বিমল গুরুং এখন বাঘের পীঠে চড়েছে - এখন বাঘের পীঠ থেকে নামবার উপায় খুঁজছে?

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গোর্খাল্যাণ্ড নিয়ে নূতন করে হিংসাত্মক আন্দোলন ও পাহাড়ে একটানা বনধ্ ডেকে এখন গুরুং বনধ্ তোলার পথ খঁুজে পাচ্ছে না৷ সাধারণ পাহাড়বাসীর খাদ্য মিলছে না, গুদাম লুটের চেষ্টা চলছে৷ সাধারণ মানুষ এখন ভেতরে ভেতরে মোর্চা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে৷ যদিও মুখে সাহস করে কিছু বলতে পারছে না৷

মোর্চা নেতৃত্ব পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝলেও বনধ্ তুলে নেবে কী করে---তাও বুঝতে পারছে না৷ এখন নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন এভাবে বনধ্ চালিয়ে কোনও লাভ হবে না৷ পাহাড়বাসী খাবে কী? এখন তাই গুরুং বাহিনী আরও বেশী করে হিংসা ছড়াতে চাইছে৷ তারা দার্জির্িলংয়ের বিডিও ভাঙচুড় করে ও আগুন ধরায়৷ সেবকের কাছে লোহাপুরে ১০ নং জাতীয় সড়কে এন বি সি টি সির বাসে ভাঙচূর চালায়৷ সি আর পি এফ-এর ক্যাম্পে আগুন ধরায়৷ তারা বিভিন্ন স্থানে জি টি এ-র চুক্তিপত্র পোড়াচ্ছে৷ জিটিএ থেকে গোর্খা নেতৃত্ব বেরিয়ে এসেছে বলে ঘোষণা করেছে৷ কিছু যুবক একে অন্যের পীঠে টিউব লাইট ভেঙ্গে নিজেদের রক্তাক্ত করছে৷ তেলেঙ্গানার মত আত্মাহুতির হুমকীও দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু প্রশাসন থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হিংসাত্মক আন্দোলন বন্ধ না করলে কোনও আলোচনা নয়৷

বিমল গুরুং ২০১১ সালে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে সই করে জিটিএ নিয়েছিল ও মমতাকে ‘মা’ বলে ভক্তিতে গদ্গদ হয়ে পড়েছিল৷ জিটিএ হাতে পাওয়ার পর গুরুং ও তার সাকরেদরা দার্জিলিংয়ের উন্নয়নের জন্যে রাজ্য ও কেন্দ্রের দেওয়া বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে৷ মমতা যখন এই অর্থের অডিট করার প্রক্রিয়া শুরু করেন, অমনি সমস্ত দুর্নীতি ঢাকতে গোর্খাল্যাণ্ডের শ্লোগান তুলে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে৷

ওঁরা ভেবেছিলেন, কেন্দ্র ওদের ত্রাণকর্তা রূপে এগিয়ে আসবে৷ কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যকে টপকিয়ে কিছু করছে না দেখে গুরুং এখন চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন আর হতাশা থেকেই নানান হিংসাত্মক পথ ধরেছেন৷ কিন্তু এখন সুবাস ঘিসিংয়ের মত একই দশা হয়তা তাঁরও (গুরুংয়ের) হবে৷ তার জন্যে গুরুং এখন দিশেহারা৷