না৷ কিন্তু গত সোমবার জে.সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির দুই সেমিফাইনালেই ছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার৷ ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয় ইষ্টবেঙ্গল মোহনবাগান৷

এই দুটি ম্যাচেই একাধিক ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তৃতীয় আম্পায়ারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল৷ ভবানীপুরের তপন মেমোরিয়াল ম্যাচে  যখন অভিষেক বর্মণ রান আউট হলেন, তখন মাঠে থাকা আম্পায়ারা সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের জানতে চেয়েছিলেন৷

ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ক্রিকেট ম্যাচেও অধিনায়ক অর্ণব নন্দী যখন আউট হন তখনও এই রান আউটের সিদ্ধান্ত জানান তৃতীয় আম্পায়ার৷ জেসল কড়িয়া ব্যাট করার সময় স্ট্রাম্পিংয়ের জোরালো আবেদনও ওঠে৷ বোলার ছিলেন সোহম ঘোষ৷ সবদিক দেখে বিবেচনা করে সেই আবেদন নাকচও করা হয়৷  অর্থাৎ এখন থেকে বাঙলীর ক্লাব ক্রিকেটেও কোনভাবেই ভূল সিদ্ধান্তের ফলে কোনো খেলোয়াড়ের সাথে অন্যায় করা যাবে, কারণ সঠিক সিদ্ধান্ত দেবে তৃতীয় আম্পায়ার৷